পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ة لا " . পরিবর্তিত হইয়া আঙ্গুরীভাষায় পরিণত হইয়াছে। আর সেই প্রাকৃতভাষাই সংস্কৃত হইয়া সংস্কৃতভাষার আকার ধারণ করিয়াছে। লোকের একটা সংস্কার আছে যে . সংস্কৃত হইতেই পালি, বাঙ্গল, হিন্দী ইত্যাদি ভাষার উৎপত্তি হইয়াছে। কিন্তু এ বিশ্বাস সম্পূর্ণ ভ্ৰমাত্মক । সংস্কৃত ও প্রাকৃত এই দুইটা কথা হইতেই বুঝা উচিত যে প্রাকৃত ভাষাই পূৰ্ব্বে ও সংস্কৃত পরে। প্রাকৃত= প্রকৃতি+ ষ্ণ । প্রকৃতি=মূল, স্বভাব ; এবং প্রাকৃতিক = মৌলিক বা স্বাভাবিক। আর যাহা বিশুদ্ধ করা হয় তাহাই সংস্কৃত । জনসাধারণ যে ভাষায় কথাবার্তা বলে তাহাই ‘প্রাকৃত’ আর এই ‘প্রাকৃত ভাষা সংমার্জিত করিলেই সংস্কৃতভাষা হয়। অবস্তার ভাষা আলোচনা করিলেই আমরা বুঝিব যে ইহা একসময়ে জনসাধারণের ভাষা ছিল । শিক্ষিত লোকের বাঙ্গলা যেমন অশিক্ষিত লোকের বাঙ্গল হইতে পৃথক, তেমনি সংস্কৃত ও আবস্তিক ভাষাতেও পার্থক্য রহিয়াছে । আমাদের তৃতীয় বক্তব্য এই যে, আমুরীভাষা সংস্কৃতভাষা হইতে বিভিন্ন হইলেও উভয়ের মধ্যে প্রকৃতিগত কোন পার্থক্য নাই। শব্দরূপ, ধাতুরূপ, কৃৎ, তদ্ধিত, অব্যয় ইত্যাদি সমুদয় বিষয়েই উভয় ভাষার মধ্যে সাদৃশু রছিয়াছে। একটুকু আলোচনা করিলেই ইহার সত্যতা প্রমাণিত হইবে। ১ । বর্ণ ও উচ্চারণ । যে সমুদয় বর্ণ উচ্চারণ করা কঠিন অবস্তাভাষাতে সে সমুদয় বর্ণ নাই বলিলেই চলে । ংস্কৃতভাষায় স্বরবর্ণ ১৩টি কিন্তু জামুরীভাষায় ঋ, ঋ, ৯, ঐ, ঔ নাই। হ্রস্ব দীর্ঘ ভেদে ‘এ’ তুিনট এবং ‘ও’ - দুইটী। ংস্কৃত ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৫টি। ইহার মধ্যে যে কয়েকট বর্ণের উচ্চায়ণ কঠিন, অবস্তাভাষায় সে কয়েকট বর্ণ নাই। ছ, ঝ, ট বর্গ, ভ, ল এই কয়েকট বর্ণের প্রয়োগ দেখা যায় ಗ | ಳೆ 444 পরিবর্তে ‘ং’ ব্যবহৃত হয় । অবস্তাতে “চ’ এবং ‘জ’এর অনুরূপ কয়েকটা বর্ণ আছে। পূর্ববঙ্গের লোকে যে ভাবে 'চাচা উচ্চারণ করে, অবস্তার 'চ'এর উচ্চারণও ঠিক সেই প্রকার। অবস্তাতে জ'এর প্রবাসী । অনুরূপ তিনট বর্ণ। একটা সংস্কৃত জ:এর মত। দ্বিতীয় [ ৭ম ভাগ । ‘জ’এর উচ্চারণ "জবরদস্ত’ কথার "জ" এর দ্যায়। তৃতীয় "জ" azure শব্দের *z* এর হ্যায় । নিম্নলিখিত দৃষ্টাস্তে সংস্কৃত ও আবস্তিকভাষার সাদৃশু ও পার্থক্য উভয়ই বুঝা যাইবে । বন্ধনীর মধ্যে অবস্তাশব্দের উচ্চারণ দেওয়া গেল । ১ । সংস্কৃত ‘অ’ স্থলে অবস্তাতে প্রায়ই ‘এ’ ব্যবহৃত কিন্তু এই ‘এ’কারের উচ্চারণ অতি হ্রস্ব । নরম্=নরেম্; রথমৃ= রথেম্ ; অয়মৃ=আয়েম্। 尊 ২। ‘অ’ স্থানে ‘অই’, ‘আ’ স্থানে আই’ বা ‘আউ’ হয় । কোথায় ‘ই’ হইবে এবং কোথায় ‘উ’ হইবে তাহী পরবর্তী স্বরের উপর নির্ভর করে। এই ‘ই’ এবং ‘ড’এর উচ্চারণ অতি হ্রস্ব । পতিমূ=পইতিম ( পতিম্ ) ; কণ্ঠ1=কইষ্ঠা ( ক’ন্তা ) ; দারু = দাউরু ( দা’র ) । আতপ চাল উচ্চারণু করিবার সময় যে ভাবে চাল উচ্চারণ করিতে হয়, পইতিম এবং “কইন্তা” ইত্যাদিও সেই ভাবে উচ্চারণ করিতে হইবে । ৩ । ‘এ’ স্থানে ‘অত্র এবং ‘ও’ স্থানে ‘অও ব্যবহৃত হয় । এই সমুদয় ‘অ’ কারের উচ্চারণ অতি হ্রস্ব । দেব=দএব ( যেন দু এব ) ; গো=গও ( যেন গৃ ও ) । ৪। রেফ স্থলে অরে’ এবং ‘ঋ’ স্থলে ‘অরে’ বা ‘এরে’ ব্যবহৃত হয় । ‘র’তে যে ‘এ’কার যুক্ত হয় তাহার উচ্চারণ অতি হ্রস্ব । & হয় । কর্ণ=করেন . 象 哆 বৃত্র=বেরেএ ; অমৃত = অমেরেত। বঙ্গদেশের ভিন্ন ভিন্ন স্থলে ’স্কৃত’কে ‘ঘেবৃত” ‘ঘেরত’ বা "ঘেরেত’ উচ্চারণ করা হয় । অনেক অশিক্ষিত লোকে বৃক্ষকে বেরেক্ষ বলিয়া থাকে। বঙ্গদেশে এরূপ দৃষ্টাস্তের, অভাব নাই। 效