পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ আপনাদের অযোগ্যতা দেশের ঘাড়ে চাপাইতেছেন । ইহাদেরক্ট কথা শুনিয়া দেশ অগ্রবর্তী হইয়া পড়িয়াছে, এখন ইহারাষ্ট পশ্চাৎ হষ্টতে টানিয়া ধরিয়া বলিতেছেন, দেশ প্রস্তুত নয়। দেশ প্রস্তুত নয়, তাহী নহে, কিন্তু ইহাদের কাপুরুষতা প্রতিপদে দেশের গতিরোধ করিতেছে । ঠতারাষ্ট বিগত বিশবৎসর ধরিয়া শিক্ষা ও উপদেশের দ্বারা দেশকে রণক্ষেত্রে অনিয়া উপস্থিত করিয়াছেন, দেশ যে আজ এথানে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে তাহাৰ্তাহাদেরই কায্যের অবশ্যম্ভাবী ফল, কিন্তু ঠতারা এখন রণক্ষেত্রে আসিয়া পিছাইয়া পড়িতেছেন । কঁহাদের কার্য্য দেখিয়া মনে হয়, যে যখন ইহার সমরবাজনা বাজাইয়াছিলেন তখন এতটা মনে করেন নাই যে কেঁচো খুঁড়িতে সাপ উঠিবে, ভাবিয়াছিলেন বক্তৃতাতেই তারত উদ্ধার হইবে, আর কিছু করিতে হইবে না । কিন্তু রণভেরীর নিনাদ শুনিয়াই ইহার বলিতেছেন,— সীদন্তি মম গাত্রানি মুখঞ্চ পরিশুমাতি । বেপথুশ্চ শরীরে মে রোমহৰ্ষশ্চ জায়তে ॥ কিন্তু এখন পলাইলে চলিবে কেন ? দেশ এখন আর EffgURI = 1 −jo# C##R (Principal Caird) বলিরাছেন,— “When a nation's spirit has been so quelled by despotism that it lias long ceased to 1.esist, it is in no condition to discover the hopelessness of its hondage ; but when the spirit of freedom rises and the attempt is made in vain to throw of the hateful yoke, it is then that in the mortifying sense of abortive effort, it finds in its bitter experience a measure of the lower that enthrals it.” আমাদের তথাকথিত নেতার দেশের বন্ধনের কঠোরতা ইতিপূৰ্ব্বে বুঝিতে না পারিয়া মোচনের যে আয়োজন করিয়াছিলেন ভাহাতে আর এখন কুলাইতেছে না, তাই তাহারা পলাইবার আয়োজন করিতেছেন । কিন্তু দেশ যে “উঠবে মোরা, উঠবো মোরা, বিধির আদেশ বাণী” বলিয়া ছড়মুড় করিয়া উঠিয়া সকল বন্ধন ছিড়িবার জন্ত দণ্ডায়মান, ইহ দেখিয়া নেতারা ভয় পাইতেছেন, তাহদের শক্তিতে কুলাইতেছে না, তাই তাহারা উন্ট সুর ধরিয়াছেন। আমরা কিন্তু জীবনসংগ্রামে পলারনপর প্রত্যেক মানুষের কাছে ভগবানের যে আদেশবাণী প্রতিনিয়ত আসিতেছে প্রবাসী । সেই বাণী স্মরণ করিয়া নেতাদিগকে সাহস অবলম্বন [ १भं ख१ि ।। করিতে বলিতেছি— কুতত্ত্ব কৰ্ম্মলমিদং বিষমে সমুপস্থিতম্। অনাৰ্য্যজুষ্টমস্বর্গ্যমকীৰ্ত্তিকরমর্জুন ॥ ক্লৈব্যং মান্মগমপাৰ্থ নৈতং ত্বযুপপদ্যতে। ক্ষুদ্ৰং হৃদয়দৌৰ্ব্বল্যং তত্তোত্তিষ্ঠ পরস্তুপ। ইহাতেও যদি নেতাদের ঘুম না ভাঙ্গে, তবুও যদি ইহার বায়ুর গতি নির্ণয়ে অসমর্থ হইয়া পশ্চাৎপদ হন, তাহা হইলে দেশ নিশ্চয়ই ঠাহীদের নেতৃত্বের বন্ধন ছিড়িয়া ফেলিয়া সম্মুখে অগ্রসর হইবে, কোন বাধা মানিবে না। দেশের প্রকৃত নেতা তখন কাযাক্ষেত্রেই প্রস্তুত হইবে। আর যদি নেতা নাই মেলে, তবে কি দেশ এই ভাবে পড়িয়াই থাকিবে ? না, তা হবে না,— “নাহিক বাসব হেথা সত্য বটে তাঁহা, কিন্তু যদি পুরনার আরও বহুযুগ প্রত্যাগত নাহি হন, তবে কি এখানে এই ভাৰে রবে সবে চির অন্ধকারে ?” এ ব্যবস্থা কিছুতেই গ্রহণ করা যাইতে পারে না, তাই,— “চলহে আদিত্যগণ প্রবেশি শূন্তেতে, দৈত্যের কণ্টক হ’য়ে অমর বেষ্টিয়া, দগ্ধ করি দৈত্যকুল যুগ যুগ কাল, যুদ্ধের অনন্ত বহি জালায়ে অম্বরে।” দেশে যে আগুন জলিয়াছে তাহ হইতে কাহারও নিস্তার নাই। দেশে discontent (অসন্তোষ ) নাই বলিয়া পালামেণ্ট শান্ত হইলেই দেশ শাস্ত হইবে না, ইহা নিশ্চিত । যাহারা ভাবেন যে এই স্বদেশী সংগ্রাম কেবল ভাত কাপড়ের Foi Šțgt i UGI stiloi:T=, “Man doth not live by bread alone.” আবার র্যাহার স্বদেশীকে বহিষ্কার হইতে অথবা রাজনৈতিক বহিষ্কারকে বাণিজ্য সম্বন্ধীয় বহিষ্কার হইতে পৃথক করিয়া মনে করেন যে কেল্লা ফতে করিয়াছি, শুাম ও কুল দুষ্ট রাখিয়াছি তাহার অজ্ঞ কি অসরল তাহ বলিতে পারি না কিন্তু দেশের প্রকৃত অবস্থান সম্বন্ধে যে তাহারা একেবারে অনভিজ্ঞ তাহা মুক্তকণ্ঠে বলা যাইতে পারে। বিদেশী দ্রব্য দেশ হইতে বহিষ্কার না করিয়া নিরক্ষর জনমণ্ডলীকে স্বদেশী দ্রব্য কিনিবার উপদেশ দেশীয় শিল্পবাণিজ্যের বর্তমান অবস্থায়, একটা উৎকট আহাম্মকি ছাড়া আর কিছুই নহে। আমাদের দেশে এমন আহাম্মকের অসম্ভাব নাই বলিয়াই তো লর্ড মিণ্টে বাহাদুর বহিষ্কারী