পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' م۶(پهنه যে জাতির ষে যে গুণ স্বজাতির উন্নতিসাধক বলিয়া জানিয়াছেন তাহাই গ্রহণ করিতে দেহ মন পাত করিয়াছেন। ফলে কি হইয়াছে ? এখনও অৰ্দ্ধ শতাব্দী যায় নাই, ইহারই মধ্যে র্যাহাঁদের অনুকরণ করিয়া জাপান স্বদেশের বহুবিধ সংস্কার সাধন করিয়াছেন, তাহারাই আজি জাপানের পথামুবৰ্ত্তী হইতে ব্যগ্র হইয়া উঠিয়াছেন। ইংলণ্ড ও জাৰ্ম্মণী প্রভৃতি তাহার দৃষ্টান্ত। রক্ষণশীল ভারতের কোটি কোটি প্রজার চক্ষু খুলিবে না ! ইতিপূৰ্ব্বে বিদেশের কুটাটি পর্যান্ত জাপানের ত্রিসীমার মধ্যে আসিত না । জাপান আপন পণ্যদ্রব্য বিদেশের বিপণিতে পাঠাইত না । ৩৫ বৎসর পূৰ্ব্বে থাস জাপানের ( ফরমোজা ছাড়িয়া ) লোক সংখ্যা ছিল ৩, ৩১, ১০, ৭৯৩ এবং থাসজাপানের পরিসর ছিল ৯, ৪৪, ৪০,৩০০,* একর মাত্র। গত ১৯০৫ অব্দের গণনায় জানা গিয়াছে লোক সংখ্যা '৪, ৭৮, ১২, ৭০২ হইয়াছে, এবং গত দশবৎসরে শতকরা ১৩-১জন বৃদ্ধি পাইয়াছে। ৩৩ বৎসরে জাপানে এক কোটি সাতচল্লিশ লক্ষ এক হাজার নয়শত নয় জন প্রজা বাড়িয়াছে। কিন্তু লোক সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে জাপানের ভূ-ভাগ ত আর বাড়িতেছে না ? ইহার অধিকাংশষ্ট পাৰ্ব্বত্য এবং উত্তরাংশে শীত দীর্ঘস্থায়ী । চাষ করিবার উপযুক্ত জমি জাপানে অতি অল্প। নিকলসন সাহেব অনুসন্ধানে জানিয়াছেন যে জাপগণ সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসরের অনন্তসাধারণ ধৈর্য্য ও অমানুষিক পরিশ্রম সহকারে ১৯০৫ অন্দ পর্য্যস্ত দেশের শতকরা ১৩ ৫৩ অংশ ভূমি চাষোপযোগী করিতে পারিয়াছে। কর্ষণযোগ্য ভূমির ছগুণেরও বেশী এখনও কর্ষণ অসাধ্য বলিয়া পতিত রহিয়াছে। লোকসংখ্যার অনুপাতে যদি ভূমির পরিমাণ গণনা করা যায় তাহা হইলে দেখা যায় জীবন ধারণের জন্ত লোক প্রতি ০-২৬৭ একার পড়ে। সে হিসাবে জৰ্ম্মণীর বাহির হইতে আহাৰ্য্যের আমদানী এবং গোচারণের মাঠ বাদে লোক প্রতি কৰ্ষিত ভূমির একরের কিছু উপর পড়ে ; মান্দ্রাজে লোক প্রতি এক একর পড়ে। অথচ মাংস, দুগ্ধ, , মাখন এবং পনীর তাহারা খাইতে পায় না বলিলেও চলে। কারণ সমগ্র জাপানে প্রায় দশলক্ষ ঘোটক, ১৮ লক্ষ শূকর, এককোটি দশলক্ষ হাস মুরগী প্রভৃতি এবং গবাদি শৃঙ্গ বিশিষ্ট

