পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se' লিগেশন মধ্যে ছিলেন, আমাকে বলিয়াছিলেন যে “The Boxers acted in a half-hearted manner; if they liked they could easily have killed every one of the Legation. সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী তাহদের গ্রীষ্মাবাসে ছিলেন, রাজমন্ত্রিগণ নিষেধ করা সত্বেও তাহারা পেকিনের শতাবাসে আসিয়া উপস্থিত হন, উদ্দেশু যে রাজধানীতে সমাজ্ঞী উপস্থিত থাকিলে বিদ্রোহিগণ ও রাজকীয় সৈন্ত্যগণ কতক শান্তমূৰ্ত্তি ধরণ করিবে । রাজকীয় সৈন্তাগণ বক্সারদিগকে থামান দূরের কথা তাহারা নিজেরাই এমন সকল জঘন্য কাৰ্য্য করিতে লাগিল যে সে সকল অকথ্য । এ বিষয় সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর ভুল ধারণা হইয়াছিল যে পেকিনে তাহদের পরম পুজনীয় ও মহামান্ত পবিত্র মুৰ্ত্তিদ্বয় উপস্থিত থাকিলে ক্ষিপ্তপ্রায় বিদ্রোহিগণ ঔষধ-ভীত সৰ্পের ন্তায় অবনতমস্তক হইবে । কিন্তু ফলে তাহায় বিপরীত হইয়াছিল। উন্মত্ত সৈন্যগণ এবং ক্ষিপ্তপ্রায় বক্সারগণ র্তাহাদের অনেক আদেশ গ্রাহ করে নাই অবশেষে বিদেশী রাজন্তবর্গের যুক্তসৈন্যের অভিযান পেকিনে পৌছিল । সম্রাজ্ঞী ভয়ে ভীত হইলেন এবং পরিণাম চিন্তা করিয়া একেবারে হতাশ হইয় পড়িলেন। বিদেশীগণ টিনসিন হইতে পেকিন যাইবার পথে চীনাদিগের প্রতি যে সকল অত্যাচার করিয়াছিল, সেই সকল অতিরঞ্জিতভাবে বৃদ্ধাসম্রাজ্ঞীর নিকট সংবাদপপে প্রেরিত হইয় তাহাকে আরও ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল । এই বিপদের সময়ে তিনি বিদেশীগণের হস্তে বন্দি হইবার আশঙ্কায় পলায়নের চেষ্টা করিতে লাগিলেন। তবু বিদেশী সৈন্তগণ যাবত নগরের বারিদ্বার (Water Gate) পৰ্য্যন্ত না পৌঁছিয়াছিল,তাবত তিনি নগর মধ্যেই ছিলেন। বিদেশী সৈন্তগণ লিগেশনে পৌছিলে তিনি এক গেশকটে ছদ্মবেশে সামান্ত গরিব লোকের ন্যায় তথা হইতে পলায়ন করিলেন। তাহার হাতের আঙ্গুলে বড় বড় নখ ছিল । ইহা বড় লোকের চিহ্ন স্বরূপ। তাই ভয়ে অতি যত্নের বহুকালরক্ষিত নখ সকল কাটিয়া ফেলিতে বাধ্য হইলেন। আপন বস্ত্রাদি ধনরত্নাদি ও তৈজসপত্রাদি কিছুই লইতে পারিলেন না। সেই রাত্রিযোগে রাজপরিবারের সিংগান-প নামক স্থানে প্রবাসী । হইয়া থাকে। এক জন ইংরেজ, যিনি সেই অবরোধকালে [ ৭ম ভাগ । পলায়ন করা একমাত্র উপায় যোগ্য ছিল । রাজকীয় সৈন্তের দ্বারা বেষ্টিত হইয়া রাজকীয় দপ্তর সিংগান-ফু প্রেরিত হইল । রাজকীয় সৈন্তগণের মধ্যে অনেক "বক্সার গুপ্তসমিতির” লোক প্রবেশ করিয়াছিল। তাহারা পদে পদে বিশৃঙ্খলা ও অবাধ্যতার পরিচয় দিতে লাগিল । সৈনিককৰ্ম্মচারিগণ ও সম্রাট স্বয়ং উপস্থিত থাকায়ও তাহারা তাহাদিগকে গ্রাহ্য করিতে লাগিল না । বিদ্রোহিগণের মনে এই আশঙ্ক হইয়াছিল যে সে যুদ্ধ থামিয়া গেলে, হয় ত বিদেশিগণ কর্তৃক না হয় ত গবৰ্ণমেণ্টকর্তৃক তাহারা গুরুতর দণ্ড প্রাপ্ত হইবে, এই আশঙ্কায় তাহারা আরো দিক-বিদিক জ্ঞানশূন্ত হইয়া ছিল । রাজকীয় পলায়মান অভিযানের সিংগান-পু যাইতে যে সকল স্থান অতিক্রম করিয়া যাইতে হইয়াছিল, তথায় পথিমধ্যে অনেক গ্রামে বক্সার-গুপ্ত-সমিতির লোকদিগের অডিড ছিল। সেইজষ্ঠ, সেই সেই স্থানের অধিবাসিগণ রাজকীয় দলকে আশ্রয় দিতে বা আহারাদি সরবরাহ করিতে অস্বীকৃত হৃষ্টয়াছিল। সেই সেই স্থানের লোকের ধারণা করিয়াছিল, যে সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীগণ তাঙ্গাদের বিপক্ষে এবং বিদেশিগণের পক্ষে ছিলেন । গ্রিন্স সু ৰ্তাহার পেকিন হইতে সিংগান-ফু যাওয়ার বিবরণে লিগিয়াছিলেন যে “অনেক দিন সম্রাট ও সমাজ্ঞীগণ উদর পুরিয়া আহার করিতে পারেন নাই, তাহাদের খাদ্য সৈন্তগণ চুরি করিয়া বা কখনও বলপূৰ্ব্বক থাইয়। ফেলিত । সম্রাটষ্ট নাকি ক্ষুৎপিপাসা অবিরত সহ করিতেন, কোন বৃদ্ধারাণীকে তাহার অনাহার কষ্টের কথা জানিতে দিতেন না। তিনি নিজে না খাইয়া রাণীদিগকে । দিতেন। সকলকেই অস্কাধিক জঠরজাল ভোগ করিতে হইয়াছিল ।” 幾 @ বৃদ্ধারাণী প্রথম প্রথম ভীত হইয়াছিলেন, কিন্তু শেষে অতি সাহস ও দক্ষতার সহিত সমস্ত “বিষয়ের সুবন্দবস্ত করিয়াছিলেন। কেন না তিনি পূৰ্ব্বেও একবার এই প্রকার বিপদে পড়িয়া স্বামীসহ রাজধানী হইতে পলাইতে বাধ্য হইয়াছিলেন । সে বিদেশীগণের সঙ্গে দ্বিতীয়যুদ্ধকালে । সে বার তাহার জেহল নামক স্থানে পলাইয়াছিলেন এবং সেই স্থানেই তাহার স্বামীর মৃত্যু হয়। এই সকল বিপদে পডিয়া তাহার অভিজ্ঞতা জন্মিয়ছিল। পেকিন রাজপুরীতে