পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] ঔদ্ধতোর জন্ত সমুচিত শিক্ষা দিবার মানসে ইংরাজরাজ পিগু প্রদেশ স্বরাজ্যভুক্ত করিয়া লইলেন । এই অভিযানের সময় বৰ্ম্মীরাজ্যের সহিত কোনওরূপ সন্ধিস্থাপনও ইংরাজেরা আবশ্যক বিবেচনা করেন নাই। " যে সময় বৰ্ম্মার সহিত ইংরাজের দ্বিতীয় মৃদ্ধ হয় সে সময় রাজা মিগুন মিন বৰ্ম্মার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৮৩৯ খ্ৰীঃ তইতে ১৮৬২ খ্ৰীঃ পৰ্য্যন্ত বৰ্ম্ম রাজসভায় রীতিমত কোনও ইংরাজ দূত ছিলেন না। ১৮৬২ খ্ৰীঃ সার আর্থার ফেয়ার বক্ষ্মার তদানীন্তন রাজধানী মন্দালয় নগরে তাহার একজন প্রতিনিধি রাগিয়া মান এবং এই সন্ধি করেন যে ইরাবতী নদীর উপর ইংরাজবণিক অবাধে বাণিজ্য করিতে পরিবেন, এবং বৰ্ম্মালণিকও অবাধে ইংরাজ রাজ্যান্তর্গত ইরাবতী নদীর অপরাংশে বাণিজার্থে অলাপে যাতায়াত করিতে পারিবেন। ইংরাজের বলিয়া থাকেন যে বৰ্ম্মারাজ এষ্ট সন্ধির সর্ভানুযায়ী কার্যা করিতে কোনই চেষ্টা করেন নাই। ১৮৬৭ খ্ৰীঃ জেনারেল ফিচ বৰ্ম্মার সহিত আর একটা সন্ধি সংস্থাপন করেন । এই সন্ধি অনুসারে দশ বৎসরের জন্য ইংরাজ বণিককে বৰ্ম্মারাজ কতকগুলি সুবিধাদান করিতে স্বীকৃত হয়েন এবং ইহা দ্বারা ১৮৬২ খ্ৰীষ্টাব্দের সন্ধি পুনরায় দৃঢ়ীকৃত হয়। কিন্তু এত সন্ধি সত্ত্বেও ইংরাজরাজের সহিত বৰ্ম্মারাজের সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠ হয় নাই । মন্দালয়ে যে ইংরাজ রেসিডেণ্ট ছিলেন, তাহাকে ইংরাজ প্রজার দেওয়ানী মোকৰ্দমা বিচার করিবার ক্ষমত দেওয়া হয়। এবং চীন ও বর্ষ্যার সীমান্ত প্রদেশে অবস্থিত ভামো নগরে ইংরাজদিগের পলিটিক্যাল এজেন্সী স্থাপিত হয়। কথিত আছে এষ্ট সময়ে ইংরাজদূতকে রাজদরবারে উপস্থিত হইতে হইলে পাদুকা ত্যাগ করিয়া যাইতে হইত এবং রাজসভায় নতজানু হষ্টয়া উপবিষ্ট হইতে ইষ্টত। ইংরাজেরা এই অপমানকর নিয়ম উঠাইয়া দিবার জন্ত বৰ্ম্মাগভর্ণমেণ্টের নিকট অনেক কাকুতি ১৮৭৮ খ্ৰীঃ খ্রিব সিংহাসনে আরোহণ করেন । ইংরাজের লিয়া থাকেন রাজসভাসদুদিগের চক্রান্ত দ্বারা তাহাকে পহাসনে অধিরূঢ় করান হয়, নতুল তিনি উত্তরাধিকার স্বত্রে বৰ্ম্ম । - & 翰 পিালক নহে। ১৮৭৩ খ্ৰীষ্টাৰে