পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" ، واex 6 • • • • • s .. *** --ه==" - গিয়াছে বিমল । তৃপ্ত করালেন সবে আহার যোগায়ে, ঢালিয়া শীতল জল । তার পর তারা নিবেদিল আপনার দুঃখের কাহিনী, শুনি সেই সব কথা কঙ্গে পুরোহিত “ছয় দিন স্থৰ্য্য অস্ত হইবার পুৰ্ব্বে বিমল আছিল হেথা । এষ্ট এ আসনে যেখানে বসিয়া বালা, সেই গানে বসি বলেছিল আপনার বিষাদ কাহিনী ।” পুমোহিত কণ্ঠস্বর বিষাদেতে পূর্ণ অতি মৃ নলিনীৰ হৃদয়েতে যেন বাজিল দুঃখের সম, যেন শীতকালে পড়িল তুষার শূন্য বিহঙ্গের নীড়ে। বলিলেন পুরোহিত “উত্তরেতে দুরে পুনঃ শরতের কালে করিয়া শাকার শেষ আসিবেক হেথা ।” নলিনী বলিল ধীরে “এক্টথানে পিত দয়া করে দাও স্থান এই দুঃখিনীরে ।” সকলে ভাবিয়া শেষে করে তাই স্থির, স্বমস্ত সঙ্গীর সাথে অশ্বারোহে চলি গেল আপনার স্থানে। নলিনী একাকী বিমলের পথ চাহি রহিল সেখানে । . ধীরে ধীরে কাটে দিন, এক যায়. আসে আর গত হল ধীবে, সপ্তাহ প্রথমে, পরে পক্ষ ক্রমে মাস । জনারের ক্ষেত ক্রমে বিকশিত হয়ে উঠিল কেমন। নলিনী আসিল যবে তারা শিশু সম আছিল নবীন তাম, এখন তাহার জুলাইয়া সুকুমার শাখা পাতাগুলি উঠিছে উপর পানে। বিহঙ্গের এসে তাদের সঞ্চয়গ্ৰহ করেছে যতনে সেই পত্রগুচ্ছ মাঝে । বসন্তের কালে জনার তুলিল সবে । কুমারীর দলে যদি লভে বিকশিত রক্তিম জনগর প্রবাদের বাণী আছে লভে সে প্রণয়ী। কত লাল জনারেরে তুলিল নলিনী এলোনা এলোনা তবু বিমল তাহার। “ধৈর্য্য ধর” পুরোহিত বলেন সদাই, “বিশ্বাস রাখিও হৃদে, প্রার্থনা তোমার এক দিন এ জগতে হুইবে সফল । দেখ ওই ক্ষুদ্র বৃক্ষ প্রান্তরে কেমন উত্তরের পানে চেয়ে আছে সৰ্ব্বক্ষণ হেরিতে চুম্বকে যেন। বিধাতা স্তজিত এই পুষ্প, এরে হেরি পথিকের দল দিক নিরূপণ করে, সমুদ্রের সম [ ৭ম ভাগ 琴 ج- - خ - دمه يهده عام- مع عجم مهم -مع- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - দিকহীন সীমাহীন মরুর মাঝারে। যেমন মানব প্রাণে বিশ্বাসের আলো । আবার আকাঙ্ক্ষা পুষ্প ভুলীয় কেমন যেমন সুন্দর রূপে, মধুর সৌরভ তেমনি ভুলায় হিয়া । দিকহারা হয়ে পথভ্রষ্ট হয় সবে মদির সৌরভে । & মোদের হৃদয়-বৃন্তে সুধু যে বিশ্বাস সে মোদের দেয় আলো অন্ধকারপথে সাজায় স্বর্গের ফুলে পুরায় কামনা।” আসিল শরৎকাল, কাটিল আবার ; আসিল দুরন্ত শীত, বিমল তাহার তবু আসিল না ফিরে । বসন্তে আবার কুসুমিত হল ধরা, মধুর সুস্বরে কাননে গাহিল পার্থী ; – এলো না বিমল । গ্রীষ্মের সমীর বুকে এলে ভাসা কথা যে কথা মধুরতর মুরভি হইতে সুমধুরতর তাহা কলকণ্ঠ হতে, উত্তরের পূৰ্ব্বে এক কোন বনপ্রান্তে বিমল সঙ্গীর সাথে নদী তটে এক করিয়াছে বাসা তার । শুনি এই কথা নলিনী বিদায় লয়ে সেইখান হতে চলিল উদ্দেশে তার। পথশ্রমে ক্লাস্ত দেহে অবশেষে উপনীত হল.যবে,-— কত ঝড়, কত ঝঞ্চা, কত না বিপদ সহি, সেই স্থানে দেখে গিয়া শূন্ত গুহ পড়ে আছে, কেহ নাই নিকটে তাহার । এষ্টরূপে কেটে যায় বিষাদেতে পুর্ণ সুদীর্ঘ বরষগুলি। নানা পথে ঘুরি বেড়ায় নলিনী একা । পথিকেরা তারে দেখে কভু আহতের শিবির দুয়ারে কখনো মন্দিরদ্বারে। কভু যুদ্ধক্ষেত্রে করিছে আহতসেবা সে দীন রমণী । কখনো কুটীরে ক্ষুদ্র, কভু বা নগরে ছায়ার মতন ফিরে সে যে একাকিনী, অজানিত আসে যায় বিস্কৃতের ম৩ । যে রূপ মধুর ছিল প্রথম যখন, আশার উৎসাহে বালা করে আগমন, গেছে সে মধুররূপ, নিরাশার মাঝে অতীতের ছায়া সম বেড়ায় ঘুরিয়া। প্রতি বর্ষ এসে যেন চুরি করে যায় তাহার সে রূপরাশি, রেখে যায় শুধু • শুভ্ৰ কেশ দু’একটি’ললাটে তাহার, t