পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । ] SASAeSASAeSAeSAASAASAAAS AAeS AAAAA SAA AAAASAAAA বলিয়া মাঞ্চুরমণীকে বিবাহ করিতে অনিচ্ছুক। কারুণ স্ত্রীলোকের বড় পা থাকা বঁাদীর চিন্তু বলিয়া প্রকাশ পায়। চীন জাতিকে যুদ্ধে সহজেই জয় করা যাইতে পারে কিন্তু তাহাদের ধৰ্ম্ম আচার ব্যবহারকে কেহ এ যাবত জয় করিতে পারেন নাই। হিন্দুগণ এ বিষয়ে কতকটা গৌরব করিতে পারেন বটে। তবে জাতিভেদের অন্তরায় থাকায় হিন্দুধৰ্ম্ম দিন দিন দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িতেছে। চীনারা বিশ্বাস করে যে জীবনপ্রদায়িনী প্রকৃতিদেবী শীতকালে বিশ্রামসুখ সম্ভোগ করিয়া থাকেন। তখন এক উৎসব ইষ্টয়া থাকে। জীবনপ্রদায়িনী প্রকৃতি দেবী সুষুপ্ত অবস্থা হইতে জাগ্রত হইলে চীন দেশে বসন্তোৎসব হইয়া থাকে। পেকিন রাজপুরী মধ্যে এই উৎসব সামান্ত ধরণে সম্পন্ন হইয়া থাকে, কিন্তু প্রতি সহরে ও নগরে রাজকীয় কৰ্ম্মচারিগণ কর্তৃক অতি জাক জমকের সহিত এই উৎসব প্রতি বৎসর সম্পন্ন হয়। * এই উৎসবের দিনে রাজকীয় উদ্ধান হইতে কিছু মূল স্তালড (Lettuce) রৌপাধারে স্থাপিত হইয়া বৃদ্ধ মঙ্গরাণীর টেবলোপরি রক্ষিত হয়। রাণী তাহার কিঞ্চিৎ স্বয়ং ভক্ষণ করেন এবং নবীন সম্রাজ্ঞী ও অপরাপর মহিলাগণকে প্রদান করেন। এই সময়ে সামজ্যের মঙ্গল কামনা করা হইয় থাকে। সিংহাসন কক্ষে জাতীয় মঙ্গলসূচক ধ্বনি উত্থিত হইলে অপরাপর কক্ষ হইতে খোজাগণ তাহার প্রতিধ্বনি করিয়া উঠে। ক্রমে সেই ধ্বনির পূনধ্বনি হইতে হষ্টতৃে রাজপুরীর শেষ দ্বার বা সদর দরজায় গিয়া উপস্থিত হয়। তখন বুদ্ধা মহারাণী ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে “এই জীবনপ্রদায়িনী প্রকৃতিদেবীর অনুগ্রহে সাম্রাজ্য শস্তশালী হউক এবং প্রজামণ্ডলীর মঙ্গল হউক।” এই সময়ে সম্রাট স্বয়ং একদিন হলচালনা করিয়া বৎসরের প্রথম বীজ বপন করিয়া থাকেন এবং সম্রাজ্ঞী স্বয়ং নিজ হস্তে র্ততের গাছ রোপণ করিয়া থাকেন। সম্রাট যেমন অন্নের জন্ত চাষ ও বীজ বপন করেন সম্রাজ্ঞী বস্ত্র প্রস্তুতের জন্ত তুত বৃক্ষ রোপণ করেন। রাজপুরীতে রেশমের শিল্প কারখানা আছে এবং তুতের চাষ হইয়া থাকে। রাজপুরীস্থ অন্দর মহলে যে সকল তুত বৃক্ষ আছে সেই সকল তুত বৃক্ষের রক্ষণের ভার কোন মহিলার উপর জাপানে কৰি। ४७१ দ্যস্ত থাকে। এই কাৰ্য্যকে সম্মানীয় কাৰ্য্য मान করা হইয়া থাকে। তুত পোকার মঙ্গলের জন্যও প্রকৃতি । দেবীর আরাধনা করা হইয়া থাকে। শ্রীরামলাল সরকার। জাপানে কৃষি । গত বৎসব (১৯০৬) অবসরপ্রাপ্ত সিবিলিয়ান নিকলসন সাহেব মাদ্রাজ গবর্মেন্ট কর্তৃক জাপানে প্রেরিত হন। তিনি প্রধানতঃ জাপানের মৎস্ত ধৃতকরণ প্রথা ও তাহার ব্যবসায় প্রণালী অধ্যয়ন করিতেই গিয়াছিলেন। সেই সুযোগে তিনি জাপানের কৃষিকাৰ্য্য প্রণালী ও কৃষির অবস্থ স্বচক্ষে দশন ও তৎসম্বন্ধে বিবিধ তথ্য সংগ্ৰহ করিয়া সম্প্রতি একখানি শিক্ষাপ্রদ সুন্দর পুস্তক * প্রকাশ করিয়াছেন। ভারতবর্ষের কৃযক সম্প্রদায় এই গ্রন্থের মৰ্ম্মগ্রহণ করিতে পারিলে দুর্ভিক্ষ ড়ত দেশের শ্ৰী ফিরাইয়া দিতে সমর্থ হইবে সন্দেহ নাই । দেখা যাইতেছে রুযজাপ যুদ্ধের পর হটতে জগতের উন্নতিশীল জাতি সকলের বিস্ময়দৃষ্টি এই প্রশান্তসাগরশোভী ক্ষুদ্রদ্বীপের অধিবাসিগণের প্রতি পতিত হইয়াছে। জাপানের কাহিনী সংগ্ৰহ জাপচরিত্র অধ্যয়ন এবং জাপানের কৃতকাৰ্য্যতার মূলমন্ত্র আবিষ্কার করিতে আজি সকলেই ব্যস্ত। জাপানের রক্ষণশীলতা চীন হইতে কোন অংশেই কম ছিল না। প্রতিবেশী কোরিয়ার সহিত যাহার নাম মাত্র সংশ্ৰব ছিল, বহির্জগতের সহিত সে জাপানের যে আদৌ কোন সম্বন্ধ ছিল না তাহা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সময়ের গতি লক্ষ্য করিয়া জাপান সত্যামুসন্ধায়ী বৈজ্ঞানিকের মত এবং দূরদর্শী দার্শনিকের মত কুপমণ্ডুকপ্রস্থ রক্ষণশীলতার হস্ত হইতে নিস্কৃতি লাভ করিয়া অতি অল্পদিন হইতে স্বীয় সন্তান গণকে গৃহের বাহিরে পাঠাইতে শিখিয়াছেন। জাপ সন্তানগণ স্বর্গ মৰ্ত্ত পাতাল অনুসন্ধান করিয়া যে খানে যে উৎকৃষ্ট বিষয় প্রাপ্ত হইয়াছেন তাহাই লাভ করিতে, যে দেশের রীতি, নীতি, ভাব, সংস্কার স্বদেশের হিতকর বুঝিয়াছেন, - دهه ۰۰" "هه ۰ - ده همه ی یه-۰ می ده-هم- هم میسهه ***.

  • ইহার বিস্তৃত বিবরণ ১৩১১ সালের জ্যৈষ্ঠর প্রবাসীতে স্রষ্টব্য ।
  • Note on Agriculture in Japan by Sir F. A. Nicholson, K.C.I.E., I.C.S. ( retired ) on deputation, Madras Fisheries Investigation—Printed by the Superintendent Goveme। Press, Madras. I')07, Price 1 rupee.