পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৭ সংখ্যা পাবনা প্রাদেশিক সন্মিলনী উপলক্ষে সভাপতির বক্ততা। .B۹ و.

    • , * নিসার বলির জানিলে কখনই আমর बाश्व হইতে ধারা ਬਾਗੋਂ --- =- -- .د ....ه د۔ - ه - د ي = م गनल ििण • • • • • • • .وه. ق . ત

পারিব না । ষে শুনিয়াছে সেই বলিয়াছে, ই, কথাটা সত্য বটে। অমনি সেই সঙ্গেই চাকরির দরখাস্ত লিখিতে হাত পাকাইতে বসিয়াছে। এতবড় চাকরি-পিপাস্ব বাংলাদেশেও এমন একটা দিন আসিল যেদিন কিছু না বলিতেই ধনীর ছেলে নিজের হাতে তাত চালাইবার জন্ত তাতির কাছে শিষ্যবৃত্তি অবলম্বন করিল, ভদ্রঘরের ছেলে নিজের মাথায় কাপড়ের মোট তুলিয়া দ্বারে দ্বারে বিক্রয় করিতে লাগিল এবং ব্রাহ্মণের ছেলে নিজের হাতে লাঙল বহা গৌরবের কাজ বলিয়া স্পদ্ধ প্রকাশ করিল। আমাদের সমাজে ইহা যে সম্ভব হইতে পারে আমরা স্বপ্নেও মনে করি নাই। তর্কের দ্বারা তর্ক মেটে না, উপদেশের দ্বারা সংস্কার ধোচে না ; সত্য যখন ঘরের কোণে এতটুকু একটু শিখার মত দেখা দেন তখনি ঘরভরা অন্ধকার আপনি কাটিয়া যায় । পূৰ্ব্বে দেশের বড় প্রয়োজনের সময়েও আমরা দ্বারে দ্বারে ভিক্ষ চাহিয়া অর্থের অপেক্ষা ব্যর্থতাই বেশি করিয়া পাইতাম কিন্তু সম্প্রতি একদিন যেমনি একটা ডাক পড়িল অমূনি দেশের লোক কোনো অত্যাবস্ত্যক প্রয়োজনের কথা চিন্তা না করিয়া কেবলমাত্র নিৰ্ব্বিচারে ত্যাগ করিবার জন্তই নিজে ছুটিয়া গিয়া দান করিয়া নিজেকে কৃতাৰ্থ জ্ঞান করিয়াছে। তাহার পরে জাতীয় বিদ্যালয় যে কোনোদিন দেশের মধ্যে স্থাপন করিতে পারিব—সে কেবল দুটি একটি অত্যুৎসাহিকের ধ্যানের মধ্যেই ছিল। কিন্তু দেশে শক্তির অমুভূতি একটুও সত্য হইবামাত্রই সেই দুর্লভ ধ্যানের সামগ্রী দেখিতে দেখিতে আকার পরিগ্রহ করিয়া দেশকে বরদান করিবার গ্রন্ত উদ্যত দক্ষিণ হস্তে আজ আমাদের সম্মুখে আসিয়া ॉफ़ांश्ब्रां८छ्न । একত্রে মিলিয়া বড় কারখানা স্থাপন করিব বাঙালীর মন না ছিল শিক্ষা, না ছিল অভিজ্ঞতা, নাছিল অভিরুচি,— গহী সত্বেও বাঙালী একটা বড় মিল খুলিয়াছে, তাহ ভাল রিয়াই চালাইতেছে এবং আরো এইরূপ অনেকগুলি ছোট ড় উম্ভোগে প্রবৃত্ত হইয়াছে। দেশের ইচ্ছা একটিমাত্র উপলক্ষ্যে যেই আপনাকে সফল রিয়াছে, যেই-আপনার শক্তিকে দুঃখ ও ক্ষতির উপরেও नैौ कब्रिब्र cनथाहेब्रांटझ् अबनि ठांशं नांनां शांथांब्र मांनी নিজেকে উপলব্ধি করিবার জন্ত সহজে ধাবিত হইবে ইহ অনিবাৰ্য্য। কিন্তু যেমন একদিকে সহসা দেশের এই শক্তির উপলব্ধি আমাদের কাছে সত্য হইল তেমনি সেই কারণেই আমরা নিজেদের মধ্যে একটা প্রকাও অভাব অনুভব করিলাম। দেখিলাম এতবড় শক্তিকে বাধিয়া তুলিবার কোনো ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে নাই। ষ্টীম্‌ নানাদিকে নষ্ট হইয়া যাইতেছে তাহাকে এইবেলা আবদ্ধ করিয়া মথার্থপথে থাটাইবার উপায় করিতে পারিলে তাহ আমাদের চিরকালের সম্বল হইয়া উঠিত এই ব্যাকুলতায় আমরা কষ্ট পাইতেছি। ভিতরে একটা গভীর অভাব বা পীড়া থাকিলে যখন তাহাকে ভাল করিয়া ধরিতে বা তাহার ভালরূপ প্রতিকার করিতে না পারি তখন তাহ নানা অকারণ বিরক্তির আকার ধারণ করিতে থাকে। শিশু অনেক সময় বিনা হেতুতেই রাগ করিয়া তাহার মাকে মারে ; তখন বুঝিতে হইবে সে রাগ বাহত তাহার মাতার প্রতি কিন্তু বস্তুত তাহ শিশুর একটা কোনো অনির্দেশু অস্বাস্থ্য। সুস্থ শিশু যখন আনন্দে থাকে তখন বিরক্তির কারণ ঘটলেও সেটাকে সে অনায়াসে ভুলিয়া য় । সেইরূপ দেশের আস্তরিক যে আক্ষেপ আমাদিগকে আত্মকলহে লইয়। যাইতেছে তাহ আর কিছুই নহে তাহা ব্যবস্থাবন্ধনের অভাবজনিত ব্যর্থ উদ্যমের অসন্তোষ। শক্তিকে অনুভব করিতেছি অথচ তাহাকে সম্পূর্ণ খাটাইতে পারিতেছি না বলিয়াই সেই অস্বাস্থ্যে ও আত্মগ্নানিতে আমরা আত্মীয়দিগকেও সহ্য করিতে পারিতেছি না । যখন একদিনের চেষ্টাতেই আমরা দেখিয়াছি ষে জাতীয় ভাণ্ডারে টাকা আসিয়া পড়া এই বহুপরিবারভারগ্রস্ত দরিদ্র দেশেও দুঃসাধ্য নহে তখন এই আক্ষেপ কেমন করিয়া ভুলিব ষে কেবলমাত্র ব্যবস্থা করিতে না পারাতেই এই একদিনের উদ্যোগকে আমরা চিরদিনের ব্যাপার করিয়া তুলিতে পারিলাম না। এমন কি, যে টাকা আমাদের হাতে আসিয়া জমিয়াছে তাহ লইয়া কিযে করিব তাহাই আজ পর্য্যস্ত ঠিক করা আমাদের পক্ষে অসাধ্য হইয়া উঠিয়াছে। সুতরাং এই . জমা টাকা মাতৃস্তনের নিরুদ্ধ ছন্ধের মত আমাদের পক্ষে একটা বিষম বেদনার বিষয় হইয়া রহিল। দেশের লোক