পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԵ8 এক জন মেয়ে প্রায় ছ’ঘণ্টা নাচ চালালেন। আমাদের দু'জনের কাছে ছবি তোলার ক্যামেরা ছিল। মেয়ের ছবি তোলার জন্তে পীড়াপীড়ি আরম্ভ করলেন। তাহাদের একটা group তুলুম্। আরো ক’টা ছবি তুলেছি, কি রকম হ’য়েছে দেখো । - এই সব ব্যাপারের পর বাসায় ফিরে এলুম। ফিরে atri Istoratsitrnst (Gymnasium) sts কনকনে জলে সাতার কেটে একটু ঠাণ্ডা হয়ে নিলুম। সেদিন বেশ গরম পড়েছিল। বাসায় এসে দেখি, এক গাদা চিঠি ও কাগজ এসে রয়েছে। সন্তোষ আমার সঙ্গে যায় নি । সে বেশ চিঠিপত্র পড়া শেষ করে পা ছড়িয়ে খবরের কাগজ পড়ছে। যায় নি বলে সে এক বেলা আগে চিঠি পেয়েছে। এ জষ্ঠে সে মনে করছে খুব ভালই করেছে। তোমার কি মনে হয় ? এ রকম একটা চড়িভাতির জন্তে এক বেল চিঠি না দেখার ক্ষতিটা স্বীকার করা যেতে পারে না কি ? ইতি ৮ই শ্রাবণ রবিবার। সেবক, শ্রীরথী। শ্ৰীচরণকমলেষু, রথী পোকা সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক খবর সংগ্ৰহ ক’রে নিয়ে এসেছে। তবু তোমার চিঠিটা কত ছোট দেখেছে ত ? এবারে ভেবেছিলুম রাস্তায় নিশ্চয় জাহাজ ডুবি হয়েছে। তাই এই তিনদিন ধরে শোক করছিলুম,— চিঠিগুলো নেহাৎ সমুদ্রে মারা গেল । তারপর শনিবারের দিন অতগুলো হারানিধি একসঙ্গে পেলে কার না আনন্দ झग्न ? ' জানই ত ভায় আজকাল কীটতত্ত্বের চর্চা করছেন। পোকার সঙ্গে তার কি রকম সদ্ভাব সে ত দেখেইচ, ঘরের মধ্যে র্কাচপোকা কি আরসোলা দেখলে সে কি রকম অস্থির হয়ে পড়তো । তার অধ্যাপক আজকাল আদেশ দিয়েছেন পোকা দেখলেই বোতলে পুরবে। এখন পোকা তো আপনি আপনি বোতলে আসে না । রখীর কি রকম অগ্নিপরীক্ষা চলছে বুঝতেই পারছে ! বেচারি সর্বদা সঙ্গে সঙ্গে দেড়গজ লংক্লথ নিয়ে বেড়িয়ে বেড়ায়। কোথাও একটা बांनी । [ १अ छांन । পোকার সন্ধান পেলেই তার উপর সেই দেড়গজ কাপড় নিয়ে লাফিয়ে পড়ে। তারপর ঘরে এসে, দরজা জানালী লাগিয়ে অত্যন্ত সন্তপণে কাপেটের উপর কাপড় ঝাড়তে থাকে। কাপেটের উপর ইট পাট্রকেল, প্রভৃতি বহুবিধ জিনিস পড়তে থাকে। কিন্তু হায়,— ফড়িং জাতটা এমনি দুবৃত্ত যে, বিজ্ঞানের খাতিরেও একটা পা দান করতে চায় না "দিনান্তে বেচারি পরিশ্রান্ত হ’য়ে ঘরে ফিরে এসে আলো জেলে বসে থাকে, যদি একটা ফড়িং দৈবাৎ লাফিয়ে আলোর উপর পড়ে ! কিন্তু যে দিন থেকে ভায়া কীটতত্বের সেই বড় বইটা ঘরে এনেছেন, সে দিন থেকে আলো দেখেও পোকার আর ঘরে আসছে নী । এই ত অবস্থা ! কাল তাই যখন ভায় বল্লেন “চল গোটাকতক পোকা ধরে আনা যাক,—জায়গা শুনচি বড় চমৎকার"--আমি তাতে রাজি হলুম না। তারপর ফিরে এসে অবধি ক্রমাগত আমার কাছে গল্প কচ্ছে,—“কি চমৎকার ! কি চমৎকার!” ভায়ার চিঠিতে ঐ যে সব বর্ণনা কতটা খাটি একবার দেখতে যাবো। তবে ফড়িং ধরা ব্যাপারটা যে সত্য তাতে আর সন্দেহ নেই। এক বোতল ফড়িং আমাদের পড়বার ঘরের জানালায় সাজানো রয়েছে। ইতি ৮ই শ্রাবণ । সেবক, শ্ৰীসন্তোষ । শ্ৰীচরণকমলেষু, গত ডাকের চিঠি কতকগুলো বাজে কথায় ভরাণে গিয়েছিল। এখন কাজের কথা আরম্ভ করা যা’ক্‌ ৷ বিশ্লেষ করে দেখবার জন্তে যে মাটি পাঠাবার কখা আছে, তা যেন বেশী পরিমাণে পাঠানো না হয়। আমাদের অধ্যাপক Dr. Hopkins বলছিলেন পদ্মা বা বড় নদীর ধারের মাটি পরীক্ষা করে বিশেষ ফল হবে না । ওরকম পলিপড়া জমির পরীক্ষায় ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়—ভিন্ন ভিন্ন রকম ফল পাবার সম্ভাবনা । এ সকল জমি সাধারণতঃ খুব ভাল, সুতরাং উৰ্ব্বরতা (Soil fertility ), নিয়ে কোন হাঙ্গামা নেই, drainage প্রভৃতি নিয়েই যা কিছু গোলৰোগ। অধ্যাপক বলছিলেন যে জমিতে বহুকাল ধরে চাষ হয়ে