পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা । ] সেই কাজটা চরমে পৌঁছিয়া পাতাগুলিকে একবারে মুদিত করিলে, তখন তাহ আমাদের নজরে পড়ে। ইহা হইতে স্পষ্টই বুঝা যায়, আলোকের প্রাথর্য্যের আকস্মিক পরিবর্তনের সহিত বৈজ্ঞানিকগণ পাতার নিমীলনের যে সম্বন্ধ অনুমাণ করিয়া আসিতেছিলেন, তাই সত্যই ভূল। প্রচলিত সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করিলে,বলিতে হয়, স্বৰ্য্যাস্তকাল ইতে পানির উদকাল পর্যন্ত যে হীর্ঘসময় চারি দিক অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে, সে সময় পাতাগুলিও জোট বাধিয়া মুম্বুপ্ত থাকে। কিন্তু প্রত্যক্ষ পরীক্ষায় তাহ দেখা যায় না। রাত্রি যতই অগ্রসর হইতে থাকে, পাতাগুলিও ততই খুলিতে আরম্ভ করে, এবং শেষে প্রভাত হইলে তাহারা সম্পূর্ণ উন্নীলিত হইয়া পড়ে। সম্পূর্ণ উন্মীলনের জন্য অনেক গাছের পাতা প্রভাত পৰ্য্যন্তও অপেক্ষ করে না । দু’একটি গাছের পাতাকে মধ্যরাত্রিতেই বিকশিত হইতে দেখা গিয়াছে। সুতরাং রাত্রির অন্ধকারকে কখনই উদ্ভিদের নিদ্রা অর্থাৎ পাতা বোজার কারণ বলিয়া স্বীকার করা যায় না। আচাৰ্য্য বসু মহাশয় এই প্রকারে পদে পদে প্রচলিত সিদ্ধান্তের ভ্রম দেখাইয়াছেন, এবং এখানে অন্ধকারকেই পাতার উন্মীলনের কারণ বলিয়া প্রতিপন্ন করিয়াছেন। ‘ ইতিপূৰ্ব্বে “স্বতঃ সঞ্চলন” ও “পৌনঃপুনিক সাড়া” 'Autonomous movements and multiple response) ?r?fs @RTwi zR-5tw3ta (Desmodium Gyran) ইত্যাদি কতকগুলি গাছের পাতা কি প্রকারে মাপন হইতেই উঠা নাম করে তাহ আমরা উল্লেখ করিয়াছি বং ঐ প্রসঙ্গে পাতার উঠা নামার কারণও দেখানে গয়াছে। আচাৰ্য্য বস্ব মহাশয় উদ্ভিদের নিদ্রা ও জাগরণকে ? "স্বত: সঞ্চলনেরই” একটা উদাহরণ বলিয়া গণনা রিয়াছেন। পার্থক্যের মধ্যে এই যে, বন চাড়ালের পাত যমন খুব ঘন ঘন উঠানাম করে, অপর বৃক্ষের পাতাগুলি * প্রকার না করিয়া চব্বিশ ঘণ্টা অন্তর উঠিয়া নামিয়া গরণ ও নিদ্রার ভাণ করে। বাহিরের উষ্ণতাদির মাত্র ইপারে বন চাড়াল গাছের পাতার উঠানাম ইত্যাদি নান বিবর্তন মুক্ত হয়,কিন্তু ঐ সকল কারণে উদ্ভিদের নিরােিলর °ब्रिबर्डन श्ब्र म । शस्त्र झंडे ७ नेउ औग्न ऍछेडिट्नग्न मित्झां । নামিতে নামিতে সন্ধার সময় সম্পূর্ণ নামিয়া ७ ८खांज्र बैंॉशिग्नीं శ్రీన్స్డ్స স্বষুপ্ত হইয় পড়ে। 驗 競 এখন জিজ্ঞাসা করা যাইতৃে পারে, আলোকের উত্তেজনা দ্বারাই যদি উদ্ভিদের নিদ্র উৎপন্ন হয়, তবে মেঘাচ্ছন্ন দিনে অর্থাৎ যখন আলোকের উত্তেজনা থাকে না, তখনো পাতাগুলি কেন যথা সময়ে বুজিয়া আসে ? আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয় এই প্রশ্নটির অতি সুন্দর মীমাংসা করিয়াছেন। " " এই আলোচনায় প্রবৃত্ত হইবার পূৰ্ব্বে, আলোকের উত্তেজনায় গাছের পাতা চব্বিশ ঘণ্টা অন্তর কি প্রকারে উঠা নামা করে—তাহা জানা আবশ্যক। লাউ বা কুমড়া গাছের লতানো ডগার উপরের পিঠ ক্রমাগত রৌদ্র বৃষ্টি ইত্যাদিতে উন্মুক্ত থাকে বলিয়া, নীচের পৃষ্ঠের তুলনায় এদিকটা অল্প উত্তেজনশীল হইয় পড়ে। এই লাউডগা লইয়া আলোচনা সুরু করা যাউক । মনে করা যাউক ঐ লতাটির উপর যেন সোজাসুজি ভাবে সুর্য্যের আলোক আসিয়া পড়িতেছে। বলা বাহুল্য সূর্য্যের আলোকের উত্তেজিত করিবার ক্ষমতা আছে। কাজেই বহুক্ষণ ধরিয়া উপরের পিঠে সূর্য্যের আলোক পড়িতে থাকিলে, আলোকের উত্তেজনাটা ডগার ভিতর দিয়া নীচের পিঠে পৌছিবে। কিন্তু আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, কুমড়ার ডগার উপরের পিঠ অপেক্ষ নীচের পিঠ অধিক উত্তেজনশীল। এজন্ত প্রত্যক্ষ সুৰ্য্যালোক পাইয়া উপরকার পিঠ যতটা উত্তেজিত হয়, নীচেকার পিঠ পরিবাহিক উত্তেজনার তাহ অপেক্ষ অনেক অধিক উত্তেজিত হইয় পড়ে। বৃক্ষের কোন অঙ্গ উত্তেজিত হইলে, উহার সঙ্কোচ দ্বারা উত্তেজনার অস্তিত্ব বুঝা যায়। কাজেই স্বৰ্য্যালোকে যখন ডগার উপরের পৃষ্ঠ অপেক্ষ নীচের পিঠ অধিক উত্তেজিত হইয়া পড়ে, তথন নীচের পিঠের সঙ্কোচের মাত্রাও উপরের তুলনায় খুব বাড়িয়া যায়। . কোন লম্বা জিনিসের নীচেকার পিঠ উপরের পিঠ অপেক্ষ সঙ্কুচিত হইলে, তাহার আকারটা যে কি প্রকার' হইবে তাহ অনুমান করা কঠিন নয়। এ অবস্থায় তাহার ধনুকাকারে বাকিয় যাওয়া ব্যতীত আর উপায় নাই । আমাদের উদাহৃত কুমড়ার ডগাতেও অবিকল ভাইই