পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

توان به দের পাৰ্ব্বত্য দেশ হইতে নিম্ন সমতলে দলে দলে ভারপ্রাস্ত নিরীহ লোকের মত নামিয় আসে এবং কোন অরক্ষিত গ্রামে উপস্থিত হইয়া সুবিধা বুঝিয়া বোঝা ফেলিয়া গ্রামন্থ বহুসংখ্যক শিশু ও রমণী ধরিয়া লইয়া পাহাড়ে পালায়। ইহাদের গ্রামে ১০ হইতে ৩০টি পৰ্য্যন্ত গৃহ থাকে। প্রত্যেক গৃহ প্রায় ৮ হাত চৌড় ৪০ হাত লম্বা। তাহদের কাঠামো অতিশয় হাল্ক রকমের। গৃহের লম্বালম্বি একাংশ বারানীর মত খোলা থাকে এবং অপরাংশ কক্ষবিভক্ত হয়। এই কক্ষগুলিতে দুই চারিটি বসিবার চৌকী থাকে ; সভ্যতার এই চিহ্নটি ভারতবর্ষের অধিকাংশ কুটীরেই झुर्लुङ झर्जन । ইহাদের দলপতিগণের নাম গাম। তাহারা আলুন্দী’, “জালুঙ্গা প্রভৃতি শ্রুতিমধুর নাম ভালবাসে। দলপতিত্ব পুরুষানুক্রমিক। আপন আপন দলের উপর ইহাদের বিলক্ষণ প্রভাব আছে, কিন্তু কাহারে দেহ বা সম্পত্তির উপর কোন ক্ষমতা নাই--অপরাধীকে দণ্ড পর্য্যন্ত দিতে পারে না। যদি এক দলের কোন লোক অপর দলের কাহারে কোনো অনিষ্ট করে, তাহা হইলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির দল ইহার প্রতিশোধ লওয়াটা কর্তব্য বলিয়া মনে করে । কিন্তু কোনো ব্যক্তি স্বীয় দলের কাহারে কোনো অনিষ্ট করিলে তাহার অপরাধের দণ্ড বিধান করা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরই স্বার্থ বলিয়া বিবেচিত হয় । পত্নীর সংখ্যায় চুল কাটা মিশমীদিগেরও ধনশালিত্বের পরিচয় । কোন কোন দলপতির ষোলটি পর্য্যন্ত পত্নী থাকে। ইছাদের মধ্যে বৈবাহিক অনুষ্ঠান কিছুই নাই, উহা কেবল ক্রয়ের ব্যাপার। ইহাদের মধ্যে সতীত্বের আদর নাই ; ক্রেতা স্বামী প্রত্যাশা করে না যে ক্রীত পত্নী সতী হইবে বা থাকিবে। যতদিন তাহারা তাহার দ্বাসীত্বের ব্যাঘাত না ঘটায় ততদিন তাহাদের ক্ষণিক চপলতা তাহারা গ্রাহই করে না। কাহারো দ্বারা তাহাদের দাসীকৰ্ম্মে ব্যাঘাত ঘটিলে স্বার্থহানি জনিত রোষ ও বৈর জন্মে কিন্তু তাহাতে স্ত্রীলোকটি কিছুমাত্র দুষ্য বিবেচিত হয় না। মিধি বা চুলকাটা মিশমীর বণিকজাতি। তাহারা বৃহৎ দলবদ্ধ হইয়া তিব্বতের সহিত বাণিজ্য করিতে যায়। পুরুষগণ নিজে যাইতে না পারিলে পত্নীদিগকে প্রেরণ MMMMMSMSMSMSMAMAMMMMeAMMMMMAMAMMMMMMAMMMeAAAA rપરના কুরে ; এবং যাত্রাপর্থে নরনারী কিরূপ নির্বিচার্মে যাপন করে তাহ দেখিলে চুলকাটা মিশনীর ধে মারীর একনিষ্ঠত সম্বন্ধে কিরূপ নিবিকার তাহ বেশ বুঝা যায়। মিধিদের রং কৃষ্ণাভ কপিশবর্ণ হইতে গৌর পর্য্যন্ত নান রকমের দেখা যায়। অনেক মিধি যুবতী বেশ সুন্দরী হয় ; কিন্তু সম্মুখের চুল কপালের উপর আঁচড়াইয়া নামাইয়া কাণ হইতে কাণ পৰ্য্যস্ত কপালের মাঝখানে খাটো করিয়া কর্তিত হওয়ায় তাহাদিগকে বড় কুৎসিত দেখায়। এইরূপ ধরণের চুল কাটার প্রথা প্রাচীন বঙ্গে ছিল,—তাহাকে ‘থরকাটা’ বলিত। কপাল থরকাটা চুলে ঢাকিয় ছোট দেখায় এবং দৃশুমান অংশটুকুও প্রায় কর্দমলিপ্ত থাকে। পশ্চাতের চুলে খোপা বাধিয়া হাড়ের শলাকা বা সজারুর কাটা দিয়া আটকাইয়া রাখে। পুরুষেরা বেত্র বংশ শলাকা গ্রথিত শিরস্ত্রাণ পরিধান করে । তাহাতে তাহদের ভ্রর উপর পৰ্য্যন্ত সমগ্র কপাল ঢাকা পড়ে, মাথাটা প্রকাও ও মুখ ভ্ৰকুট কুটিল দেখায়। তাহাদের মুখাবয়ব কদৰ্য্য মঙ্গোলীয় ছাঁচের ; মুখ চেপ্টা ও চৌড়, নাসারন্ধ বিস্তৃত ও গোল এবং চক্ষু ছোট ও টেরা । পুরুষ অপেক্ষ স্ত্রীগণ অপেক্ষাকৃত দীর্ঘকায় ও সুশ্ৰী হয়। o - মিশমীদিগের সকল শাখার মধ্যে চুলকাটারাই সৰ্ব্বাপেক্ষা শিল্পনিপুণ। তাহার কার্পাস ও পশমী বস্ত্র বুনিতে পারে ; নানাবিধ পাৰ্ব্বত্য তন্তুমান উদ্ভিদের আঁশ বাহির করিয়া কাপড় বুনে। রিয়া তত্ত্বর ব্যবহার ইহারাই প্রথম আবিষ্কার করে। বিছুতিজাতীয় এক প্রকার গাছ হইতে ইহারা এমন শক্ত কাপড় তৈয়ার করে যে তাহার জামা বৰ্ম্মরূপে ব্যবহৃত হয়। ইহার নানাপ্রকারের কাপড় আসামে বিক্রয় করিতে আনে ; প্রধানতঃ লবণের বিনিময়ে বিক্রয় করে। কোন প্রকার প্রচলিত ওজন অনুসারে ইহার লবণ লয় না। লবণবিক্রেতার দোকানের সম্মুখে বসিয়া সতর্কতার সহিত আপনার সুরক্ষিত ঝুড়ির ভিতর হইতে বিক্রের জিনিষটি বাছিয়া বাহির করে এবং তাৰ পায়ের আঙুলের নীচে বা হাটুর মধ্যে চাপিয়া ধরিয়া আপনার ময়লা হাত দুইটা সাদা চকচকে মুনের মধ্যে ঢুকাইয়া দেয় এবং দুই হাতের অঞ্জলি ভরিয়া লবণ উঠাইয়া আপনার ঝুড়িতে লইতে চেষ্টা করে ; কিন্তু সতর্ক লবণ বিক্রেতা হাতের এক দল মারিয়া অৰ্দ্ধেক