পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা। পাবনা প্রাদেশিক সম্মিলনী উপলক্ষে সভাপতির বক্তৃত। " حصه " مه-حمام عصبی - پم - ه. তেছে, নিশ্চয়ই তাহ ভারতশাসনের কর্ণধারগণের অভিপ্রেত নহে। কিন্তু গবর্মেন্ট ত একটা অলৌকিক ব্যাপার নহে, শাসন যাহাদিগকে দিয়া চলে তাহারা ত রক্তমাংসের মানুষ, এবং ক্ষমতামত্ততাও সেই মানুষগুলির প্রকৃতিতে অল্পাধিক পরিমাণে প্রবেশ করিয়াছে। যে সময়ে প্রবীণ সারথীর প্রবল রাশ ইহাদের সকলকে শক্ত করিয়া টানিয়া রাখে তখনো যদিচ ইহাদের উচ্চগ্রীব যথেষ্ট বক্র হইয়া থাকে তথাপি সেট রাজবাহনের পক্ষে অশোভন হয় না ; কিন্তু তখন ইহার মোটের উপরে সকলেই এক সমান চালেই পা ফেলে ; তখন পদাতিকের দল একটু যদি পাশ কাটাইয়া চলিতে পারে তবে তাহদের আর অপঘাতের আশঙ্কা থাকে না । কিন্তু চরমনীতি যখনই রাশ ছাড়িয়া দেয় তখনি এই বিরাট শাসনতন্ত্রের মধ্যে অবারিত জীবপ্রকৃতি দেখিতে দেখিতে বিচিত্র হইয়া উঠে। তখন কোন পাহারাওয়ালার যষ্টি যে কোন ভালমামুষের কপাল ভাঙ্গিবে এবং কোন বিচারকের হাতে আইন যে কিরূপ ভয়ঙ্কর বক্রগতি অবলম্বন করিবে তাহা কিছুই বুঝিতে পারে না । তখন প্রজাদের মধ্যে ষ বিশেষ অংশ প্রশ্রয় পায় তাহারাও বুঝিতে পারে না গহাদের প্রশ্রয়ের সীমা কোথায় ! চতুৰ্দ্দিকে শাসননীতির ইরূপু অদ্ভুত দুৰ্ব্বলতা প্রকাশ হষ্টতে থাকিলে গবর্মেন্ট জের চালে নিজেই কিছু কিছু লজ্জাবোধ করিতে থাকেন; খন লজ্জা নিবারণের কমিশন রিপোটের তালি দিয়া শাসর ছিন্নতা ঢাকিতে চায়, যাহারা আর্ভ তাহাদিগকে মিথুক লয়া অপমানিত করে এবং যাহারা উচ্ছ জ্বল তাহাদিগকেই ংপীড়িত বলিয়া মার্জন করে । কিন্তু এমন করিয়া লজ্জা ঢাকা পড়ে ? অথচ এই সমস্ত উদ্দাম উৎপাত সম্বরণ স্বাকেও ক্রটি স্বীকার বলিয়া মনে হয় এবং দুৰ্ব্বলতাকেও বলভাবে সমর্থন করাকেই রাজপুরুষ শক্তির পরিচয় বলিয়া করেন । অস্তপক্ষে আমাদের মধ্যেও চরমনীতিকে সৰ্ব্বদা ঠিকমত মণ করিয়া চলা দুঃসাধ্য। আমাদের মধ্যেও নিজের র দুৰ্ব্বারতা দলপতিকেও টলাইতে থাকে। এরূপ স্থায় কাহান আচরণের জন্ত যে কাহাকে দায়ী করা ৰৈ এবং কোন মতটা যে কতটা পরিমাণে কাহার তাহ স্থা করিয়া নির্ণয় করে এমন কে আছে । し* ૭86 এইখানে একটি কথা মনে রাখিতে হইবে। Extremist নাম দিয়া আমাদের মাঝখানে যে একটা সীমানার চিন্তু টানিয়া দেওয়া হইয়াছে সেটা আমাদের নিজের দত্ত নহে । সেটা ইংরেজের কালো কালীর দাগ। সুতরাং এই জরিপের চিকুটা কখন কতদূর পর্য্যন্ত ব্যাপ্ত হইবে বলা যায় না। দলের গঠন অনুসারে নহে প্রত্যুত সময়ের গতিক ও কর্তৃজাতির মর্জি অনুসারে এই রেখার পরিবর্তন হইতে থাকিবে । * to to অতএব ইংরেজ তাহার নিজের প্রতি আমাদের মনের ভাব বিচার করিয়া যাহাকে Extremist দল বলিয়া নির্দেশ করিবার চেষ্টা করিতেছে সেটা কি একটা দল না দলের চেয়ে বেশি।--তাহা দেশের একটা লক্ষণ ? কোনো একটা দলকে চাপিয়া মারিলে এই লক্ষণ আর কোনো আকারে দেখা দিবে অথবা ইহা বাহির হইতে ভিতরে প্রবেশ করিবে । কোনো স্বাভাবিক প্রকাশকে যখন আমরা পছন্দ না করি তখন আমরা বলিতে চেষ্টা করি যে ইহা কেবল সম্প্রদায় বিশেষের চক্রান্ত মাত্র। অষ্টাদশ শতাব্দীতে যুরোপে একটা ধুয়া উঠিয়াছিল যে, ধৰ্ম্ম জিনিষটা কেবল স্বার্থপর ধৰ্ম্মযাজকদের কৃত্রিম স্মৃষ্টি ; পাদ্রিদিগকে উচ্ছিন্ন করিলেই ধৰ্ম্মের আপদটাকেই একেবারে দুর করিয়া দেওয়া যায়। হিন্দুধর্মের প্রতি যাহারা অসহিষ্ণু তাহারা অনেকে বলিয়া থাকে এট যেন ব্রাহ্মণের দল পরামর্শ করিয়া নিজেদের জীবিকার উপায় স্বরূপে তৈরি করিয়া তুলিয়াছে—অতএব ভারতবর্ষের বাহিরে কোনো গতিকে ব্রাহ্মণের ডিপোটেশন ঘটাইতে পারিলেই হিন্দুধৰ্ম্মের উপদ্রব সম্বন্ধে একপ্রকার নিশ্চিস্ত থাকা যাইবে । আমাদের রাজারাও সেইরূপ মনে করিতেছেন Extremism বলিয়া একটা বিশেষ রাসায়নিক উৎক্ষেপক পদার্থ একদল লোক তাহাদের ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করিয়া তুলিতেছে অতএব কয়েকটা দলপতি ধরিয়া পুলিস ম্যাজিষ্ট্রেটের হাতে সমর্পণ করিয়া দিলেই উৎপাত শাত্তি হইতে পরিবে । কিন্তু আসল কথাটা ভিতরের কথা। সেটা চোখে দেখার জিনিষ নহে, সেটা তলাইয়া বুঝিতে হইবে। * যে সত্য অব্যক্ত ছিল সেটা হঠাৎ প্রথম ব্যক্ত হইবার সময় নিতান্ত স্বহমদ মধুরভাবে হয় না। তাহ একটা