  • এক একর ভূমি কিঞ্চিীৰ তিনৰিবার সমান।

প্রবাসী । ৭ম ভাগ । প্লণ্ড দশলক্ষ মাত্র আছে এবং মেষ বা ছাগল নাই বলিলেও চলে। এই মুষ্টিমেয় শৃঙ্গবিশিষ্ট গগুজাত মাংস দুগ্ধ মাখন পনার আদি দ্রব্যের অধিকাংশ বিদেশে রপ্তানি হইতেছে । বাহিরের আমদানি খাদ্যের উল্লেথ না করাই ভাল, কারণ গত দশবৎসরে যে পরিমাণ খাদ্য আমদানি হইয়াছে তাহ সমগ্র দেশের পক্ষে একপক্ষ কালেরও উপযোগী নহে । জীবনসংগ্রামের দিনে জাপানের পক্ষে ইহা কি মহাশঙ্কার বিষয় নহে? কিন্তু জাপানের বিষয়ব্যাপার সকলই স্বতন্ত্র। এরূপ অবস্থা সত্ত্বেও জাপসন্তানগণ কেমন উদর পুরিয়া আহার পাইতেছে এবং সাধারণত সুস্থ, সবল ও দৃঢ়কায় গুইতেছে! তাহদের মধ্যে ভিক্ষুকের অস্তিত্ব নাই বলিলেও চলে এবং অস্থিচৰ্ম্মসার একজনও নজরে পড়ে না ! চিন্তা করিয়া দেখিলে এক একবার মনে হয় জাপান সেই আরব্যোপন্থা বর্ণিত কৃষ্ণোপদ্বীপের মন্ত্রপূত ভূমি নহে ত ? প্রকৃতই দুই প্রশ্ন আজি চিন্তাশীল জগতের সমস্ত স্বরূপ হইয়া দাড়াইয়াছে। প্রথমতঃ বিদেশ হইতে আহারীয় সামগ্রীর আমদানি না করিয়া বাহিরের সকল সুযোগ ও সাহায্য হইতে বঞ্চিত থাকিয়া এক্ট পশুপক্ষীবিরল শৈলবস্থল, দ্বীপের কোটি কোটি প্রজাপুঞ্জ মুষ্টিমেয় এবং কষ্টক;ষত ক্ষেত্রোৎপন্ন শস্তের দ্বারা শত সহস্র বর্ষ ধরিয়া কি প্রকারে সকলের উদারান্নের সংস্থান করিয়া আসিয়াছে এবং দ্বিতীয়ত: বর্তমানের নিধন ক্ৰমবৰ্দ্ধনশীল প্রজাপুঞ্জ সেই পরিমাণ ভূমি ও সেই সকল আনুসঙ্গিক লইয়া ভবিষ্যতে কি প্রকারে উদরপূর্ণ করিয়া অন্নপুষ্ট সুস্থ সবল ও শ্রমসহিষ্ণু জাতিরূপে বজায় থাকিরে । নিকলসন সাহেব বলিতেছেন “It is however to be noted that the population is growing faster than the arable area.” অর্থাৎ কর্ষণযোগ্য ভূমি অপেক্ষা প্রজাসংখ্যা ত্বরিতগতিতে বৃদ্ধি পাইতেছে। অথচ ক্ষেত্রোৎপন্ন চাউলই তাহদের প্রধান অন্ন। সাহেব মহোদয় দক্ষতাসহকারে এই দুইটী প্রশ্নের যথার্থ মীমাংসায় উপনীত হইয়াছেন। তাহার সমগ্র পুস্তক হইতে আমরা ইহাই দেখিতে পাই যে জাপানির সৰ্ব্বযুগের যুগলক্ষণানুসারে আপনাদিগকে গঠিত করিতে এবং আপনাদিগকে সকল অবস্থার উপযোগী করিয়া লইতে সমর্থ। প্রকৃতপক্ষে যে জাতির জাতীয়জীবনে পরিবর্তন