বাবামীদিগের অতীত 8ՀԳ সিংহাসন লাভের যোগতম ব্যক্তি ছিলেন না। রাজসভায় চিরদিনই বিজ্ঞ বিচক্ষণ, ও মান্ত’গণ্য ব্যক্তির সমাবেশ হয়। যদি তাহারা সকলে একমত হইয় রাজবংশের ব্যক্তিবিশেষকে যোগ্যতম পাত্র বলিয়া বিবেচনা করেন, এবং যদি তাহদের এই নির্বাচন প্রজাসাধারণের অনভিপ্রের্ত না হয়, তাঁহা হইলে উত্তরাধিকার সূত্রে সিংহাসনের উপর যথেষ্ট দাবী না থাকিলেও বিশেষ ক্ষতি বৃদ্ধি দেখা যায় না। থিপ দূরদর্শী রাজা ছিলেন বলিয়া বোধহয় । সিংহাসন অধিরোহণের পর তিনি নিজরাজো রাজকাৰ্য্য পরিচালন সম্বন্ধে প্রজাদিগকে ক্ষমতা দিবার প্রয়াস পাইয়াছিলেন । ইংরাজেরা মনে করিয়াছিলেন থিব তাতাদিগের সহিত বিশেয মিত্রতা করিবেন, ফলে কিন্তু তাঙ্গ হয় নাই । সিরাজ উদ্দৌলার দ্যায় থিবও ইংরাজদিগকে কখনও বিশ্বাস করেন নাই পরস্তু ঘৃণা করিতেন । র্তাহার রাজ্য মধ্যে ইংরাজপ্রজা অন্তায় কাৰ্য্য করিলে তাহাদের যথোচিত শাস্তি বিধান করিতে কুষ্ঠিত হইতেন না। ইংরাজের জাহাজ সকল আটক করিতেন, এবং তাহার উপর অনুসন্ধান করিলার আদেশ দিতেন। এ সমস্ত “অত্যাচার" ইংরাজের অসহ্য হইয় পড়ে। তাহার উপর রাজদণ্ড গ্রহণ করিবার অল্পদিন পরেই গিব রাজপ্রাসাদে কতকগুলি রাজবংশধর হত্যা করেন । এ সকল বিবরণ অবশ্য ইংরাজের তরফ হষ্টতে পাওয়া যায়। আজ”যদি রত্নগিরি হইতে মুক্ত হইয়া থিৰ স্বরাজ্যে স্বাধীন ভাবে দিন যাপন করিতে পারিতেন তাহা হইলে ইংরাজের বিবরণ সত্য কি মিথ্যা প্রমাণ করিবার সুবিধা হইত। ইংরাজেরা বলিয়া থাকেন যে এই সময়ে তাঙ্গদের রেসিডেণ্টের সহিত এরূপ অভদ্র ব্যবহার আরম্ভ করা হয়, যে ১৮৭৯ খ্ৰীঃ তাঙ্গদের রেসিডেণ্ট মন্দালয় পরিত্যাগ করিয়া যান। শুনা যায় এষ্ট সময় থিব একজন নিজকৰ্ম্মচারীকে একটা নূতন সন্ধির খসড়ার সহিত ইংরাজরাজের নিকট প্রেরণ করেন । তাহার এই সন্ধির খসড়ার সৰ্বগুলি জানি না, কিন্তু ইংরাজের বলেন যে এই সন্ধি অনুসারে তিনি অস্থা ক্ষমতা যান্ধা করিয়াছিলেন। ইংরাজের আরও বলেন, যে এখন হইতে থিব স্বরাজ্য মধ্যে যথেচ্ছ অত্যাচার আরম্ভ করেন, এবং তঁহার অত্যাচারে দেশ অরাজক হইয় উঠে। দলে দলে দসু্যগণ ভীষণ অরণ্যে" আশ্রয় লইতে থাকে এবং রাজ্যের স্থানে স্থানে বিদ্রোহ আরম্ভ