পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१भ गश्n । ] শুধু তিনি শিক্ষকতা করিয়াই পরিতৃপ্ত ছিলেন না। ভারতের একমাত্র স্বাধীন রাজ্যের সৰ্ব্বাঙ্গীন মঙ্গল ও উন্নতির জন্য তিনি যত্নবান ছিলেন, মন্ত্রীগণও বহু গুরু বিষয়ে তাহার পরামর্শ গ্রহণ করিতেন এবং তাহার বিজ্ঞতার জন্য যথেষ্ট সম্মানও করিতেন। ১৮৭৭ সালের দিল্লী দরবারে তিনি নেপালী রাজদূতের প্রাইভেট সেক্রেটারী নিযুক্ত হইয়া গিয়াছিলেন । *. নেপাল দরুবার তাহাকে কিরূপ সন্মানের চক্ষে দেখিতেন তাহার পরিচয় দরবার কর্তৃক তাহাকে ‘সর্দার’ উপাধি দানে পাওয়া যায়। গুর্থীগণ এই উপাধি খুব সন্মানজনক মনে করেন, এবং ইহা সহজলভ্য রায়বাহাদুরী থেতাব গোছের নহে। নেপাল গবৰ্ণমেণ্ট তাহাকে এই বহু আকাঙ্ক্ষিত দুর্লভ উপাধি দ্বার। ভূষিত করেন। নেপালে এই উপাধি নেপালী ভিন্ন আর কোন জাতির কোন লোক কথন পান নাই । ১৯০১ সালে তিনি পেন্সন লইয়া নেপালের কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি যে প্রতীচ্য আদর্শ নেপালীদের সম্মুখে উন্মুক্ত করিয়া আসিয়াছেন, তাহার চেষ্টায় নেপালীরা যে উন্নতির স্বাদ পাইয়াছে এবং জাপানের অভু্যদয়ে তাহদের আরো যে উত্তেজনা আসিয়াছে তাহ নেপালীদের ক্রমোন্নতি ও অত্যুন্নতির আকাঙ্ক্ষায় পরিস্ফুট দেখা যায় । আশা করা যায় অতি নিকট ভবিষ্যতে নেপালীর জগতের জাতীয়ত্ব গোষ্ঠীতে পরিগণিত হইবে। জাপানী আদর্শে নেপালীরাও বহু শিক্ষিত যুবককে দেশ বিদেশে কলা, বিদ্যা, শিল্প শিক্ষার্থ প্রেরণ করিতেছেন। নেপালে বহু বাঙালী চট্টোপাধ্যায় মহাশয় কর্তৃক বহু কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইয়াছেন। চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের স্বভাব চরিত্রের প্রভাবে নেপালীর সকল বাঙালীকে সম্মানের চক্ষে দেখিয়া থাকে । 續 চট্টোপাধ্যায় মহাশয় নেপাল রাজ্যের দপ্তর খুজিয়া ও বহু অনুসন্ধানের দ্বারা জঙ্গ বাহাদুরের এক জীবনী ও নেপাল রাজ্যের ইতিহাস লিখিয়া গিয়াছেন। কিন্তু নেপাল গভর্ণসন্মতি না পাইয় তাহ প্রকাশ করিতে পারেন ! ১৯০৬ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি তাহার দেহান্ত হইয়াছে। অন্ধ জাগ্রম ও বিদ্যালয়। brసి তাহার বহু পরিশ্রমের ফল স্বরূপ নেপালের ইতিহাস তিনি প্রকাশ করিয়া যাইতে পারেন নাই। ঠাহার দুইটি কৃতবিদ্য উন্নতচিত্ত পুত্র আছেন, তাহার একটু সাহস করিয়া ঐ পুস্তক খানি প্রকাশ করিলে ইংরাজের ইতিহাস-পরিত্যক্ত বা যত্নসংগুপ্ত বহু বিষয় লোক সমাজে প্রকাশিত হইতে পারে। এখন তাহ প্রকাশিত করার পক্ষে কোনও বাধা নাই । বরং প্রকাশিত না করিলে তাহার শ্রম নিষ্ফল হইয়া য়ায় । । তাহার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করিয়া ভারতের বহু সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছিল। বাঙালীর শত্রু ইংলিশম্যানও তাহার প্রশংসা করিতে বাধ্য হইয়াছিল। চট্টোপাধ্যায় মহাশয় অতি ধীর, নম্র ও রিনী লোক ছিলেন। তিনি আত্মবিলোপ করিয়া কৰ্ম্ম করিতেন, অনাড়ম্বর ও অল্পভাষী ছিলেন । তিনি বহু পরিবারকে অপক্ষপাতে পোষণ করিতেন এবং গোপনে দানও তাহার যথেষ্ট ছিল । সর্দার কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের জীবনীর স্থল ঘটনা সংগ্রহের জন্য আমি ইটালী পদ্মপুকুরের শ্ৰীযুক্ত ললিতমোহন মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট ঋণী । চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় । अक আশ্রম ও বিদ্যালয়। প্রকৃতির নিগৃহীত সন্তান মূক বধির ও অন্ধ এতকাল সমাজের, পরিবারের ভারস্বরূপ হইয়া থাকিত। কিন্তু অভাবই উদ্ভাবনের জনক ; ক্রমে এখন তাহারাও স্বাবলম্বনের উপযুক্ত হইয়া উঠিয়াছে। অন্ধদিগের জন্ত প্রাচীনতম আশ্রম ১২৬০ খৃষ্টাব্দে সেণ্ট লুই কর্তৃক ফ্রান্সের পারি নগরে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬৫৭ সালে জে, বারমুইলি বোধ হয় সৰ্ব্বপ্রথম একটি অন্ধ বালিকাকে লিখিতে 'শিখান। ১৭৮৪ সালে পারি" নগরে ভ্যালেন্সিয়া হযুই প্রথম অন্ধকে রীতিমত শিক্ষাদিবার চেষ্টা করেন। তাহারই শুভচেষ্টার ফলস্বরূপ এখন দেশে দেশে অন্ধদিগের শিক্ষাশাল ও কৰ্ম্মশালা প্রতিষ্ঠিত হইতেছে। এই সকল অন্ধপ্রতিষ্ঠান ছয় রকম—(১) ছাত্রাবাসসমন্বিত শিক্ষালয়, (২) যুক্ত শিক্ষা ও কৰ্ম্মশালা, (৩) কৰ্ম্মশালা, (৪) আশ্রম, (৫) যুক্ত আশ্রম ও স্কুল, (৬) যুক্ত আশ্রম ও কৰ্ম্মশালা ।