পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* సిఫి. "م-م. - سدهههای ۰ - *** g . ی۔***.- ۔ یه" "م দিয়া দর্শকদের রূঢ়হাস্তাহত হইয়া বেচার বড় ব্যথা পাইয়াছিল; কিন্তু সে বুঝিয়াছিল “তোমরা সবাই ভালো, কেউবা দিব্যি গৌরবরণ, কেউবা দিব্যি কালো।” রামধন হোষ্টেলে আসার পর অনেককে মনিব্যাগের বন্ধন বড় একটা খুলিতে হইত না । কিন্তু রামধনের ব্যাগ অনাসক্ত নিত্যমুক্ত হইয়া মোক্ষপথে অগ্রসর হইতেছিল । এবং বনমালী, ব্রজ, রজনী ও ভজহরির ট্যাক যে পরিমাণে ভারি হইতেছিল, ঠিক সেই অনুপাতে শ্ৰীমান রামধনের ব্যাগ লঘু হইতেছিল। রামধন দেখিল যে তৎপঠিত রসায়ন শাস্ত্রে টাকার উবায়ু সংজ্ঞা না থাকিলেও, টাকা নিতান্ত উবায়ু । বৎসর ফিরিতে না ফিরিতে পঞ্চসহস্রের মধ্যে পঞ্চশত মুদ্রা রহিল কি না সন্দেহ । তখন রামধন ধার লক্টতে আরম্ভ করিল। বাজারে তাহার নাম ডাক যথেষ্ট । প্রথম প্রথম বেশ ধার মিলিতে লাগিল । কলেজের বেতন, হোষ্টেলের খাই খরচ, পরীক্ষার ফি প্রভৃতি অবশু নগদদেয় বিষয়ে খরচ করিতে করিতে অবশিষ্ট অর্থও শীঘ্র নিঃশেষের অভিমুখী হইল। তখন বনমালী, ব্রজ, রজনী, ভজহরি, নৃত্য প্রভৃতি পাওনাদারেরা তাগাদ আরম্ভ করিল। তাগাদা প্রথমে অনুরোধ, তৎপরে অনুযোগ, অবশেষে আস্ফালনে পরিণত হইল। প্রথম প্রথম বন্ধুবান্ধবদের নিকট হইতে কিছু কিছু হাওলাত লষ্টয়া পাওনাদারদের থামাইল । কিন্তু অবশেষে বন্ধুদের নিকটও ঋণ দুষ্প্রাপ্য হইল । চারিদিকে শাণিত-তাগাদা-শরবর্ষ চতুর্দশ রথীতে আক্রান্ত হইয়া বেচার রামধন একদা রাত্রে যুদ্ধে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিয়া একেবারে শিয়ালদহ ষ্টেসনে এবং সেখানে প্রথম চলিষ্ণু ট্রেন ডায়মণ্ড হারবারের দেখিয়া একখানা টিকিট কিনিয়া তাহতেই সওয়ার হইয়া একেবারে ডায়মণ্ডহারবার গিয়া উপস্থিত হইল। বেচারা পুলিশের ভয়ে এবং কি এক অজ্ঞাত সঙ্কোচে লোকালয়ে যাইতে পারিল না । গ্রামের বাহিরে এক বনের মধ্যে একটা অতি উচ্চ দেবদারুর ঘনকুঞ্চিত পত্রান্তরালে লুকাইয়া রহিল ; সমস্ত দিন অনাহারে ভয়ে ভয়ে কাটিয়া গেল । সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে দেখিল এক বৃদ্ধ গলায় টুটি আঁট মালা s' f প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ ।

      • ۰ - ,s** ه-یایی هیرمسرایانهههای ۰۰۰حه - هم***

পরিয়া এবং সৰ্ব্বাঙ্গ ডেডলেটার-আপিশ-ফেরত চিঠির মত নানাবিধ ছাপে ভরিয়া, সেই গাছের তলায় উপস্থিত হইল । ভীত ভীত ভাবে চারিদিক নিরীক্ষণ করিয়া দেখিল ; কিন্তু রামধনের সৌভাগ্যক্রমে উপরে চাহিল না। চারিদিক জনহীন দেখিয়া বৃদ্ধ বস্ত্রাস্তরাল হইতে একটা কাপড় মোড়া পুলিন্দা বাহির করিয়া ভূমিতে রাখিল, তারপর সেই দেবদারু বৃক্ষটার পাদদেশে একটা ছোট শাণিত থোন্ত দিয়া ত্রস্তহস্তে একটা গৰ্ত্ত খুঁড়িয়া সেই পুলিন্দাটা প্রোথিত করিল এবং গর্তটিকে বেশ করিয়া ভরিয়া দিয়া তাহার উপর একটা আশশেওড়ার গাছ রোপণ করিল এবং সেই গাছের আশপাশে ঘাসের চাপড় বসাইয়া দিয়া বৃদ্ধ স্থানটিকে যথাসম্ভব নিঃসন্দেহ করিল। তৎপরে পাছে তাহার নিজের স্থান ভুল হইয়া গোলমাল উপস্থিত হয় বলিয়৷ সেই স্থানটাকে চিহ্নিত করিবার জন্ত থোস্তার কোণ দিয়া দেবদারু গাত্রে ত্বক কাটিয়া লিথিল “ইহ’ । বৃদ্ধ নিশ্চিন্ত হইয়া প্রস্থান করিল। রামধন বৃক্ষচূড় হইতে বখন দেথিল যে বৃদ্ধ বহুদূরে চলিয়া গেল, তখন সে বৃক্ষাবরোহণ করিয়া দেবদারুর একটা শাখা ভগ্ন করিয়া তৎসাহায্যেই সেই গর্তের উপরকার আলগা মাটি খুড়িয়া বুদ্ধপ্রোথিত পুলিন্দাটি বাহির করিয়া লইল । এবং পকেট হইতে রজর্সের চকচকে একখান ছুরি বাহির করিয়া সেই পুলিন্দাজড়ান মোমজমা কাপড়ের সেলাই কাটিয়া ফেলিল । কাপড় ছাড়িয়া বাহির হইল একটা টিনের চোঙ। টিনের চোঙের ঢাকনি খুলিয়া বাহির হইল একটা লম্বা মোটা বাশের চোঙা । চোঙার ভিতরে দেখা গেল কতকগুলি করেন্সি নোট। সেগুলি দেখিয়া রামধন উৎফুল্ল হইয়া উঠিল ; নিমজ্জমান ব্যক্তির আশ্রয় লাভের মত সে সেই চোঙাটিকে দ্বিগুণ আগ্রহে চাপিয়া ধরিল । আশা আশ্বাসে তাহার প্রাণ ভরিয়া উঠিল। রামধনের অদৃষ্টে গুপ্তধন প্রাপ্তিযোগ যথেষ্টই ছিল । রামধন নোটগুলিকে সজ্জিত করিয়া পূৰ্ব্ববৎ চোঙার মধ্যে চোঙায় গুপ্ত করিল, এবং ছুরি দিয়া বৃক্ষগাত্রে বৃদ্ধের লেখার সঙ্গে ত্বক কাটিয়া লিখিল— ইহ গুপ্ত কেহু, বিপন্ন দুরূহ,