পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] आणि •. तत्र .s, ۶۰ دهه o ۹۶ ,۶۰ ۶۰ , ۳ - ۰ر، ه n গলার * बानक কলধ্বনি সে বয়স হওয়া অবধি এমন করিয়া কখনো শুনে নাই। এই আনন্দের মাধুর্য তাহার এত কাছে উচ্ছসিত ১ইতেছে অথচ সে ইহা হইতে এত দূরে । সতীশ তাহার কানের কাছে কি বকিতেছিল বিনয় তা মন দিয়া শুনিতেই পারিল না । পরেশ বাবুর স্ত্রী তাহার তিন মেয়েকে সঙ্গে করিয়া ছাতে আসিলেন—সঙ্গে একজন যুবক আসিল সে তাহদের দূর আত্মীয়। পরেশ বাবুর স্ত্রীর নাম বরদাসুন্দরী। র্তাহার বয়স অল্প নতে কিন্তু দেখিলেই বোঝা যায় যে বিশেষ যত্ন করিয়া সাজ করিয়া আসিয়াছেন। বড় বয়স পর্য্যস্ত পাড়াগেয়ে মেয়ের মত কাটাইয়া হঠাৎ এক সময় হইতে আধুনিক কালের সঙ্গে সমান বেগে চলিবার জন্ত ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছেন ; সেই জন্যই তাহার সিস্কের শাড়ি বেশি থস্থস্ এবং উচু গোড়ালির জুতা বেশি খট্‌খট্‌ শব্দ করে। পৃথিবীতে কোন জিনিষটা ব্রাহ্ম এবং কোনটা অব্রাহ্ম তাহারই ভেদ লইয়া তিনি সৰ্ব্বদাই মতান্ত সতর্ক হইয়া থাকেন। সেই জন্যই রাধারাণীর নাম পরিবর্তন করিয়া তিনি সুচরিত রাখিয়াছেন। কোনো এক সম্পর্কে তাহার এক শ্বশুর বহুদিন পরে বিদেশের কৰ্ম্মস্থান হইতে ফিরিয়া আসিয়া তাহাদিগকে জামাক্টষষ্ঠী পাঠাষ্টয়াছিলেন-পরেশ বাৰু তখন কৰ্ম্ম উপলক্ষে অনুপস্থিত ছিলেন। বরদাসুন্দরী এই জামাইষষ্ঠীর উপহার সমস্ত ফিরৎ পাঠাইয়াছিলেন। তিনি এ সকল ব্যাপারকে কুসংস্কার ও পৌত্তলিকতার অঙ্গ বলিয়া জ্ঞান করেন। মেয়েদের পায়ে মোজা দেওয়াকে এবং টুপি পরিয়া বাহিরে যাওয়াকে তিনি এমন ভাবে দেখেন যেন তাহাও ব্রাহ্মসমাজের ধৰ্ম্মমতের একটা অঙ্গ । থাইতে দেখিয়া তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করিয়াছিলেন যে আজকাল ব্রাহ্মসমাজ পৌত্তলিকতার অভিমুখে পিছাইয় পড়িতেছে। তাহার বড় মেয়ের নাম লাবণ্য। সে মোটাসোটা, সিখুসি, লোকের সঙ্গ এবং গল্পগুজব ভালবাসে। মুখটি গোলগাল, চোখ দুটি বড়, বর্ণ উজ্জল খাম। বেশভূষার ব্যাপারে সে স্বভাবতই কিছু ঢিলা কিন্তু এ সম্বন্ধে তাহার গোরা । মাতার শাসনে তাকে চলিতে इंच । ( * * * লর জুতা কোন ব্রাহ্ম পরিবারে মাটিতে আসন পাতিয়া । 896. সে পরিতে সুবিধা বোধ করে না, তবু না পরিয়া উপায় নাই। বিকালে সাজ করিবার সময় মা স্বহস্তে তাহার মুখে পাউডার ও দুই গালে রং লাগাইয় দেন। একটু মোটা বলিয়া বরদাসুন্দরী তাহার জামা এমনি জাট করিয়Tতৈরি করাইয়াছেন যে লাবণ্য যখন সাজিয়া বাহির হইয়া আসে তখন মনে হয় যেন তাহকে পাটের বস্তার মত কলে চাপ দিয়া আঁটিয়া বাধা হইয়াছে। মেজ মেয়ের নাম ললিত । সে বড় মেয়ের বিপরীত বলিলেই হয় । তাহার দিদির চেয়ে সে মাথায় লম্বা, রোগা, রং আর একটু কালো, কথাবার্তা বেশি কয় না, সে আপনার নিয়মে চলে, ইচ্ছা করিলে কড়া কড়া কথা শুনাইয়া দিতে পারে। বরদাসুন্দরী তাহাকে মনে মনে ভয় করেন, সহজে তাঙ্গকে ক্ষুব্ধ করিয়া তুলিতে সাহস করেন না । ছোট লীলা, তাহার বয়স বছর দশেক হইবে । সে দৌড়ধাপ উপদ্রব করিতে মজবুৎ—সতীশের সঙ্গে তাহার ঠেলাঠেলি মারামারি সর্বদাই চলে। বিশেষত ক্ষুদে নামধারী কুকুরটার স্বত্বাধিকার লইয়া উভয়ের মধ্যে আজ পর্য্যন্ত কোনো মীমাংসা হয় নাই। কুকুরের নিজের মত লইলে সে বোধ হয় উভয়ের মধ্যে কাহাকেও প্রভুরূপে নিৰ্ব্বাচন করিত না ;–তবু দুজনের মধ্যে মে বোধ করি সতীশকেই কিঞ্চিৎ পছন্দ করে। কারণ, লীলার আদরের বেগ সম্বরণ করা এই ছোট জন্তুটার পক্ষে সহজ ছিল না । বালিকার আদরের চেয়ে বালকের শাসন তাহার কাছে অপেক্ষাকৃত সুসহ ছিল। বরদাসুন্দরী আসিতেই বিনয় উঠিয়া দাড়াইয়া অবনত হইয় তাহাকে প্রণাম করিল। পরেশ বাবু কহিলেন— “এরই বাড়িতে সেদিন আমরা—” বরদী কহিলেন –“ওঃ ! বড় উপকার করেছেন— আপনি আমাদের অনেক ধন্যবাদ জানবেন ।” শুনিয়া বিনয় এত সঙ্কুচিত হইয়া গেল যে, ঠিকমত উত্তর দিতে পারিল না । মেয়েদের সঙ্গে যে যুবকটি আসিয়াছিল তাহার সঙ্গেও বিনয়ের আলাপ হইয়া গেল। তাহার নাম সুধীর। সে কলেজে বি এ পড়ে। চেহারাটি প্রিয়দর্শন, রং গেীর, চোখে চশমা, অর গোফের রেখা উঠিয়াছে। ভাবখানা