পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । ] হয়। বপনের পূৰ্ব্বে, একস্তর মিশ্ৰসার পাতলা করিয়া বপন পংক্তির মধ্যে ছড়ীষ্টর তৎক্ষণাৎ তাঙ্গৰ উপর অল্প মাটি মিশ্রিত সার দিয়া বীজ ছড়াইয়া দেওয়া হয়। গাছ যখন গজাষ্টতে থাকে, বিশেষতঃ উচ্চ শুষ্ক ক্ষেত্রে গাছগুলির মধ্যবর্তী জমি পুনঃ পুনঃ খনন করিয়া প্রত্যেক বারই অল্প মাত্রায় তরল সার গাছের গোড়ায় দেওয়া হয় । অল্প মাত্রায় অথচ ঘন ঘন সার প্রদান জাপানিদের পদ্ধতি। প্রথম সার প্রদানকে তাহারা বলে “অঙ্করোৎপাদক , মাত্ৰা ।” গাছগুলি যখন গজাইতে থাকে তখন তাহদের আঙ্গর স্বরূপ আবিষ্ঠক মত মধ্যে মধ্যে "সার" দেওয়া হয়। একটা ফসলের মধ্যে তিন গুষ্টতে সাতবার করিয়া কোদাল § সিার’ দে ওয়া হয়। শাস বা শুটি ধরিবাব সময় শেষ ‘সার’ দে গুয়া হয় । বেশী পবিমাণ ‘সার’ কখনই দেওয়া হয় না । প্রকৃত পক্ষে এতদ্বারা মাটি অপেক্ষা প্রত্যক্ষভাবে গাছের আহার যোগান হয়। ডাক্তণর নাগাঙ্গ বলেন এষ্ট পদ্ধতির জন্তাই জাপান আবহমান কাল হইতে একই ফসল একত জমি হইতে প্রতি বৎসব একই পরিমাণ প্রাপ্ত হইয়া থাকে । বিশেষজ্ঞগণ জাপানিদিগকে বিলক্ষণ পরিমিতবাণী, হিসাব, కర్తి বিবেচক বলিয়া মনে * করেন । কিন্তু ভারতবর্ষে বীজবপনের পূৰ্ব্বে যে রাশি রাশি মার খরচ হয় সেরূপ অযথা অপলায় করিতে জাপানির জানেক্ট না । ‘সারের’ উপর তাহদের এতদূর লক্ষ্য যে তাহারা সমগ্র দেশের জনসংখ্যার হিসাবে কত সার পাষ্টতে পারে, তাহ হিসাব করিয়া দেখিয়াছে। শতকরা ২৫ ভাগ নানা কারণে নষ্ট হইলেও তিন কোটি ঘাটলক্ষ লোকের ‘সার’ এক কোটী বিশলক্ষ একর ভূমির সার যোগাষ্টয়া থাকে। ইহাতে সকল বয়সের তিনজন ব্যক্তির ‘সার’ কিঞ্চিদধিক তিন বিঘা ভূমি প্রতি পড়ে। যাই নষ্ট হইয়া যায় তাহীও নানা কৌশলে ব্যবহারে আনিতে চেষ্ট হইতেছে। কারণ “সার” অধিক প্রাপ্তব্য, গুণে উৎকৃষ্ট, এবং মূল্যে সকল রক সার অপেক্ষা সস্তা। জাপানের এই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ‘সার’ ভাবতে অতি অল্পই ব্যবহৃত ঈয় ইহা তাহার বিশ্বাস করিতে চাঙ্গে না । অধিকন্তু বিদ্রুপ করিতেও ছাড়েন। তাহারা বলে ভারতের এই উপেক্ষ, অন্তায় অপচয় ভিন্ন আর কিছুই নহে। জাপানে যদি কোন ব্যক্তি স্বীয় ক্ষেত্র হইতে পাচ শতমণ শস্ত উৎপন্ন করে এবং জাপানে কৃষি । ১৭১ সপরিবারে ২ শত মণ আহার করে ও ২ শতমণ বিক্রয় করে তাহ হইলে সে প্রত্যাশা করিয়া থাকে তাহার সপরিবারে যে অংশ ক্ষেত্র হইতে গ্রহণ করিয়াছে তাহ “সারের” আকারে ক্ষেত্রে প্রত্যপণ করিবে এবং যাহাদিগকে বিক্রয় করিয়াছে তাহাদিগের নিকট বক্রী অংশ “সারের” আকারে ক্রয় করিয়া আদায় করিবে । জাপানির সার’ সংগ্রহের কিরূপ বন্দোবস্ত করিয়া থাকে নিকলসন সাহেব তাহার বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ কবিয়াছেন। তাহা হইতে জানা যায় যাহাতে লোকালয় গুলির পরিচ্ছন্নত রক্ষা হয় এবং স্বাস্ত্যের হt,নকর না হয় অথচ কি ধনী কি দরিদ্র প্রত্যেকের বাড়ার “সার” এমন ভাবে পরিষ্কৃত হয় যাহাতে ময়লার চিহ্নমাত্র না থাকে, পথিপাশ্বে বা লোকালয়ের কুত্ৰাপি দর্শকের দৃষ্টিপথে পতিত না হয় তাহার স্ববন্দোবস্ত আছে। যতদূর সম্ভব লোকালয়ের . বাহিরে সুদূর কৃষিক্ষেত্রে মুরক্ষিত বৃহৎ বৃহৎ কুণ্ড মধ্যে ‘সার’ সঞ্চিত করিয়া আবশ্বকমত চুণ, মাটি, খৈল প্রভৃতি নানাপ্রকার দ্রব্য মিশ্রিত করা হয় । জৰ্ম্মণ ডাক্তার ম্যারণ জাপানের সর্বত্র ভ্রমণ করিয়া বলিয়াছেন— “In all my wanderings through the Country, even in the most remote valleys, and in the homestead, and cottages of the very poorest peasantry, I never could discover, even in the most secret and secluded corners, the least trace of human excrements. How very different with us in Germany, where it may be seen lying about in every direction, even close to privies.” –Page 45. যে সকল ক্ষেত্র নদীর ধারে ধারে, ঠিকাদারগণ নৌকা করিয়া ‘সার” লইয়া গিয়া তথায় কৃষকদিগকে বিক্রয় করে এবং অন্যত্র কৃষকগণ তাহা হয় গৃহস্থের নিকট অথবা মেথরদিগের মধ্যস্থতায় ক্রয় করিয়া থাকে। এদেশে মেথরকে বেতন দিয়া অথবা সরকারকে কর দিয়া গৃহ পরিষ্কার রাখিতে হয়। কিন্তু জাপানে তাহার ঠিক বিপরীত, জাপানের প্রত্যেক মণাগার গৃহস্থের বাধিক আয়ের সংস্থান করে । “Nor do the householders pay any thing as the cost of