পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'రిసెు প্রবাসী। উদ্ভিদতবিদগণ উভয়ের মধ্যে এই প্রকার এক স্বাত্য সেরে বারো আনার বেশী—খরচ হবে না। সকল পোষ্ট আফিলই এর সন্ধান পাওয়া যাবে। কাল এখানে একজন ভারতবর্ষায় ছেলে এসেছেন। র্তার নাম, বি, ডি, পাড়ে—বাড়ি আলমোড়। তিনি আমার সঙ্গেই জাপানে এসেছিলেন। জুর পর আমরা যখন আমেরিকার জন্যে জাপান ছাড় লুম তার সপ্তাহখানেক পরে তিনি এখানে আসার জন্তে বার হয়েছিলেন। কিন্তু জাহাজে অমুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে, তাকে আমেরিকায় নামতে দেয়নি। কাজেই তাকে আবার জাপানে ফিরে যেতে হয়েছিল। এক বৎসর সেখানে অনিচ্ছায় বাস করে, এবারে ভালয় ভালয় এসে নেমেছেন। বোধ হয় আমাদের কৃষিকলেজেই পড়বেন । ইতি—১৬ই শ্রাবণ । সেবক, শ্রীরণী । উদ্ভিদের নিদ্রা। অনেক গাছের পাতা সন্ধ্যার সময় বুজিয়া আসে এবং প্রাতঃকালে দেখা যায় সেগুলি আবার আপন! তইতেষ্ট খুলিয়৷ গেছে। ঝড় বৃষ্টি শত রৌদ্র কিছুই না মানিয়া, ইহার চব্বিশ ঘণ্টা অন্তর এক একবার নিশ্চয়ই বুজিবে উদ্ভিদতত্ত্ববিদগণ এই ব্যাপারটিকে উদ্ভিদের নিদ্রা (Nyctitropic movements) afotoga উদ্ভিদজীবনের এই সুপরিচিত বিষয়টির বিশেষ বিবরণ জানিতে চাহিলে, আধুনিক পণ্ডিতেরা বলেন, আলোকপাত করিলে আমরা পাতার যে সকল নড়াচড়া দেখিতে পাই, এটা সে রকমের ব্যাপার নয়। যে দিক হইতে আলোক ফেলা যায়, সাধারণতঃ সেই দিক অনুসারে পাতার নড়-চড় হয়। কিন্তু উদ্ভিদের নিদ্রার জন্য পাতার যে সঞ্চলন, তাহ আলোকপাতের দিকের (Direction) উপর নির্ভর করে ‘না। অর্থাৎ আজ সন্ধ্যার সময় যে পাতাটিকে নীচে নামিয়া বা উপরে উঠিয়া বুজিতে দেখিলে, আলোক যে দিক্ হইতেই পড়ক না কেন, প্রতিদিনই তাহাকে অন্তকার মতই বুজিতে দেখিবে । সুতরাং পাতার সাধারণ সঞ্চলন হইতে এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণ পৃথক। [१ब छांभ । আনিয়া, নিদ্রাকে উদ্ভিদদেহের এক বিশেষ কাৰ্য্য বলিয়া, সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন। আমাদের স্বদেশবাসী জগদবিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ডাক্তার জগদীশচন্দ্র বসু মহাশয়, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করিয়া—বং " প্রত্যক্ষ পরীক্ষা দ্বারা বৈদেশিক পণ্ডিতদিগের নানা ভ্রম দেখাইয়াছেন। שיא যে সকল পাঠক আচার্য বসু মহাশয়ের আবিষ্কার সম্বন্ধীয় পূৰ্ব্বের প্রবন্ধগুলি পাঠ করিয়াছেন, তাহদের বোধ হয় স্মরণ আছে, গাছের ডালপালার আঁকাবাকার তিনি একটিমাত্র কারণ দেখাইয়াছেন । গাছের ডগা বা পাতার মূলের (pulvinus) উপর ও নীচের পিঠ যখন বিভিন্ন মাত্রায় উত্তেজনশীল হইয় পড়ে, তখনই কেবল আলোক বা তাপ ইত্যাদির উত্তেজনায় আমরা ডালপাতার নড়াচড়া দেখি । কারণ এ অবস্থায় অধিক উত্তেজনশীল পিঠ, কোন প্রকার উত্তেজনা পাইলেই অপর পৃষ্ঠের তুলনায় অধিক সঙ্কুচিত হইয় পড়ে। কাজেই তখন ডাল বা পাতাগুলি না বাকিয়া থাকিতে পারে না । আচাৰ্য্য বসু মহাশয় এই ব্যাপারটিকে অবলম্বন করিয়াই গাছের নানা অংশের নানা প্রকার সঞ্চলনের ব্যাখ্যান দিয়াছেন, এবং এখন ইহাকেই অবলম্বন করিয়া গাছের নিদ্রারও ব্যাখ্যান দিতেছেন। আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, আলোকপাতে গাছের পাতার নড়াচড়া এবং নিদ্রাকালে সেগুলির বুজিয়া যাওয়াকে আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ সম্পূর্ণ পৃথক ব্যাপার বলিয়া স্থির করিয়াছেন । আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয় ইহা সম্পূর্ণ অস্বীকার করিয়া বলিতেছেন, প্রচলিত সিদ্ধান্ত অনুসারে যদি সত্যই নিদ্র ব্যাপারটা উদ্ভিদদেহের এক বিশেষ কাৰ্য্য হইত, এবং আলোকের প্রাথর্য্যের পরিবর্তন যদি তাহার কারণ হইত, তবে সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনাইয়া আসিবা মাত্র আমরা খোল পাতাগুলিকে চোখের সামনে সদ্য সন্ত বুজিতে দেখিতাম। প্রাতঃকাল হইতে সন্ধ্যা পর্যাস্ত বৃক্ষপত্র পর্যবেক্ষণ করিয়া আচাৰ্য্য বস্তু মহাশয় দেখিয়াছেন, যতই বেল বাড়িতে আরম্ভ করে, পাতাগুলিও ততই এক একটু করিয়া বুজিয়া আসে ; এবং শেষে সন্ধ্যার সময় তাহার একবারে বুজিয়া যায়। সুতরাং দেখা যাইতেছে, প্রাতঃকাল হইতে আরম্ভ করিয়া বোজার কাজটা সন্ধ্যা পর্য্যন্ত অবিচ্ছেদেই চলে, এবং দিনের শেষে