পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । তাহাদের কুটার গৃহের সৃমুখে এক-একটা দড়ি-বোন চারপাই খাট আছে,- ইহাই তাহদের রাত্রের পর্য্যাঙ্ক ও দিনের সুখাসন। - হিন্দুগ্রামের একটি দ্রষ্টব্য জিনিস–কুম্ভকার। প্রত্যেক গ্রামেরই এক একটি নিজস্ব কুম্ভকার আছে। মাটর হাড়ী একবার ব্যবহৃত হক্টলেই তাঁহাকে ভাঙ্গিয়া ফেলিতে হয়। ইহাই শাস্ত্রের আদেশ। এই জ9ষ্ট কারিগরদিগের এত খদ্দের, এবং এই জন্যই উহার এত নিপুণ। অনেকবার আমি এই কারিগরদিগের (কারিগর না বলিয়া উহদিগকে শিল্পী বলাই সঙ্গত) সন্মুখে দাড়াইয়া আমি কতবার উহাদের কার্য্য নিরীক্ষণ করিয়াছি । একজন পাশ্চাত্যের বিস্ময়মুগ্ধ দৃষ্টিতে গৰ্ব্বিত হইয়া উহারা উৎসাহের সহিত অসাধারণ নৈপুণ্য আমার নিকট প্রদর্শন করিল। গ্রামের লোকেরা, যে কুম্ভকারের গৃহে আমাকে লষ্টয়া গেল, দেথিলাম সেই গৃহের অঙ্গনে স্বামীঙ্গীতে একসঙ্গে কাজ করিতেছে। অঙ্গনের বঁা-দিকে কতকগুলি গুলি, কতকগুলি মাটীর গোল এবং শ্রেণীবদ্ধরূপে সজ্জিত হাড়ী ও কলসীর কতকগুলা ‘পেট্ৰ’ - এই পৰ্টুগুলা, হাতল ও কঁধার সহিত যুক্ত হুইবার জন্য অপেক্ষ করিতেছে । একটা ছাচ - সাহাকে পায়ের এক চাপে খুব કડિર ঘুরাইয়া দিয়েছে—এবং একটা ছোট কাঠা ; –শিল্পীর এই দুইটি মাত্র বস্ত্র। যে সময়ে ছাঁচটা ঘুরিতেছে, (যে প) হাতের মতনই সমান দক্ষ সেই পায়ের চাপে কথন ও শাম্ব, কখন আস্তে) সেই একই সময়ে কাঠাঁট, মৃৎপিণ্ডটাকে খুলিতেছে, গড়িতেছে, গোলকারে পরিণত করিতেছে, মস্তণ করিয়া তুলিতেছে...এবং বড়ষ্ট আশ্চর্য্য, ঐ মায়া-কাঠার সংস্পর্শে উহা কেমন খাল হইয়া যাইতেছে, পাতলা হইয়া যাইতেছে, উতার মুগ খুলিয়া যাইতেছে, উহা বিভিন্নরূপ ও বিভিন্ন গঠন ধারণ করিতেছে. কুম্ভকার স্মিতহাস্ত সহকারে, সগৰ্ব্বে মৃৎপাত্রটি তাড়াতাড়ি উঠাষ্টয়া লইতেছে। কতকগুলি শিশু কুম্ভকারকে ঘিরিয়া রহিয়াছে ; এবং এই বৈদেশিকের কৌতূহলে বিস্মিত হইয়া উহাদের মখমল-কোমল বৃহৎ আর্দ্র নেত্র বিস্ফারিত করিয়া রহিয়াছে। . গ্রামের প্রধানদিগকে আমার বাবু কি প্রশ্ন করেন একবার শোনা আবশ্যক। বাবু যে রকম ফরাসী বলেন সমসাময়িক ভারত । د طوند ، তাহাতে তাহার চন্দননগরের গন্ধ যোজনপূথ হইতেও উপলদ্ধি হয়। বাবু তাহাদের প্রত্যুত্তর আমাকে অনুবাদ করিয়া শুনাইতেছিলেন। বাবু বলিলেন, “এই একটি গ্রাম, ইহাতে একটি পরিবার বাস করে, এবং ইহাদের শিখধৰ্ম্ম।” আমার ত প্রচুর জ্ঞান লাভ হইল ! এই গ্রামটি এবং ইহার চতুষ্পার্শে যে ভূমিখণ্ড আছে তাৎ একটি বংশবিশেষের সম্পত্তি। ঐ বংশের পূর্বপরুষেরা এই মধুচক্রটি রচনা করিয়াছে। এথানকার সকল চাষাই দ একজন সাধারণ পূৰ্ব্বপুরুষের নাম করে । এই গ্রামটি উহাদের অবিভক্ত যৌথ সম্পত্তি। উহার ব্রাহ্মণ্যিক সম্প্রদায়ভুক্ত নহে ; উহার একটি একেশ্বরবাদ সম্প্রদায়ভুক্ত । চারি শত বৎসর হইল, উত্তরপ্রদেশে মানক এই সম্প্রদায় স্থাপন কবেন । শিখেরা সংথ্যায় প্রায় দুষ্ট কোট । ভারতবর্ষের অন্ত অংশে যেরূপ জাত-সংক্রান্ত অন্ধসংস্কার, ইহাদের মধ্যে ততটা নাই । ইংরাজ সরকার, এক্ট বলপান ও সাহসী জাতি হইতে উৎকৃষ্ট সৈন্ত সংগ্ৰহ করিয়া থাকেন । এই শিখজাতি হইতে দুই পণ্টন সৈঙ্গ রাজাও গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে এক পণ্টন, গত আফগান যুদ্ধে নিহত হয়। এই আত্ম-পৰ্যাপ্ত গামটিতে, রাজ মিস্ত্রী, ছুতার মিস্ত্রী, স্বর্ণকার, ওস্তুবায়, প্রভৃতি সকল দাবসায়েরই কারিগর আছে । আমি. একটি দরিদ্রকুটারে প্রবেশ করিলাম, সেখালে দ্বার ছাড়া আর কোন পথ দিয়া স্থৰ্য্যরশ্মি প্রবেশ করে না । একজন লোক নত হইয়া মাকু চালাইতেছে, তাহার অদ্ধ-শরার একটা চেীনে পা গর্তের মধ্যে নিমজ্জিত। উহার কলাকৌশলটি যার-পরনাঙ্গ আদিম ধরণের। একটা ফুেম্, কতকগুলা কাঠের পায়ার উপর স্থাপিত এবং কাপড়ের পড়েন’ স্থত।গুলা, একটা চলন্ত কাঠির দ্বারা পৃথকৃ করা হইতেছে। গ্রামের এই তন্তবায়, পূব বাহার দিয়া একটা লল কোর্তা প রয়াছে ;- এই পরিত্যক্ত পুরাতন পরিচ্ছদটা বোধ হয় কোন ইংরাজ সৈনিকের নিকট ক্রয় করিয়াছে ! গ্রামের দেবালয়টি কোথায় ? গ্রামের কিনারায়– ' প্রাচীর বুরুজের নিকট। আমার বাবু আমাকে গড়াতাড়ি, সেখানে লক্রয় গেলেন ; কেন না, আমার প্রশ্নাদির ভাবে তিনি বুঝিলেন, ( এবং বিস্মিতও যে ইন নাই তাহী নহে ) ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় বিষয়ে আমার কতটা ঔৎসুক্য, এবং সেই সঙ্গে