পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । ] মহত্বের উপর নির্ভর করেন, এখানে সমগ্র ইংরাজ জাতির স্বাৰ্থ জড়িত, সমগ্র ইংরাজ জাতির উদ্বোধন প্রয়োজন। সে উদ্বোধন স্বার্থে আঘাত না পড়িলে, পকেটে হাত না পড়িলে অসম্ভব, যেমন দাসত্ত্ব প্রথার উন্মোচনের বেলায় হইয়াছিল । ংরাজ যদি স্বাধীনতার সম্মান রক্ষার জন্তাই এতটা মহত্ত্ব দেখাইয়া থাকিবে, তবে আজ স্বাধীনতাপ্রয়াসী বলিয়া মাতা ও ভগিনীদিগকে পশুপালের দ্যায় কারারুদ্ধ করিতেছে কেন ? একটু রাজনৈতিক অধিকারের আকাঙ্ক্ষা করিতেছেন বলিয়া মহাত্মা ব্রাইটের কন্যাকেও ইংরাজ আজ কারাগারে প্রেরণ করিতে কসুর করিতেছে না । আজ ইংলণ্ডে নারীজাতির প্রতি ইংরাজ যে দ্যায়বিগর্হিত ব্যবহার করিতেছে তাহা স্মরণ করিয়া কে আর বিশ্বাস করিবে যে ইংরাজ তাহার ব্যবসায় বুদ্ধি পরিত্যাগ করিয়া কোনও মহৎ কার্য্য করিতে সক্ষম । না, না ; দোকানদারের হৃদয়ে ক্ষতিলাভগণনা ছাড়া কোনও মহৎ ভাব স্থান পাইতে পারে না ! স্পেনসার ক্রীতদাসদিগের মুক্তির যে দুইটি কারণ নির্দেশ করিয়াছেন তাহার একটী পারলৌকিক, অনেকে পারত্রিক কল্যাণ কামনায় ব্যক্তিগত ভাবে দাসদিগকে স্বাধীনত প্রধান <sftCwa,—“For the good of "his soul or to make his peace with God”—assiosé Gossi আনাই বিদ্যমান ! দ্বিতীয় কারণটি ঐহিক এবং ব্যবসাদার জাতির জাতীয়ত্বের পূর্ণ পরিচায়ক, কড়াক্রান্তির হিসাবের উপর প্রতিষ্ঠিত। দাসদিগকে কেন মুক্ত করিয়া দেওয়া eềs ? CN GEG,–It was discovered that the labour of a bondman, whether slave or serf, was unprofitable. offs. To পোষাইল না । আমরাও যদি মুক্তি চাই, ইংরাজকে বুঝাইতে হইবে, অবশু আবেদন নিবেদনের দ্বারা নহে, কিন্তু কৰ্ম্মক্ষেত্রের প্রত্যক্ষ প্রমাণের দ্বারা, যে মুজুরী পোষাইল না, ভারত শাসনের খরচ পোষাইল না । আমরা যদি এই "unprofitable" এর যুক্তি আবিষ্কার করিতে পারি তবে অচিরে ইংরাজের স্বাধীনতাপ্রতি গজাইবে, দ্যায়নিষ্ঠ জাগিবে। আমরা যদি এমন গণ্ডগোল—অবশু ভিক্ষার ঝুলির আন্দোলন নহে—উপস্থিত করিতে পারি যাহাতে ইংরাজ বুঝিবে যে ভারতশাসন আর ভারত-শোষণ নহে, ভারতের সঙ্গে সম্বন্ধ স্বদেশী ও বহিষ্কার د ہ لا রাখিতে হইলে উপনিবেশের সম্বন্ধের ন্তায় ঘরের খাইয়। বনের মোষ তাড়াইতে হইবে, তবে অচিরাৎ ইংলণ্ডের রাজনীতি ক্ষেত্রে ভারতের মুক্তির জন্ত অনেক বক্সটন গ্রেনভিল শাপের আবির্ভাব হইবে। কেন না, পকেটে হাত পড়িলেই ইংরাজের মনুষ্যত্ব খোলে । আমরা যদি হিমালয় হইতে কন্যা কুমারী পর্য্যন্ত, গুজরাত হইতে আরাকান পর্য্যন্ত এমন অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করিতে পারি যাহাতে ইংরাজ বুঝিবে যে আমাদের স্বরাজের দ্যায্য দাবী অগ্রাহ করিয়া আর ভারতশাসন সম্ভব নয়, তাহা হইলেক্ট কেবল দোকানদার ইংরাজের ষ্ঠায়বৃদ্ধি জাগ্রত হইবে, ইতিপূৰ্ব্বে নহে। এখন আমাদের কর্তব্য এই যে ভারতশাসন যেন ইংরাজের পক্ষে শান্তিপূর্ণ না থাকে, অনায়াসসাধ্য না হয়। আর কিছুও যদি না পারি এটুকুও কি পারিব না ?— “ভুঞ্জুক অদৃষ্ট তবে তিক্ত আস্বাদনে।” “মোল কোটা ভাই, ষোল কোটা বোন আমরা কি কেউ কম ?” হাতী নিজের দেহ না দেখিয়াই নিজেকে কম মনে করে, আমরা যদি আমাদের এই বিরাট দেহ নাড়া দিই তবে কি আর অত্যাচারীর অত্যাচার চলে? আমরা ঘুমাইয়াই আমাদের সৰ্ব্বনাশ করিলাম,— “ধিক লজ্জা ! অমরের এ বীর্যা থাকিতে, নিষ্কণ্টকে স্বৰ্গভোগ করে বৃত্ৰাকুর । সুখে নিদ্রা যায় দৈত্য দেবে উপেক্ষিয়া— স্বর্গবিরহিত দেব, চিন্তায় ব্যাকুল ” তবে এস সকলে রাবণের চিতা জালাইয়া দিই— “জুলুক দেবের তেজ আমরা ঘেরিয়া অহোরাত্র অবিশ্রাস্ত প্রথর শিখায় ; দহুক দানব কুল দেবের বিক্রমে, পুত্রপরম্পর ঘোর চির শোকানলে । চিরযুদ্ধে দৈত্যদল হইবে ব্যথিত, না জানিবে কোন কালে বিশ্রামের মুখ, নীরিবে তিষ্ঠিতে স্বর্গে দেবসন্নিধানে, হইবে অমর হস্তে পরাস্ত নিশ্চিত ।” অমর কবির এই অমৃত ইঙ্গিত আমাদিগকে গ্রহণ করিতে হইবে, স্ববলে স্বরাজ্য উদ্ধার করিতে হইবে, ইংরাজের মুখাপেক্ষা করিলে কোনই ফল হইবে না। তবে যে আমাদের উপযুক্ততার কথা উঠিয়াছে, তাহা আমাদের অযোগ্যতার নিদর্শন নহে কিন্তু যাহারা আমাদের নেতৃত্বের অভিমান করেন তাহাদিগের ভীরুতার ফল। ইহার