পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७&१: 鐵 কেবল মাত্র সভার সংখ্যা বুদ্ধি করিয়া আমাদের এমনই কি লাভ হইৰে ! এ পর্য্যস্ত আমরা কোনো কাজ বা ব্যবসায়, এমন কি আমোদের জন্ত দল বাধিয়া যখনি অনৈক্য ঘটিয়াছে তখনি ভিন্ন দলে বিভক্ত হইয়া গিয়াছি। বিরোধ ঘটিবামাত্র আমরা মূল জিনিষটাকে, হয় নষ্ট নয় পরিত্যাগ করিবার চেষ্টা করিয়াছি। বৈচিত্র্যকে ঐক্যের মধ্যে বাধিয়া তাহাকে নানা অঙ্গবিশিষ্ট কলেবরে পরিণত করিবার জীবনীশক্তি আমরা দেখাইতে পারিতেছি না। আমাদের সমস্ত দুৰ্গতির কারণই তাই। কনগ্রেসের মধ্যেও যদি সেই রোগটা ফুটিয়া পড়ে, সেখানেও যদি উপরিতলে বিরোধের আঘাতমাত্রেই ঐক্যের মূল ভিত্তিটা পৰ্য্যন্ত বিদীর্ণ হইতে থাকে তবে আমরা কোনো পক্ষই দাড়াইব কিসের উপরে ? যে শর্ষের দ্বারা ভূত ঝাড়াইব সেই শর্ষেকেই ভূতে পাষ্টয়া বসিলে কি উপায় ! বঙ্গ বিভাগকে রহিত করিবার জন্য আমরা যেরূপ প্রাণপণে চেষ্টা করিয়াছি এই আসন্ন আত্মবিভাগকে নিরস্ত করিবার জন্ত আমাদিগকে তাহ অপেক্ষাও আরো বেশি চেষ্টা করিতে হইবে। পরের নিকটে যে দুৰ্ব্বল, আত্মীয়ের নিকট সে প্রচণ্ড হষ্টয়া যেন নিজকে প্রবল বলিয়া সাস্তুনা না পায়। পরে যে বিচ্ছেদ সাধন করে তাহাতে অনিষ্ট মাত্র ঘটে নিজে যে বিচ্ছেদ ঘটাই তাহাতে পাপ হয়, এই পাপের অনিষ্ট অস্তরের গভীরতম স্থানে নিদারুণ প্রায়শ্চিত্তের অপেক্ষায় সঞ্চিত হইতে থাকে। আমাদের যে সময় উপস্থিত হইয়াছে এখন আত্মবিস্তৃত হুইলে কোনমতেই চলিবে না কারণ এখন আমরা মুক্তির তপস্যা করিতেছি ; ইন্দ্রদেব আমাদের পরীক্ষার জন্ত এই য তপোভঙ্গের উপলক্ষ্যকে পাঠাইয়াছেন ইহার কাছে হার সনিলে আমাদের সমস্ত সাধনা নষ্ট হইয়া যাইবে । অতএব রভৃগণ, যে ক্রোধে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাই হাত তুলিতে চায় সে ক্রোধ দমন করিতেই হইবে—-আত্মীয়কৃত সমস্ত বিরোধকে বারম্বার ক্ষমা করিতে হইবে—পরস্পরের অবিবেচনার দ্বারা যে সংঘাত ঘটিয়াছে তাহাকে অবিলম্বে ভুলিতে হইবে—কিছুমাত্র বিলম্ব করিলে চলিবে না। যে আগুন লাগিয়াছে সে যখন আমাদের নিজের ঘরেই প্রবাসী । नई जरअडाक३-३ दिनखन ग्रिड डश्रड इहे उद [१ब छांशं । دهه ۰۰۰ se**۰ می دهیمه ه عههای « " লাগিয়াছে তখন থাকৃনা তর্ক, থাকৃন অভিযোগ। যাহার যেমন সাধ্য জল ঢালিতে হইবে—দুই পক্ষ দুই দিক হইতে এই অগ্নিতে উষ্ণ বাক্যের বায়ুৰীজন করিয়া ইহাকে প্রতিকারের অতীত করিয়া তুলিলে তাছার চেয়ে মূঢ়ত আমাদের পক্ষে আর কিছুই হইতে পারিবে না। পরের কৃত বিভাগ লষ্টয়া দেশে যে উত্তেজনার সৃষ্টি ইয়াছে শেষে আত্মকৃত বিভাগই যদি তাহার পরিণাম হয় ভারতের শনিগ্রহ যদি এবার লর্ড কার্জন মূৰ্ত্তি পরিহার করিয়া এবার আত্মীয় মুক্তি ধরিয়াই দেখা দেয় তবে বাহিরের তাড়নায় অস্থির হইয় ঘরের মধ্যেও আশ্রয় লইবার স্থান পাইব না । একটা প্রকাও বিচ্ছেদের খড়গ দেশের মাথার উপরে ঝুলিতেছে। কত শত বৎসর হইয়া গেল আমরা হিন্দু ও মুসলমান একই দেশ-মাতার দুই জামুর উপরে বসিয়া একই স্নেহ উপভোগ করিয়া আসিয়াছি তথাপি আজও আমাদের মিলনে বিঘ্ন ঘটিতেছে। এই দুৰ্ব্বলতার কারণ যতদিন আছে ততদিন আমাদের দেশের কোনো মহৎ আশাকে সম্পূর্ণ সফল করা সম্ভব হইবে না ; আমাদের সমস্ত রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনই পদে পদে দুরূহ হইতে থাকিবে । বাহির হইতে এই হিন্দুমুসলমানের প্রভেদকে যদি বিরোধে পরিণত করিবার চেষ্টা করা হয় তবে তাঁহাতে আমরা ভীত হইব না-আমাদের নিজের ভিতরে যে ভেদবুদ্ধির পাপ আছে তাহাকে নিরস্ত করিতে পারিলেই আমরা পরের কৃত উত্তেজনাকে অতিক্রম করিতে নিশ্চয়ই পারিব। এই উত্তেজনা কালক্রমে আপনিই মরিতে বাধ্য। কারণ, এই আগুনে নিয়ত কয়লা যোগাইবার সাধ্য গবমেন্টের নাই। এ আগুনকে প্রশ্রয় দিতে গেলে শীঘ্রই ইহা এমন সীমায় গিয়া পৌছিবে যখন দমকলের জন্য ডাক পাড়িতে সবুর সহিবে না। হিন্দু মুসলমানে মারামারি কাটাকাটি বাধিয়া প্যাক্স ব্রিটানিকার অভিমানবাক্য তামাসা হইয়া দাড়াইতেছে বলিয়া আমি এ কথা বলিতেছি তাহা নহে—আসল কথা প্রজার ঘরে আগুন ধরিলে কোনোদিন কোনোদিক্ হইতে তাহা রাজবাড়িরও অত্যন্ত কাছে গিয়া পৌছিবে। যদি একথা সত্য হয় যে হিন্দুদিগকে দমাইয়া দিবুার জন্ত মুসলমানদিগকে অসঙ্গতরাপে প্রশ্রয় দিবার চেষ্ট হইতেছে, অন্তত