পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8રઈ § করিম, নৃশংস *. নাপতি ** বলিয়া পরিੋਣ .** ইটাছিলেন। --- তাহার তৃত্যবর্গ তাহাকৈ ১৪৪২ খৃষ্টাব্দে নিহত করিলে, ইলিয়াস শাহের বংশধর নসি.rদীন মহম্মদ শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। ইহার সময়ে গৌড়-নগর আবার সমৃদ্ধিশালী হইয়া উঠিয়াছিল। ১৪৬০ খৃষ্টাব্দে মহম্মদ শাহের পুত্র বাৰ্ব্বাক শাহ সিংহাসনে আরোহণ করিয়া, চতুর্দশ বর্ষ কাল নিরুদ্বেগে রাজ্যশাসন করিয়াছিলেন। কিন্তু ইহার শাসন সময়েই ধ্বংসবীজ সংগৃহীত হয়। ইনি সেনাদলে ৮০০০ হাদী ক্রীতদাসকে স্থানদান করিয়াছিলেন। বাৰ্ব্বাক শাহের পুত্র ইউসফ শাহ সাত বৎসর রাজ্যভোগ করিয়া, ১৪৮১ খৃষ্টাব্দে পরলোকগত হইলে, র্তাহার খুল্লতাত ফতে শাহ হার্সী ক্রীতদাসদিগের প্রভৃত্বে ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন । তাহাদিগকে দমন করিতে গিয়া সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত হইল। তাহারা পাঠক সেনাদলের সহিত যোগদান করিয়া, ১৪৮৭ খৃষ্টাব্দে প্রভূতত্যা করিয়া, বারিক নামক খোজাকে সুলতান শাহজাদা নামে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিয়া দিল -- বাঙ্গালার সিংহাসনে এইরূপে এক নপঃসক সমাসীন হইল । তাহাকে অধিকদিন রাজ্যাভিনয় করিতে হইল না। তাবলী সেনাপতি মালিক ইন্দিল ইহাকে নিহত কবিয়া, সষ্টম উদ্দীন ফিরোজ শাক্ত নামে সিংহাসনে আরোহণ করিলেন । ইহার মিনার অদ্যপি “ফিরোজ মিনার” নামে বর্তমান আছে । ফিরোজ শাহের পর নসিরুদ্দীন মহম্মদ শাহ । তিনি ভাল করিয়া সিংহাসনে উপবেশন করিতে না করিতেই, সেনা কর্তৃক নিহত হন। আবার একজন হাবলী মজফফর শাহ নামে সিংহাসন অধিকার করেন। গৌড়ের সিংহাসন যখন এইরূপে হাসী ক্রীতদাসদিগের ক্রীড়াকদুকে পরিণত হইয়াছিল, সেই সময়ে হোসেন শাহ উজিরি করিতেন। তিনি ১৪৯৪ খৃষ্টাব্দে যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া, মজফফর শাহকে পরাভূত ও নিহত করিয়া, সিংহাসনে আরোহণ করিলেন। গৌড় আবার শাস্তমূৰ্ত্তি ধারণ করিল। হোসেন শাহ হাসী সেনাদলকে ও পাইকগণকে নিৰ্ব্বাসিত করিয়া, শাস্তি সংস্থাপিত করিয়াছিলেন। . হোসেন শাহের শাসনযুগ গৌড়ীয় ইতিহাসের কল্যাণ t প্রবাসী । যুগ। এই যুগে মহাপ্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য গৌড়ে পদার্পণ [ ৭ম ভাগ । করিয়াছিলেন, এবং সেই সূত্রে হোসেন শাহের প্রধান মন্ত্রী রূপসনাতন সংসার তাগ করিয়াছিলেন । হোসেন শাহের বিদ্যানুরাগ প্রবল ছিল। বঙ্গসাহিত্যও তাহার নিকট সমুচিত উৎসাহ লাভ করিয়াছিল। তাহার পুত্ৰ নসরৎ শাহ পিতার দ্যায় লোকরঞ্জন করিতেন। কিন্তু তিনি পাণিপথের মোগলপাঠানের তুমুল কলহে লোদীপক্ষ অবলম্বন করায়, বাবর তাহার উচ্ছেদ সাধনের জন্য কৃতসংকল্প হন । নসরৎ শাহ অনন্তোপায় হইয়া বশ্যতা স্বীকার করিয়া আত্মরক্ষা করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহার খোজাগণ তাহাকে নিহত করিয়া, তাহার পুত্র ফিরোজ শাহকে সিংহাসন দান করিয়াছিল। ফিরোজের খুল্লতাত মামুদ শাহ তাহাকে নিহত করিয়া সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাহাকে অধিক 'দিন রাজ্যভোগ করিতে হইল না। বিহারাধিপতি সের আফগান ১৫৩৭ খৃষ্টাব্দে গৌড় নগর অবরোধ করিয়া, তাহাকে বিধ্বস্ত করিয়া ফেলিলেন।8 সন্ধি তইলেও, রাজশ্ৰী বিনষ্ট হইয়া গেল ;- মামুদ ভগ্নমনোরথে প্রাণত্যাগ করিলেন ! স্যুল্লাপুরে ঠহার সমাধি দেখিতে পাওয়া যায়। সেই শেষ + তাহার পর গৌড় একটি প্রাদেশিক রাজ্যে পরিণত হইয়া, দিল্লীশ্বরের অধীন হইয় পড়ে। সেই অবস্থায় ১৫৭৫ খৃষ্টাব্দে সম্রাট আকবর শাহের প্রতিনিধি মনায়েম খার শাসন সময়ে গৌড়নগর মহামারীতে জনশূন্ত হইয়া, ক্রমে বিজন বনে পরিণত হুইয়াছে ; শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয়।

  • The Portuguese, as we are told by Faria Y Souza, sent on this occasion nine ships to Mahmud's assistance, but they did not reach Gour till after the City's surrender.—Ravenshaw's Gour, p, roI note.

+ From its sack by Sher Khan's officers, in 1537, and from its depopulation by the plague in 1575, it never subsequently recovered.—Ibid, p. 102. } ক্রমে যে সকল ঐতিহাসিক তথা আবিষ্কৃত হইতেছে, তাহতে গৌড়ের ইতিহাস নুতন করিয়া লিখিবর প্রয়োজন উপস্থিত হইয়াছে। ধ্বংসাবশেষ দর্শন করিবার সময়ে বিশেষ কৃতিকের প্রতি কৰ্ণপাত করিবার প্রয়োজন হয় না। সুতরাং ধ্বংসাখ শষের স্বর্ণনা করিযার সময়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে প্রচলিত কাহিনী বিবৃত হংল। বিশেষ কাহিনী "গোঁড়কাহিনী” নামে স্বতন্ত্রভাবে লিখিত হইতেছে।