পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা । ] বানান মুখস্থ করিতে হয়, সে সকলের কিছু প্রয়োজন হয় না। কেবল বহি পড়িবার সময় শুদ্ধ উচ্চারণ অভ্যাস করিলে যথেষ্ট হইবে না। কথোপকথনের সময়ও শুদ্ধ উচ্চারণ অভ্যাস থাকা আবশ্বক। সুতরাং কেবল শিক্ষকদিগের চেষ্টায় বিশুদ্ধ উচ্চারণ সৰ্ব্বতোভাবে রক্ষা করা কঠিন । এ বিষয়ে সকল শিক্ষিত লোকের মনোযোগ বাঞ্ছনীয়। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ও মহারাষ্ট্র দেশে উচ্চারণের শুদ্ধতা রক্ষিত হইয়াছে। বাঙ্গালীগণ শুদ্ধ ভাবে সংস্কৃত পড়িতে ও বলিতে পারেন না বলিয়া অপরদেশের লোক তাহাদিগকে বিদ্রুপ করিয়া থাকে। যুরোপীয় বিদ্বন্মগুলী তাহদের অসম্পূর্ণ বর্ণমালার সংস্কার করিবার কত যত্ন করিতেছেন, আর আমরা হেলায় আমাদের বর্ণমালাকে বিকারগ্রস্ত করিতেছি । উপরে যাহা লিখিত হইল তাহাতে এই সিদ্ধান্ত করিবার চেষ্টা করা হইয়াছে যে লিখন ও পঠন একেবারেই আরম্ভ করা বিধেয়, বরং লিখন ড্রয়িংএর রীতি অনুসারে প্রথমেই ধরাইতে পারা যায়। স্বাভাবিক কথা বার্তার সময় শিশুরা যে সকল শব্দ ও বাক্য প্রয়োগ করে, প্রথমে সেই সকল লিখিতে ও পড়িতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য, এবং লিখন ও পষ্ঠনের বিষয় ও ভাষা তাহদের কথাবার্তার ধরণে হইলেই ভাল হয়। এই প্রবন্ধে অব্যক্ত ভাবে স্বীকার করিয়া লওয়া হইয়াছে যে, কোন ভাষায় লেখা ও পড়া আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে সেই ভাষায় শিশুরা তাহাদের ভাব প্রকাশ করিতে ও তাহাদের মধ্যে আপনাআপনি কথাবাৰ্ত্ত কহিতে শিখিয়াছে। মাতৃভাষা সম্বন্ধে এই প্রাকৃতিক নিয়ম রক্ষিত হয় বটে কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে বিদেশীয় ভাষা শিক্ষার সময় বিপরীত দিক হইতে আরম্ভ করা হয়। যেরূপে কথোপকথনের দ্বারা শিশু মাতৃভাষা শিখে, সেই প্রণালী অনুসারে অন্তান্ত ভাষার শিক্ষা আরম্ভ হওয়া প্রকৃতি-সিদ্ধ। কথাবাৰ্ত্ত কহিতে শিখিবার পর, লিখন ও পঠন আরম্ভ কালে, বর্ণমালা হইতে আরম্ভ না করিয়াশিগুদিগের কথোপকথনের ব্যবহারোপযোগী সম্পূর্ণ শব্দ ও বাক্য লিখিতে পড়িতে শিখান শ্রেয়ঃ । পরে . বিশ্লেষণ দ্বারা এক একটি বর্ণের পরিচয় করা যাইতে পারে। বানান মুখস্থ করা ব্যর্থ পরিশ্রম মাত্র—লিখিয়া ও পড়িয়া বানান শিক্ষা করাই প্রকৃতি-সিদ্ধ। বাঙ্গলা বর্ণমালার বিজয় দশমী । - প্রতি বর্ণের শুদ্ধ উচ্চারণের প্রতি লক্ষ্য রাখিলে বানান শিক্ষা به سوري . श्क्रश् बाश्रीब इहेल्ला खेळ ना; ७वः इ* गैर्ष छान शब হইতে হয় না। উপরি উক্ত প্রণালীতে শিক্ষা দিতে হইলে প্রচলিত পাঠ্য পুস্তকের সংস্কার করিতে ও শিক্ষক মহাশয়দিগকে পরিশ্রম স্বীকার করিতে হইবে। কিন্তু এই প্রণালী যদি শিক্ষিত সমাজে উৎকৃষ্ট বলিয়া বিবেচিত হয় এবং এই প্রণালীতে কাৰ্য্য করিবার তাহদের বাসনা হয়, তাহ হইলে উপযুক্ত পুস্তক ও উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব পুরণ হইতে অনতিক্রমণীয় বাধা থাকিবে না । শ্রীউপেন্দ্রচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বিজয় দশমী | শরতের সন্ধ্যাবধু কুয়াসার জালে আবরি’ ধূসর দেহ মুদিত মৃণালে বরষিল ধীরে ধীরে হিমানীর জল ; তরঙ্গের লেখাহীন নীল নিরমল অগাধ সলিলরাশি কঁপাইয়া ধীরে চঞ্চল মরালদল উত্তরিল তীরে । বিজয়া দশমী আজি ; বিজন সন্ধ্যায় ভাবি আমি অতীতের মুন্দর সীমায় আর এক বিজয় দশমী । সেই দিন, হেথা হ’তে কতদূরে--বিষাদ-বিহীন বালুময় ভাগীরথ পুণ্য তটদেশে দেখেছিনু কোন দৃশু পুলক-আবেশে বিস্ময়ে আবেগে ! সেই দুরু হুরু বুক— কত শত প্রেমোজ্জল পরিচিত মুখ করুণায় উচ্ছসিত কৌতুহলময়— দেখেছিনু শুভলগ্নে গোধূলি সময়। জনহীন জাহ্নবীর সেই তটদেশে - নরনারী শত শত অজ্ঞাত আদেশে মিলেছিল করিবারে প্রেম-বিনিময় ; যে ভূমি রহিত ঘুমে—বিজনতাময় করিতে সার্থক তারে ক্ষণেকের তরে এনেছিল জনস্রোত ; আর অকাতরে