পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । ] ड़िड করিয়া আত্মশক্তির মহিমায় স্বরাজ উদ্ধার করিতে হইবে। রাজনৈতিক বহিষ্কার স্বরাজ প্রতিষ্ঠার উপায় মাত্র। ইংরাজ ধৰ্ম্মোপদেশ শুনিবে না । তাহাকে আঘাত করিয়া উদ্বুদ্ধ করিতে হইবে যে আমরা মানুষ, আমাদের প্রতি মনুষোচিত ব্যবহার করিতে হইবে । বিষ প্রয়োগ ছাড়া ইংরাজের বিকার ঘুচিবে না । এই বহিষ্কারের বিষবড়ি অজ্ঞান ইংরাজকে সজ্ঞান করিবে । আমাদের থাস্থ্যখাদক সম্বন্ধ । খাদ্য যদি খাদকের সঙ্গে প্রেম করিতে যায় তবে তাহার পক্ষে হৃদয়ে স্তান না পাষ্টয়া উদরে স্থান পাওয়াই স্বাভাবিক ! তবে পাদক যে সময়ে সময়ে খাদ্যের প্রতি সুমিষ্ট ভাষা ব্যবহার করে তাহা প্রেম নহে r মানবসস্তান যে মৎস্তকুল বিনষ্ট হইল বলিয়া সময় সময় আক্ষেপ করে এবং “গুপ্ত”-কমিশন বসাইয়া মৎস্তকুল রক্ষার উপায় নিদ্ধারণ করে, তাহাতে কি মৎস্তজাতির প্রতি প্রেম প্রকাশ পায় ? তবে ইংলণ্ডে দু’চার জন নিরামিষাশী নাই তাহ৷ বলিতেছি না এবং তাহদের দৃষ্টি যে কখন কখন ভারতের মৎস্তদের উপর পড়ে না তাহাও নহে । এখন ইংরাজের সঙ্গে তবে সে দৃষ্টি প্ৰেমদৃষ্টি নহে, কৃপাদৃষ্টি, অমুকম্প । কিন্তু কবি বলুেন, “অনুগ্রহ ক’রে এষ্ট ক’রো, অনুগ্রহ ক'রে না আমায়” । যদি ও সময়ে #xt: “our fellow-subjects” Hitos: মধুরধ্বনি করে wo, fox, *Botto “under our rule in India” সে প্রেমের ভাক্তত্ব প্রমাণ করিয়া দেয়। সাম্যের আসনে না উঠিলে প্রেম আসিতে পারে না । ইংলণ্ডের সঙ্গে ভারতের প্রেমের সম্বন্ধ হইতে পারে, যদি ভারত ইংলণ্ডের সমপদবী লাভ করে। সেই জন্তই ভারতে স্বরাজপ্রতিষ্ঠার একান্ত প্রয়োজন, এ বহিষ্কার সেই স্বরাজ সাধনের পূর্ব মুখ। আমর ইতিপূৰ্ব্বে যে পাশ্চাত্য সভ্যতার কথা বলিয়াছি ইংরা: তাহার এক বিরাট প্রতিভূ । দুঃখের বিষয় ইংরাজ আপনার সে মহা কৰ্ত্তব্য ভুলিয়া পরপীড়নে ও পরস্বীপহরণে এত ব্যস্ত যে আমরা তাহার সৎগুণ অনুকরণে একেবারে অসমর্থ। ভস্মাচ্ছাদিত বহি আপনার দীপ্তি প্রকাশ করিতে পারিতেছে না। অন্যদিকে আবার ঐশ্বর্যামদে অন্ধ হইয়া ইংরাজ আপনার শ্রেষ্ঠতারূপ গৰ্ব্বের উচ্চশিখরে এমন ভাবে আসীন যে, তাহার চক্ষে ভারতের স্বদেশী ও বহিষ্কার ।

  • c ^

মিথ্যাবাদিত ছাড়া আর কিছুই পড়িতেছে না । সে ভারতমাতার পার্থিব সম্পদ আহরণে এত মনোযোগী যে আধ্যাত্মিক সম্পদের দিকে নজর দিবার তাঁহার অবকাশই নাই । ভারতমাতার পার্থিব দৈন্ত তাহাকে আরও অন্ধ করিয়াছে। কল্যাণ নাই । অথচ এ চেয়ের সন্মিলন ছাড়া জগতের এই সম্মিলনের অন্তরায় আমাদের রাজনৈতিক দুৰ্ব্বলতা ও ইংরাজের অন্ধতা । ইংরাজের চোখ ফুটাইতে হইলে আমাদিগকে শক্তিলাভ করিতে হইবে । শক্ত আঘাত না পাইলে ইংরাজের চোখ খুলিবে না। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি স্বার্থে আঘাত না পড়িলে ইংরাজের ধৰ্ম্মবুদ্ধি জাগিবে না । সেই আঘাতের আয়োজন বহিষ্কার, পরিণতি স্বরাজে । ভারত স্বীয় শক্তিবলে স্বরাজ লাভ করিলেই ইংলণ্ডের মদান্ধত ঘুচিবে, ভারতেরও জগৎকে স্বীয় আধ্যাত্মিক সম্পদ বিতরণের যোগ্যতা ও অধিকার জন্মিবে এবং বিশ্বমানব চরিতার্থতা লাভ করিবে । যেদিক্ দিয়tষ্ট বিচার করি, পাশ্চাত্য সভ্যতা সম্বন্ধে ইংলণ্ডের দায়িত্বের কথাই বলি, আর ভারতের ঈশ্বরনির্দিষ্ট কৰ্ত্তব্যের কথাই ভাবি, অথবা সমগ্র মানবজাতির দিকেই তাকাই, বহিষ্কার অমৃতবার্তা শুনাইতেছে । সুতরাং ভারতে স্বরাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক ইউরোপীয় জাতি সকলের পররাজ্যপিপাসার স্থায় জাতীয় স্বার্থপ্রস্থত নহে, টঙ্গর সঙ্গে বিশ্বমানবের সম্বন্ধ রহিয়াছে, ইহার মধ্যে সমগ্ৰ মানবজাতির স্বার্থ নিহিত রহিয়াছে। এ আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ তইবেষ্ট হইবে, বিধাতার বিধান প্রতিরোধ করিবার সামর্থ্য এ জগতে কাহারও নাই। তাই বলি ভারতবাসী ভাষ্ট হিন্দু মুসলমান, স্বরাজের জন্ত প্রস্তুত হও, স্বরাজের নিশান লইয়া অগ্রসর হও, বিজয়লক্ষ্মী তোমাকে বরণ করিবার জন্ত সম্মুখে দণ্ডায়মান, জয় তোমারই। ইহার পরও যদি কেহ বলিতে চান যে বহিষ্কার বিশ্বপ্রেম বিরোধী, তবে বলি ভাই তুমি আলেয়ার পশ্চাতে চুটিয়া ক্লান্ত হইতেছ, বিশ্বপ্রেমের নামে অবাস্তর মনঃকল্পিত ছায়ার অনুসরণ করিতেছে। ইংরাজীতে বলিতে গেলে তোমার foops abstract cosmopolitanism, ooloo বাস্তব বিশ্বপ্রেম নহে। ওটা বিশ্বপ্রেম নহে, ভিত্তিহীম বিশ্বপ্রেমের ধূয়া মাত্র। ة -..