পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা । ] সে সঙ্কেত ধ্বনি শুনে রজনীর সেই নীরবতা ধীরে যেন উঠিল কাদিয়া কাননেতে ভেসে গেল। শৈবালের দল নদী কুলে ধীরে ধীরে উঠিল কঁপিয়া। বুঝি সে সঙ্গীত শুনি, শত প্রতিধ্বনি অতি ধীরে মিলাইল নদীর উপরে সেই বৃক্ষ শাখাপরে হইয়া ধবনিত । প্রতিধ্বনি থেমে গেল, যাতনার রেখা যেন এক। তারপর ঘুমাল নলিনী। সারারাত তরী বাহি নাবিকের দল গায় গান, তাহাদের পুরাণ সঙ্গীত গাহিত যেমন তারা সুখের আলয়ে, নিজদেশে, ভ্ৰমিয়া সে নিৰ্ম্মল সলিলা তটিনী উপরে, অতি দুরে ভেসে যায় তাহাদের সুমধুর সেই কণ্ঠধ্বনি, নদীর তরঙ্গে মিশে মিলি বায়ু সনে দুর হতে শুনা যায় অদ্ভুত সঙ্গীত এইরূপে মধ্যাহ্নেতে আবার তাহারা উপকুল তীরে ধীরে আসিল বহিয়া । রাঙ্গারবি জলিতেছে সোনার মতন, জলে পদ্ম ফুটে আছে দুধারে কেমন ক্ষেপণীর সাথে সাথে যেতেছে জড়ায়ে । দূরে দূরে দেখা যায় লাল মুখ তুলি কোনো ফুল ফুটে আছে, জলের হিল্লোলে মৃদ্ধ সমীরের সেই সুরভি নিঃশ্বাসে আসিছে সুবাস বহি । আসিয়া কুলেতে নিদ্রায় অবশ সবে রাত্রি জাগরণে শুাম দুৰ্ব্বাদল পরে পাতি আস্তরণ পাদপের তলে এক করিল শয়ন দুরে ঝোপে দেখা যায় বনের গোলাপ কেমন ফুটিয়া আছে। বৃহৎ পাদপ ফুলাইয়া শাখা তার বর্ধিছে কুসুম । ক্ষুদ্র বিহঙ্গের দল মধুর কুজনি ফুল হতে অন্ত ফুলে যেতেছে উড়িয়া । নলিনী ইহারি তলে ঘুমায়ে দেখিছে বিচিত্র স্বপন এক ৷ হৃদয় তাহার প্রেম পূর্ণ, আঁখি আগে জাগিছে কেমন স্বরগের উষা আলো, সে আলোক পেয়ে আত্মা তার আলোকিত ঈশ্বরের প্রেমে। নিকটেই কোন এক দ্বীপ হতে এসে, ক্ষুদ্র তরী এক গেল বহিয়া সহসা । শিকারীর দল তারা যেতেছে সকলে সেই খানে হাল ধরি মলিন বদনে বসিয়া রয়েছে যুবা । কালো কেশগুচ্ছ অযত্নে ললাট তলে পড়েছে ছড়ায়ে । মধ্যাহ যৌবন তবু আননে তাহার ভাসিছে দুঃথের ছ\\ অন্ধকার কাজে\\ এতকাল সয়েছিল নিরাশ যাতনা দেখার আশায় শুধু, হলনাক দেখা তাই আজ অন্বেষণে যেতেছে চলিয়া । হায়রে বারেক যদি দেখিত তাহারা পরপারে ঘন এক গাছের ছায়ায় রয়েছে তরণী বাধা, তরণীর লোক শুনিছে ক্ষেপণী শব্দ নিদ্রায় আকুল । স্বরগের পরি সেথা ছিলনা ত কেহ নিদ্রিত বালার সেই ভাঙ্গাবারে ঘুম। তরীটী চলিয়া গেল আকাশের মাঝে । ক্ষুদ্র মেঘ খণ্ড সম সহসা ভাসিয়া । সহস নিদ্রিত সবে উঠিল জাগিয়া, নলিনী জাগিয়া উঠি আশাভর প্রাণে পুরোহিতে কহে গিয়া “গুন পিতা গুন কে যেন বলিছে মোরে নিকটে আমার বিমল ঘুরিছে শুধু। ইহা কি স্বপন অথবা শুধু কি ছায়া ? কিম্বা মিথ্যা দেব কিম্বা কোন পরি এসে পরাণে আমার, জানাইল সত্য কথা ?” আরক্ত আননে কহে বালা পুনঃ ধীরে “এই সব কথা কি হইবে কয়ে তোমা, তোমার নিকটে হবে তাহ অর্থহীন।” কিন্তু পুরোহিত দয়ার আধার তিনি, হাসি বলিলেন, “তোমার সরল কথা, শুন বংসে তবে নহে মিথ্যা অর্থহীন নিকটে আমার । তোমার মনের ভাব নীরব গম্ভীর উপরের মনোভাব জানায় আনিয়া, কোথায় রয়েছে সেই অস্তরের মূল সেই হেতু করে রাখ বিশ্বাস আপন. এ নহে কল্পনা কিম্বা নহে ইহা ছায়া, বিমল নিকটে আছে। কিছু দূর আর দক্ষিণেতে গ্রামে এক তটিনীর তীরে, তোমারি আশায় পথ চাহিয়া তৃষিত রয়েছে বিমল । শুনেছি স্বমস্ত সেথা আছে শাস্তি সুখে, তার উদ্ধান সুন্দর, কুসুমিত তরুলতা, সুনীল আকাশ করে আলো ছায়া দান। সেই সে কান