পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা। ] পাবনা প্রাদেশিক সম্মিলনী উপলক্ষে সভাপতির বক্ততা। "دههه "هه ه" میهمه همه دهم...هم مسیه، ...هی، ভাবগতিক দেখিয়া মুসলমানদের মনে যদি সেইরূপ ধারণা দৃঢ় হইতে থাকে তবে এই শনি, এই কলি, এই ভেদনীতি রাজাকেও ক্ষমা করিবে না, কারণ, প্রশ্রয়ের দ্বারা আশাকে বাড়াইয়া তুলিলে তাহাকে পূরণ করা বড়ই কঠিন হয়। যে ক্ষুধা স্বাভাবিক তাহাকে একদিন মেটানো যায়, যোগ্যতার স্বাভাবিক দাবিরও সীমা আছে কিন্তু প্রশ্রয়ের দাবির ত অন্ত নাই। তাহ ফুটা কলসীতে জল ভরার মত। আমাদের পুরাণে কলঙ্ক ভঞ্জনের যে ইতিহাস আছে তাহারই দৃষ্টাস্তে গরমেণ্ট প্রেয়সীর প্রতি প্রেম বশতই হোক্ অথবা তাহার বিপরীত পক্ষের প্রতি রাগ করিয়াই হোক অযোগ্যতার ছিদ্ৰঘট ভরিয়া তুলিতে পরিবেন না। অসন্তোষকে চিরবুভুক্ষু করিয়া রাথিবীর উপায় প্রশ্রয়। অতএব একদিন মুসলমানের আশা অতি-লোলুপ হইয়া উঠিলে তাহাকে আঘাত করিবার সময় আসিবেই ;–তখন তাহাকে, যতই অসঙ্গতপরিমাণে আশা দেওয়া হইয়াছে ততই অসঙ্গত পরিমাণে বেদন দিতে হইবে। এ সমস্ত শাখের করাতের নীতি, ইহাতে শুধু এক প্রজা কাটে না, ইহা ফিরিবার পথে রাজাকেও আঘাত দেয় । ইহার মধ্যে যেটুকু ভাল তাহাও আমাদিগকে বিবেচনা করিয়া দেখিতে হইবে। আমরা গোড়া হইতে ইংরেজের ইস্কুলে বেশি মনোযোগের সঙ্গে পড়া মুখস্থ করিয়াছি বলিয়৷ গবর্মেন্টের চাকরি ও সন্মানের ভাগ মুসলমান ভ্রাতাদের চেয়ে আমাদের অংশে বেশি পড়িয়াছে সন্দেহ নাই। এইরূপে আমাদের মধ্যে একটা পার্থক্য ঘটিয়াছে। এইটুকু কোনওমতে না মিটিয়া গেলে আমাদের মাঝখানে একটা অস্থয়ার অন্তরাল থাকিয় যাইবে । মুসলমানেরা যদি যথেষ্ট পরিমাণে পদমান লাভ করিতে থাকেন তবে আমাদের মধ্যে একটা সমকক্ষতা স্থাপিত হইবে—এবং সেই হইলেই অবস্থার অসাম্যবশত জ্ঞাতিদের মধ্যে যে মনোমালিন্ত ঘটে আমাদের ধ্যে তাহ ঘুচিয়া যাইবে। যে রাজপ্রসাদ এতদিন আমরা ভাগ করিয়া আসিয়াছি আজ প্রচুর পরিমাণে তাহ মুসলনিজের ভাগে পড়ুক ইহা আমরা যেন সম্পূর্ণ প্রসন্নমনে প্রার্থনা করি। কিন্তু এই প্রসাদের যেখানে সীমা সেখানে পছিয়া তাহারা যেদিন দেখিবেন বাহিরের ক্ষুদ্র দানে खरबन्न श्रडीौब्र .६षछ किङ्कङहे खब्रिब्रां ॐ न, यथन છ8૭ বুঝিবেন শক্তিলাভ ব্যতীত লাভ নাই এবং ঐক্য ব্যতীত সে লাভ অসম্ভব, যখন জানিবেন, যে-একাদশে আমরা জন্মিয়াছি সেই দেশের ঐক্যকে খণ্ডিত করিতে থাকিলে ধৰ্ম্মহানি হয় এবং ধৰ্ম্মহানি হইলে কখনই স্বার্থরক্ষা হইতে পারে না তখনই আমরা উভয় ভ্রাতায় একই সমচেষ্টার মিলনক্ষেত্রে আসিয়া হাত ধরিয়া দঁাড়াইব । যাই হৌক হিন্দু ও মুসলমানে ভারতবর্ষের এই দুই প্রধান ভাগকে এক রাষ্ট্ৰসম্মিলনের মধ্যে র্বাধিবার জন্য ৰে ত্যাগ যে সহিষ্ণুতা যে সতর্কতা ও আত্মদমন আবশুক তাহা আমাদিগকে অবলম্বন করিতে হইবে ;—এই প্রকাও কৰ্ম্মঋণই যখন আমাদের পক্ষে যথেষ্ট তখন দোহাই স্ববুদ্ধির, দোহাই ধৰ্ম্মের, প্রাণধৰ্ম্মের নিয়মে দেশে যে নুতন নূতন দল উঠিবে তাহার প্রত্যেকেই এক একটি বিরোধরাপে উঠিয় দেশকে যেন বহুভাগে বিদীর্ণ না করিতে থাকে—তাহান্না যেন একই তরু কাণ্ডের উপরে নব নব সতেজ শাখার মত উঠিয়া দেশের রাষ্ট্রীয়চিত্তকে পরিণতি দান করিতে থকে। পুরাতন দলের ভিতর দিয়া দেশে যখন একটা নূতন দলের উদ্ভব হয় তখন তাহাকে প্রথমটা অনাহুত অনধিকারী বলিয়া ভ্রম হয়। কাৰ্য্যকারণ পরম্পরার মধ্যে তাহার যে একটা অনিবাৰ্য্য স্থান আছে অপরিচয়ের বিরক্তিতে তাহা আমরা হঠাৎ বুঝিতে পারি না। এই কারণে নিজের স্বত্ব প্রমাণের চেষ্টায় নূতন দলের প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিকতার শাস্তি থাকে না তাই আত্মীয় হইলেও তাহাকে বিরুদ্ধ মনে झझ । কিন্তু এ কথা নিশ্চিত সত্য যে, দেশে নুতন দল, বীজ বিদীর্ণ করিয়া অস্কুরের মত, বাধা ভেদ করিয়া স্বভাবের নিয়মেই দেখা দেয়। পুরাতনের সঙ্গেই এবং চতুর্দিকের সঙ্গে তাহার অন্তরের সম্বন্ধ আছে। এই ত আমাদের নূতন দল। এত র আপনার লোক। ইহাকে লইয় কখনো ঝগড়াও করিল, আবার পরক্ষণেই সুখে দুঃখে ক্রিয় কৰ্ম্মে ইহাদিগকেই কাছে টানিয়া একসঙ্গে কঁাধ মিলাইয়া কাজের ক্ষেত্রে পাশাপাশি দাড়াইতে হইবে। - কিন্তু ভ্রাতৃগণ, Extremist, বা চরমপন্থী, বা বাড়াবাড়ির দল বলিয়া দেশে একটি দল উঠিয়াছে, এইরূপ যে একটা রটন শুনা যায় সে দলটা কোথায় ? জিজ্ঞাসা করি এ দেশে সকলের