পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8X o “মনে হয়েছে। , t To welcome thee to their most ancient town, The worthy representative of the Crown. , F1 “Worthy' কেটে কর alorious—সবটা শোন দিকিন—লিখেনাও.. . * Hail Bamfylde Fuller—Lord of half Bengal, How glad are Dinajshahi people all To welcome thee to their most ancient town The glorious representative of the Crown— লিখে ফেল--লিথে ফেল। এমন ভাবরত্ন হারিয়ে গেলে আর পাওয়া যাবে না ।” সুবোধ ! বলিলেন—“দেখ, আমায় গোট পঞ্চাশ টাকা ধার দিতে পার ?” জগৎ কৃত্রিম রোষ প্রদর্শন করিয়া বলিলেন—“আচ্ছা বেল্লিক বেরসিক তুমি ত হে ! হচ্চে কবিতার চর্চা । এমন সময় বল্পে কিনা টাকা ধার দিতে পার? যাও আমি তোমায় কবিতা রচনায় সাহায্য করব না।” সুবোধের মুখে হাসি নাই। র্তাহার ললাট কুঞ্চিত। বলিলেন—“না, ঠাট নয়। গোট পঞ্চাশেক টাকা দাও। আমার মাথায় একটা মতলব এসেছে।” “কি মতলবটা শুনি ?” “বড় দাও পেয়েছি। বড় আইডিয়াটাই আমার মাথায় তুমি ঢুকিয়ে দিয়েছ। গভর্ণমেণ্টকে ঠকিয়ে আমি একটা সুবিধে করে নেবই নেব। দেখি এসপার কি ওস্পার।” জগৎ একটু বিস্মিত হইয়া বলিলেন-“কি করতে চাও?” "ফুলার সাহেবকে অভ্যর্থনা করব।” “কি পাগল ! কে তুমি ? রাজা নও, জমিদার নও, বড় চাকরিও কর না,—তোমার অভ্যর্থনা ফুলার সাহেব নেবেই • বা কেন ? তোমায় কি ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব ষ্টেশনে যেতে নেমস্তন্ন করবেন? দরবারের কার্ড পাবে? প্রাইবেট ইন্টারভিউ করবার সুযোগ পাবে ?” “নাই পেলাম। কিন্তু আমি এমন পন্থা অবলম্বন করব— যাতে ফুলার সাহেবের নজরে পড়ে যাবই যাব। তা হলেই কার্য্যোদ্ধার ।” .জগৎ বাবুর মুখ হইতে হাস্ত পরিহাসের ভাব এখন তিরোহিত। বলিলেন—“কি পাগলামি করছ ? দেশমুদ্ধ প্রবাসী । [ १ब छां★ লোক কেউ স্কুলার সাহেবকে অভ্যর্থনা করবে ন—তুমি এক করবে! তুমি দেশদ্রোহীর মণ্ড নিজের স্বার্থের জন্তে দেশনায়কদের মতের বিরুদ্ধে কায করবে ?” সুবোধ বলিলেন—“জগৎ, তুমি ছেলে মানুষের মত কথা বলছ। আমি যে চার বছর ধরে এখানে পড়ে পচে মরছি, স্ত্রীর গহন বিক্ৰী করে বাসা খরচ চালাচ্ছি, শেনারকের কোনও দিন কি আমায় ডেকে জিজ্ঞাসা করেছেন—“ওহে, তোমার ঘরে আজ চাল আছে ত ?--ছোট ছেলে মেয়েদের জন্তে আমি দুধ কিনতে পারিনে—শুধু কোলের মেয়েটির জন্তে একসের করে দুধ নিই--অন্ত ছেলে মেয়েদের আমার স্ত্রী মুজি সিদ্ধ করে চিনি দিয়ে খাওয়ায়—ত তুমি খবর রাথ ? নিয়মিত মাইনে পায় না বলে কোন ঝিই বেশীদিন টেকে না,—কুয়ো থেকে জল তুলে তুলে আর বাসন মেজে মেজে আমার স্ত্রীর হাত,ছুটি শক্ত হয়ে গেছে। আমি যদি একটা সুযোগ পেয়ে, নিজের উন্নতি করে নিতে পারি ত কেন নেব না ? সত্যি সত্যি যে এই নতুন আসাম গভর্ণমেণ্টের উপর আমার ভক্তি উছলে উঠছে তা ত নয়। গভর্ণমেণ্ট আমাদের ফাকি দিয়ে দেশথেকে সৰ্ব্বস্বটা নিয়ে যাচ্ছে-আমি গভর্ণমেণ্টকে ফঁকি দিয়ে একটা সরকারী উকীলগিরি যদি নিতে পারি ত ক্ষতিটা কি ? কতকাল আর এ রকম করে পাওনাদারের কাছে প্রতিদিন অপমানিত হব,—ছেঁড়া জুতো ছেড়া কাপড় পরে বেড়াব ?” জগৎপ্রসন্ন কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন। শেষে বলিলেন—“কি করবে স্থির করেছ ?” “বাড়ীটে বেশ করে সাজাব।” ‘তাতেই তোমার অভিপ্রায় সিদ্ধ হবে ?” “না তা হবে না । সেটা উপক্রমণিক মাত্র । বীজবপন মাত্র। তারপর আপনিই সমস্ত যোগাড় হয়ে উঠবে। এমন অবস্থা হয়ে দাড়াবে যে ফুলার সাহেবের সুনজরে পড়ে যাবকাজ বাগিয়ে নেব।” “যোগাড়টি হবে ত? না শুধু লোকগঞ্জনাই সার হবে ?” “ঠিক যোগাড় হবে। কিন্তু তুমি সাহায্য না করলে হবে না।” “আমায় কি করতে হবে ?” “যখন যেমন যেমন বলব, তখন তেমন তেমন করবে।