পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । ] তাহাদের হন্তে তাহদের কাম ঐ বিমান-কুসুম ধরিয়া আনিয়া দিবেন কি ? সাধ্যায়ত্ত বিভাগে যাহাদের শক্তির কোন পরিচয় নাই,—তৈল-মক্ষণ-ক্ষম, ঢাকার এই প্রখ্যাতনাম নেতৃবরের ন্তায়- রাজ-কুল. বিশ্বাস করিয়া অন্তান্ত ব্যাপারে (বিশেফ স্বায়ত্ত-শাসনে) র্তাহাদিগকে কৰ্ম্মক্ষম বা স্বযোগ্য বলিয়া স্বীকার করবেন, ইহা কোনমতেই সম্ভবপর • নহে । ● রাজ-নীতিরই যদি চর্চা করিতে চাও তবে দেশের ঐ প্রকৃতি-পুঞ্জকে-অশিক্ষিত জন-সমষ্টিকে শাসন-প্রণালীসম্পর্কে, উদ্ধতভাবের দমন ও সংযমের বিষয়ে অথবা অন্যান্ত ব্যাপারে শিক্ষিত করিয়া তোল । তাহদের মধ্যে আপনাদিগকে মিশাইয়া দিয়া তাহাদের অন্ধকার দূর কর—তাহদের নয়ন জ্ঞানাঞ্জনে অনুলিপ্ত কর ; আর সেই সঙ্গে নিজেরা শক্ত হও, যোগ্য হও, এক হও। কিন্তু, এ কথায় কি রাজনৈতিক মোক্ষাভিলাষীদের মনে তৃপ্তি আসিবে ?—রোধ হয় তো না ! কারণ র্তাহাদের রাজনৈতিক আন্দোলন করিয়া, ইংরাজকে গালি দিয়া, সংবাদপত্র সহায়ে নিজেদের নাম প্রচার করা চাই-ই ! ' এস্থলে কেহ কেহ কহিবেন—“তাহাই বা পারি কই ? জন-সাধারণের সহিত মিলিবার পথও তো বন্ধ হইয়া যাইতেছে। তাঃাদের কাছে পাইবার চেষ্টা করিতে হইলেও কি শাসক-সন্তোষ-বিধান, সুপরামর্শ নহে ?” আমি তদুত্তরে বলিতে চাই—ধৰ্ম্মকথার প্রসঙ্গে, দুরভিসন্ধিহীন সত্যানুসন্ধানে ও জ্ঞান-বিস্তৃতিব্যাপারে বাধাদান করিতে কেনই বা রাজ্য-রক্ষণ-প্রয়াসী ইংরাজ-সমাজ আপত্তি করিবেন ? আর যদি সেরূপ বাধা দেনই তবে যতদিন পারা যায় ততদিনই শিক্ষা দিতে চেষ্টা করিলে ক্ষতি কি ? সকল কার্যেরই নিয়ম আছে, “ফনদী” আছে, পদ্ধতি আছে। যে যেমন তাহার সহিত তদ্রুপ ব্যবহার করা, ত্যাগীর পক্ষে সঙ্গত না হইতে পারে ; কিন্তু, বাসনা-পূর্ণ-চিত্ত সংসারী বা পার্থিব সুখ-সম্পদ-কামীর পক্ষে তাহাই কর্তব্য। যদি যথার্থই স্বদেশী জন-সাধারণকে স্ববুদ্ধি দিতে চাও তবে তাহার যথেষ্ট স্যুপায় আছে ; কিন্তু মৰ্কট-সুলভ চাঞ্চল্য বা নিৰ্বদ্ধিতার প্রশ্রয় কোনদিনই শাসকগণ দিতে প্রস্তুত নহেন। তাহার "নের কথা আশ্বস্থাপন কলি, উদারনৈতিক মহাজনের। ৭১৩ অবিমিশ্র ধৰ্ম্ম-চর্চা করিতেই এদেশে আসেন নাই ; তাহার রাজ্যশাসনও করিবেন ! • * . . “গরমদলে"র প্রতি এক্ষণে ক্ষুদ্র দু’একটি কথা বলিয়৷ আমি এখন আমার এতৎসম্পৰ্কীয় বক্তব্যের উপসংহার করিতে চাই। আমার প্রথম জিজ্ঞাস্তা—র্তাহারা কি চাহেন ? “স্বদেশীভাবে স্বরাজ-লাভ” ?--উত্তম! কিন্তু, কথা হইতেছে এই যে, বর্তমান কংগ্রেস-পও-ব্যাপারে কেন তবে র্তাহারা বিলাত ও অন্যান্য দেশেরষ্ট দৃষ্টান্ত দেখাইয়া বলিতেছেন যে, “যখন স্বাধীনরাজ্যেও এহেন দলাদলি ও মনোমালিন্ত আছে তপন আর আমাদের পক্ষে ইহা দোষের কেন হইবে ? ইহা তো জীবনের লক্ষণ, প্রাণেরি তো স্পন্দন ইহাতে দৃষ্ট ও অনুভূত হইতেছে!” এ কথা শুনিয়া দুঃখও হয়, রাগও হয়। বলি—তোমার কোন স্বদেশী দৃষ্টাস্তে দেখায় যে বিবাদেই—বিপ্লবেষ্ট শান্তি ও একতা স্থাপিত হইবে ? আমাদের দেশ গেলষ্ট তো ঐ দোষে। কুরু-পাগুবে যুদ্ধ, হিন্দু-মুসলমানে বিবাদ, ভা’য়ে ভায়ে বিরোধ, গৃহে গৃহে মতান্তর ! এ সবের ফলে বড় উন্নতিমঞ্চেই আজ আমরা অধিষ্ঠিত হইয়াছি,—ন ? কল্পনা হইতে একটু প্রত্যক্ষে নামিয়া আইস। দেখো—গৃহবিবাদ ও মনোমালিন্তেই এ সোণার দেশ আজ দাব-দগ্ধ হইয়াছে ! তবু যদি বল--"ঐ সব স্বাধীন জাতির তো বিলোপ পাইতেছে না ? তাহারা দলাদলি করিয়া তো বরং দেশেরি উপকার করিতেছে!” তবে সে কথার আমার উত্তর— তাহারা স্বাধীন জাতি! মূলে তাহার এক ; তাহদের সকলেরি মনটি দিক-নির্ণয়-যন্থের কঁাটার দ্যায় ঐ স্বদেশেরি দেশ-স্বার্থে নিমগ্ন করিয়া চরম স্বার্থে উপনীত হইতে শিখিয়াছে। তাহীদের পক্ষে এরূপ দলাদলি পরিণামে একতার বিঘ্ন না জন্মাষ্টয়া, বরং দৃঢ়ীভূত করে ও দেশের হিতামৃষ্ঠানেই তাহ নিঃশেষ হয়।—তাহাদের কথা স্বতন্ত্র। চাদের সহিত পেচকের উপমা ? হায়, তাহা হইবার নহে? আগে এক হও, যোগ্য হও ; তারপর, ঐ সব দৃষ্টান্ত দেখাষ্টয়া, অনুকরণে প্রবৃত্ত হইও। এখন কেন এ সব অনধিকার-চর্চা করিয়া দেশের ও নিজেদের সৰ্ব্বনাশ সাধিতেছ? অনেক কাজ আছে, তারপর ঐ সব হইবে ;