পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8.98 t সেই সময় বৰ্ম্মায় যথাযথ ভাবে পুলিসবিভাগের সৃষ্টি হয়। ১৯৯১ খ্ৰীঃ পুলিস বিভাগে ১২,৮৭৯ জন কৰ্ম্মচারী ছিল । পুলিস বিভাগের নিম্নশ্রেণীর কৰ্ম্মচারীর জন্য স্থানীয় লোক গৃহীত হয়, কিন্তু সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় যে এ দেশীয় লোকে পুলিস বিভাগে চাকুরী গ্রহণ করিতে অনিচ্ছুক । টিকটিকি পুলিসের কার্য্য এ দেশীয় লোক দ্বারা আদৌ চলে না । স্থানে স্থানে এখনও নিগ্ৰহ পুলিস নিযুক্ত হইয়া থাকে, এবং তাঙ্গাদের ব্যয়ভার স্থানীয় লোকদিগকেই বহন করিতে হয়। বৰ্ম্মার সকল স্থানেই পুলিস বিভাগে পাঞ্জাবদেশীয় লোক দেখিতে পাওয়া যায় । ১৮৮৮ খ্ৰীঃ বৰ্ম্মায় প্রথম মিলিটারি পুলিসের সৃষ্টি হয় । এষ্ট মিলিটারি পুলিসের ১২ট ব্যাটালিয়ন বা দল আছে ; তন্মধ্যে ১০টা উচ্চ বৰ্ম্মার জন্য ও ২ট নিম্ন বৰ্ম্মার জন্য নিযুক্ত আছে । মিলিটারি পুলিসেও অধিকাংশ কৰ্ম্মচারী ভারতবাসী। প্রত্যেক দলের কর্তাস্বরূপ এক একজন থাস গোর কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত আছে, তাহদের অধীনে ভারতীয় কৰ্ম্মচারী দ্বারাই এ বিভাগের কার্য্য চলিতেছে । ১৯০৩ খ্ৰীঃ বৰ্ম্মায় মিলিটারি পুলিসের সংখ্যা ছিল ১৫,০৬২ ! সিবিল পুলিসের কৰ্ম্মচারীদিগকে দা ও বন্দুক ব্যবহার করিতে দেওয়া হয়, এবং মিলিটারি পুলিসের কৰ্ম্মচারী সামরিক বিভাগের কৰ্ম্মচারীর দ্যায় অস্ত্র শস্ত্রে সুসজ্জিত থাকে। ১৯০১ খ্ৰীঃ বৰ্ম্মায় ৩২টা জেল ছিল, এবং ঐ বৎসর কয়েদীর সংখ্যা ছিল ১১,৭৩১ । রেজুন, ইনসিন ও মন্দালয়ে ৩টা বড় জেল আছে ; এ গুলি এক একজন স্বতন্ত্র কৰ্ম্মচারীর হস্তে দ্যস্ত থাকে। অন্তান্ত জেলগুলি জেলার সিবিল সার্জন অথবা অন্ত কোনও প্রধান সরকারী ডাক্তারের দ্বারা পরিচালিত হয়। চিকিৎসা বিভাগে অনেক দিন হইতে বাঙ্গালী ডাক্তারগণ কৰ্ম্ম করিতেছেন । ইহঁাদের মধ্যে একজনের নাম উল্লেখ যোগ্য। ইনি মুখাতির সহিত বহুদিন কৰ্ম্ম করিয়া অল্পদিন হইল কৰ্ম্ম হইতে অবসর লইয়াছেন । ইহঁার নাম শ্ৰীযুক্ত অমৃতলাল মুন্সী, এল, এম, এস। বৰ্ম্ম হইতে প্রধানতঃ নিম্নলিখিত দ্রব্যগুলি বিদেশে রপ্তানি হইয়া থাকে —চাউল, কাঠ, খদির, চামড়া, পেট্রোনিয়ম তৈল, রবার, তুলা ও মূল্যবান প্রস্তরাদি। বিদেশ t প্রবাসী। ১৮৬১ খ্ৰীঃ যখন ভারতীয় পুলিস আইন বিন্ধ , [ १भ छांश । হইতে বৰ্ম্মায় আমদানি হয়—রেশম, লোণ মৎস্ত, পশম, স্বত, চটের থলি, মুপারি, মদ, তামাক লৌহ, কলকারখানার আবখ্যক দ্রব্যাদি, এবং চিনি। নিম্নলিখিত স্থান গুলি এখানকার প্রধান বাণিজ্যস্থান –রেঙ্গুন, মৌলমীন, আকিয়াব, বেসিন, ট্যাভয়, মাগুই, চাকফিউ, স্যাণ্ডোয়ে, মন্দালয়, ভামো, পাকোকু, প্রোম, হেনজেদা ও মিন্ধ্যান । 화해: دهیم. - গোর । ‘o o উপরে গাড়িবারান্দায় একটা টেবিলে শুভ্ৰ কাপড় পাত ;- - টেবিল ঘেরিয়া চৌকি সাজানো । রেলিঙের বাহিরে কার্ণিশের উপরে ছোট ছোট টবে পাতাবাহার এবং ফুলের গাছ । বারান্দার উপর হইতে রাস্তার ধারের শিরীষ ও কৃষ্ণচূড়৷ গাছের বর্ষাজলধৌত পল্লবিত চিকুণতা দেখা যাইতেছে। সুর্য্য তখনও অস্ত যায় নাই ;-পশ্চিম আকাশ হইতে স্নান রেীদ সোজা হইয় বারান্দার এক প্রান্তে আসিয়া পড়িয়াছে । ছাতে তখন কেহ ছিল না। একটু পরেই সতীশ শাদা কালো রোয়া-ওয়ালা এক ছোট কুকুর লইয়া আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার নাম ক্ষুদে । এই কুকুরের যত রকম বিদ্যা ছিল সতীশ তাহ বিনয়কে দেখাইয়া দিল । সে এক পা তুলিয়া সেলাম করিল, মাথা মাটিতে ঠেকাইয়া প্রণাম করিল, একখণ্ড বিস্কুট দেখাইতেই ল্যাজের উপর বসিয়া দুই পা জড় করিয়া ভিক্ষ চাহিল;--এইরূপে ক্ষুদে যে খ্যাতি অৰ্জ্জন করিল সতীশই তাহা আত্মসাৎ করিয়া গৰ্ব্ব অনুভব করিল-ক্ষুদের এই যশোলাভে লেশমাত্র উৎসাহ ছিল না ;– বস্তুত যশের চেয়ে বিস্কুট্টাকে সে ঢের বেশি সত্য বলিয়া গণ্য করিয়াছিল। কোন একটা ঘর হইতে মাঝে মাঝে মেয়েদের গলার খিলখিল হাসি ও কৌতুকের কণ্ঠস্বর এবং তাহার সঙ্গে একজন পুরুষের গলাও শুনা যাইতেছিল। এই অপৰ্য্যাপ্ত হাস্ত কৌতুকের শব্দে বিনয়ের মনের মধ্যে একটা অপূৰ্ব্ব মিষ্টতার সঙ্গে সঙ্গে একটা যেন ঈর্ষার বেদন বহন করিয়া