পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১৬ পঞ্চম পরিচ্ছেদ । লাটসাহেবের র এক সপ্তাহ পরে, বারের প্রধান উকীল কিশোরীমোহন বাবুর পূত্রের বিবাহ উপস্থিত হইল। কিশোর বাৰু বৃদ্ধ অতি ক্ষমাশীল অমায়িক প্রকৃতির লোক । স্ববোধকে সকলেই অপদস্থ করিতে আরম্ভ করায় তিনিই কেবল সুবোধের পক্ষাবলম্বন করিয়া মাঝে মাঝে দুই এক কথা বলিয়া থাকেন। তিনি বলেন—“সুবোধ কাজটা যা করেছে তা অত্যন্ত গৰ্হিত সন্দেহ নেই। ছেলে মানুষ, না বুঝে করে ফেলেছে। তাই বলে কি ওর উপর অমন করে জুলুম করতে আছে! আহা বেচারি কাগজে যা গাল’টা খেয়েছে অন্তলোক হলে পাগল হয়ে যেত। যথেষ্ট হয়েছে, আর কেন ? আর তোমরা ও কথা উত্থাপন কোরে না।” ফলতঃ দুই চারিজনের পরামর্শ অগ্রাহ করিয়া তিনি স্থবোধ বাবুকেও বিবাহে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। সন্ধ্যাকাল। আফিসকক্ষে বসিয়া স্থবোধচন্দ্র ধূমপান করিতেছিলেন। শালমুড়ি দিয়া জগৎ বাবু আসিয়া দর্শন দিলেন। "এস এস—আর যে দেখাই পাওয়া যায় না। দুটো মনের কথা বলবার ফুরসৎ পাইনে।” জগৎ বাবু বলিলেন—“আর ভাই, ব্যাপারটি যে রকম জমিয়ে তুলেছ—আসতে ভয় করে পাছে ধরা পড়ে যাই। কিন্তু আসল কাজের ত কোনও চিন্তু দেখছি নে। কেবল কি গাল’ খেয়েই মরলে ?” “আসল কাজই হবে । ভাল করে গোড়া বাধি আগে । সবুরে মেওয়া ফলবে হে—মেওয়া ফলবে।” "কাগজে দেখলাম ফরিদসিংহের সরকারী উকীলের চাকরি যাবে স্থির হয়েছে। একটা দরখাস্ত ঝেড়ে দাও না ।” “না ভাই—এ খণ্ডপ্রলয়ের পর বারে আর সুবিধে হবে না। ফুলাম যেন সরকারী উকীল—কিন্তু বার লাইব্রেরীতে কেউ আমার সঙ্গে কথা কবে না। তাতে कि श्रृंथ हद ?” তবে কি করবে ?” "একটা ডেপুটিগিরি পেলেই ভাল হয়। বাধা মাইনে জাল গেলেই। হাকিম পদটাও লোভনীয় ।” “ङएक् ७ोहे बङ्गथारप्ट कन्न म ।” প্রবাসী । [१ब चात्रो “ন, এখন নয়। আর একটু গোড়া বাধি দাড়াও।” “আর কি গোড়া বাধবে ?” “একঘরে হতে হবে। তোমরা আমার একঘরে করে দাও ; বস আর কিছু চাইনে। তাহলেই ডেপুটিগিরি আমার বাধা ।” ** "আমি একলা একঘরে করলে ত হবে না।” “কিশোরী বাবু ছেলের বিয়েতে নেমস্তন্ন করেছেন।” “যাচ্চ নাকি o “অবিশুি ।” “তোমায় নেমস্তন্ন করা নিয়ে প্রথমে লোকে একটু গোলযোগ করেছিল। তারপর কিশোরী বাবু বলে কয়ে তাদের থামিয়ে খুমিয়ে দিয়েছেন।” “ঐ ত মুস্কিল হয়েছে। তুমি এক কাজ কর । যখন খেতে বসা যাবে, তখন তুমি একটা গোলমাল বাধাও।” “তার পর ” “তার পর আমি উঠে আসব। তার পর লম্বা টেলিগ্রাম কাগজে কাগজে ।” - জগৎ বাবু বলিলেন--“না হে—অত বাড়াবাড়িতে কায নেই। কাষটাও শক্ত। পারব না।” “পারতেই হবে। এইটিই আসল—এরি উপর সব নির্ভর করছে। এইটে হলেই তখন গভর্ণমেণ্টের কাছে আমার দাবীর জোর হবে ।” অনেক বলা কহার পর জগৎ বাবু রাজি হইলেন। এক পেয়ালা চা পান করিয়া তিনি বিদায় গ্রহণ করিলেন। পরদিন নিমন্ত্রণ সভায় যথাপরামর্শ কাৰ্য্য হইল। জগৎ বাবু উচিত মুহূর্তে বলিলেন—“মহাশয়গণ, আমার ক্ষম করবেন—আমি এ নিমন্ত্রণ সভায় ভোজন করতে অক্ষম। সুবোধ বাবুর মত দেশদ্রোহী ব্যক্তির সঙ্গে একত্র আহার করলে আমার জাতিপাত হবে।” এই কথা শুনিয়া আরও কয়েকজন বলিল—“আমরাও খাব না।” বলিয় তাহারাও উঠিয়া পড়িল । স্থবোধ বাবু উঠিয়া বলিলেন—“মশায়—একজনের জন্তে আপনারা এতজন কেন অদ্ভুক্ত ফিরে যাবেন? তার চেয়ে আমিই উঠে ৰাচ্ছি।” বলিয়। তিনি বায়ুবেগে বার্তার হই। পড়িলেন। : 4.