পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭8૦ সভাপতির আসন সুখের আসন নহে এবং হয় ত ইহা সম্মানের আসনও না হইতে পারে- অপমানের আশঙ্কা চতুর্দিকেই পুঞ্জীভূত হইয়া রহিয়াছে—তখন আপনাদের এই আমন্ত্রণে বিনয়ের উপলক্ষ্য করিয়া আজ আর কাপুরুষের মত ফিরিয়া যাইতে পারিলাম না এবং বিশ্বজগতের সমস্ত বৈচিত্র্য ও বিরোধের মাঝখানে “য একঃ” যিনি এক, “অবর্ণঃ” মানবসমাজের মাঝখানে জাতিহীন নিন বিরাজমান, যিনি “বহুধা শক্তি যোগাৎ সর্ণন অনেকান নিহিতাথো দধীতি" ধচধা শক্তির দ্বারা নানা জাতির নানা প্রয়োজন বিচিত্ররূপে সম্পাদন করিতেছেন “iপচৈতি চ,স্তে বিশ্বমাদেী” বিশ্বের সমস্ত আরম্ভেও যিান, সমস্ত পরিণামেও যিনি-- “স দেবী, স নে বুদ্ধা শুভয় সংযুনত্ব,” সেই দেবতা, তিনি আমাদের এই মহাসভায় শুভবুদ্ধিস্বরূপ বিদ্যমান থাকিয়া আমাদের হৃদয় কষ্টতে সমস্ত ক্ষুদ্রতা অপসারিত করিয়া দিন, আমাদের চিত্তকে পরিপূর্ণ প্রেমে সম্মিলিত এবং আমাদের চেষ্টাকে সুমঙ্গৎ লক্ষ্যে নিবিষ্ট করুন একান্তমনে এই প্রার্থনা করিয়, অযোগাতার বাধা সত্ত্বেও এই মঙ্গসভায় সভাপতির আসন গ্রহণ করিতেছি । বিশেষতঃ জানি এমন সময় আসে ঘপন অযোগ্যতাই বিশেষ যোগ্যতার স্বরূপ হইয় উঠে । এতদিন আমি দেশেখ রাষ্ট্ৰসভায় স্থান পাইবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি নাই ইহাতে আমার ক্ষমতার অভাপ এবং স্বভাবেরও ক্রটি প্রকাশ পাইয়াছে । সেই ক্রটি বশতই আমি সকল দলের বাহিরে পড়িয়া থাকাতে আমাকেই সকলের চেয়ে নিরীহ জ্ঞান করিয়া সভাপতির উচ্চ আসনটিকে নিরাপদ করিবার জন্তই আমাকে আপনারা এইথানে বসাইয়া দিয়াছেন । আপনাদের সেই ইচ্ছা যদি সফল হয়, তবেই আমি ধন্য হইব। কিন্তু রামচন্দ্র সত্যপালনের জন্য নিৰ্ব্বাসনে গেলে পর, ভরত যে ভাবে রাজ্যরক্ষার ভার লইয়াছিলেন আমিও তেমনি আমার নমস্ত জ্যেষ্ঠগণের খড়ম জোড়াকেই মনের সম্মুখে রাপিয়া নিজেকে উপলক্ষ্য স্বরূপ এখানে স্থাপিত করিলাম। রাষ্ট্রসভার কোনো দলের সহিত আমার যোগ ঘনিষ্ঠ নহে বলিয়াই সম্প্রতি কনগ্রেসে যে আত্মবিপ্লব ঘটিয়াছে তাহাকে আমি দূর হইতে দেখিবার সুযোগ পাইয়াছি । প্রবাসী । { ৭ম ভাগ । যাহারা ইহার ভিতরে ছিলেন র্তাহারা স্বভাবতই এই ব্যাপারটাকে এতই উংপট করিয়া দেখিয়াছেন ও ইহা হইতে এতই গুরুতর অহিতের আশঙ্কা করিতেছেন যে এখনো র্তাহীদের মনের ক্ষোভ দুর হইতে পারিতেছে না । কিন্তু ঘটনায় যুহি নিঃশেষ হইয়া গিয়াছে বেদনায় তাহাঁকে বাধিয়া রাখিবার চেষ্টা করা বলিষ্ঠ প্রকৃতির লক্ষণ নহে । কবি বলিয়াছেন-- যথার্থ প্রেমের স্রোত অব্যাহত ভাবে চলে না যথার্থ জীবনের স্রোতও সেইরূপ, যথার্থ কৰ্ম্মের স্রোতের ও সেই দশা । দেশের নাড়ির মধ্যে প্রাণের বেগ চঞ্চল হইয় উঠাতেই কৰ্ম্মে যদি মাঝে মাঝে এরূপ ব্যাঘাত ঘটিয়া পড়ে তবে ইহাতে হতাশ না হইয় এই কথাই মনে রাখিতে হইলে যে, যে জীবন-ধর্মের অতি চাঞ্চল্যে কনগেসকে একবার আঘাত করিয়াছে সেই জীবন-ধৰ্ম্মই এই আঘাতকে অনায়াসে অতিক্রম করিয়া কনগ্রেসের মধ্যে নূতন স্বাস্থোর সঞ্চার করবে। মৃত পদার্থই আপনার কোনো ক্ষতিকে লিতে পারে না। শুষ্ক কাষ্ঠ যেমন ভাঙে তেমনি ভাড়াই থাকে কিন্তু সজীব গাছ নুতন পাতায় শাখায় সৰ্ব্বদtষ্ট আপনাব ক্ষতি পূরণ করিয়া বাড়িয়া উঠিতে থাকে। অতএব সুস্থ দেহ যেমন নিজের ক্ষতকে শীঘ্রই শোধন কবিতে পারে তেমনি আমরা অতিসত্বর কনগ্রেসের আঘাতক্ষতকে আরোগ্যে লইয়। যাইব এবং সেই সঙ্গে এই ঘটনার শিক্ষাটুকু ও মমভাবে গ্রহণ করিব। সে শিক্ষাটুকু এই যে, যখন কোনো প্রবল আঘাতে মানুষের মন হইতে ঔদাসীন্ত ঘুচিয়া গিয়া সে উত্তেজিত অবস্থায় জাগিয়া উঠে, তখন তাহাকে লইয়া ষে কাজ করিতে তই বে সে কাজে মতের বৈচিত্র্য এবং মতের বিরোধ সহিষ্ণুভাবে স্বীকার করিতেষ্ট হইবে। যখন দেশের চিত্ত নিজ্জীব ও উদাসীন থাকে তখনকার কাজের প্রণালী যেরূপ, বিপরীত অবস্থায় সেরূপ হইতেই পারে না। এই সময়ে, যাহা অপ্রিয় তাহাকে বলপুৰ্ব্বক বিধ্বস্ত এবং যাহা বিরুদ্ধ তাহাকে আঘাতের দ্বারা নিরস্ত করিবার চেষ্টা করা কোনো পক্ষ হইতে কোনো মতেই চলে না। এমন কি, এইরূপ সময়ে স্থার মানিয়াও জয়লাভ করিতে হইবে, জিতিবই পণ করিয়া বসিলে সে জিতের দ্বারা যাহাকে পাইতে ইচ্ছা করি তাহাকেই থণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিব। - ۰ - ۰ - ۰ -- د ه «عاعی ... می