পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه لالأ অকথ্য এবং অসহনীয়। পৃথিবীতে এমন কোন হৃদয়হীন লোক নাই, যে বাক্তি এই সকল কুকায্যের সমর্থন করিতে পারে, এমন কোন শিক্ষিত ভদ্র মোসলমান এস্লাম-সমাজে নাই যে, এমন সকল কুকাণ্ডের প্রতি সহায়ভূতি দেখাইতে পারে। এই সকল অতীবগচিতকার্য্যের পিছনে কোন ভাল মোসলমানের বিন্দুমাত্রও সহানুভূতি নাই এবং থাকিতেও পারে না । এই সমস্ত কার্য্যের দরুণ আমরা অতীব মৰ্ম্মপীড়া ভোগ করিতেছি ; সমগ্র হিন্দু জাতির নিকট আমরা অত্যন্ত লজ্জিত ও অতিশয় ম্রিয়মাণ হইয় পড়িয়ছি। এস্লামশাস্ত্রের এমন কোন বিধান নাই যে, অনর্থক কাহারও মনে অযথা পীড়া দেওয়া হয় এবং নিরর্থক একটা মারামারী ঘটায় । হিন্দু কিম্বা অন্য ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের সঙ্গে এদেশে এখন আর ধৰ্ম্মযুদ্ধ বা জেহাদ করা যাইতে পারে না । কোরাণ হাদিম মতে এদেশের হিন্দুদিগকেও আর কাফের বলা যাইতে পারে না । যেহেতু তাহার নামাজ রোজ করিতে হজ্জ করিতে ও জাফাত দিতে মোসলমানদিগের প্রতিবন্ধক জন্মায় না, মোসলমানদিগের ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম করিতেও যাধা দেয় না। কোৰ্ব্বাণী করিতে ও হিন্দুদিগের কোন আপত্তি নাই। ছাগ, চুম্বা, উট দ্বারা কোৰ্ব্বাণী করিতে যথা তথা তাঙ্গদের নিকট অবারিত দ্বার । কেবল হিন্দু পল্লী ও হিন্দু দেবমন্দিরের সন্নিকটে হিন্দুদিগের দৃষ্টিগোচরে গোতত্যা করিতে তাঙ্গদের মাত্র আপত্তি বটে। প্রকৃত প্রস্তাবে কোৰ্ব্বাণী করা ও মোসলমানদিগের অবশ্য কর্তব্য অর্থাৎ ফরজ কৰ্ম্ম নহে । কোৰ্ব্বাণী না করিলে মোসলমানী নষ্ট হয় না । আর কোৰ্ব্বাণী করিবার জন্ত আরব দেশে—এমন কি পবিত্র মক্কা মদিনীর মধ্যেও-নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট স্থান রহিয়াছে। নির্দিষ্ট স্তান ভিন্ত যথাতথা কোৰ্ব্বাণী দেওয়া যাইতে পারে না । হিন্দু ভ্রাতৃগণ একথা যেন মনে করেন না যে, মোসলমানদিগের ধৰ্ম্মগ্রন্থ সকলের ভাব অতি সঙ্কীর্ণ এবং অনুদার ও উদ্দীপ্ত বিদ্বেষময়। প্রকৃত প্রস্তাবে এস্রামধৰ্ম্মেয় মত এবং ভাব অতীব উদার ও অতীব অমায়িক । সুতরাং আমরা সুশিক্ষিত হিন্দুভ্রাতাগণকে আমাদের ধৰ্ম্মগ্রন্থের উদারতার দিকে আকর্ষণ করিয়া বিবেচনা করিতে অনুরোধ করিতেছি । তাই আজ আমরা অতিশয় মৰ্ম্মবেদনার সহিত সমগ্র প্রবাসী । ভারতের হিন্দুগণের সমীপে আমাদের অন্তরের বিঘোর সমবেদন ও সহানুভূতি ও জ্ঞাপন করিতেছি; নিবেদন করিতেছি যে, তাহারা আমাদের কতিপয় অজ্ঞান-উদ্ধৃপ্ত লোকের দৃষ্টান্ত দেখিয়া আমাদের সমগ্র মোসলমান জাতিকে দেশের এই দুঃসময়ের মধ্যে অবিশ্বাস করিবেন না, এই দুঃসময়ের মধ্যে মোসলমানদিগকে খল বিবেচনা করিয়া তাহাদিগ হইতে সরিয়া দাড়াইবেন না। অবশুই বুদ্ধিমান ব্যক্তি মাত্রেই একথা উপলব্ধি করিতে পারিতেছেন যে, এই সকল কাৰ্য্য কখনই একমাত্ৰ কাণ্ডজ্ঞানহীন মোসলমানগণ দ্বার সংঘটিত হইতেছে না ; মোসলমানগণ দ্বারাও এই সকল ভেদবুদ্ধি ঘটিতে পারে না। ভেদবুদ্ধিপরায়ণ রাজপুরুষগণ চিরকাল কৌশল খাটাইয়া এ দেশকে যে নীতিবলে শাসন করিয়া আসিতেছেন, সেই নীতিবলেই অাজ “বিলাতিপণ্য বাণিজ্যরক্ষা” ও “স্বদেশী” দলন এবং “পার্টিসন” সুদৃঢ় করণ উদ্দেশ্বে মেড়ায় পাঠায় লাগাইয়। দিয়া একগুলিতে তিন শিকার করিবার উদ্যোগ করিতেছেন। তাই বলি হে ভেদনীতিপরায়ণ রাজনীতিজ্ঞগণ ! আপনার দুৰ্ব্বল অক্ষম চব্বিশ কোটি হিন্দুকে লাঠি ধরিতে যে শিক্ষা দিতেছেন, তাগ এই স্বদেশীভাবের উচ্ছ্বাসের মধ্যে অতি উত্তম কাৰ্য্যষ্ট হইয়াছে। এতদিন পরে অতি উত্তম ও প্রকৃত পথ আবিষ্কার ও পরিষ্কার হইয়া উঠিতেছে। তেত্ৰিশ কোটি ভারতবাসী সামরিকজাতিতে পরিণত হইবেক, আর অন্ততঃ পক্ষে দশ কোটি ভারতরমণী উগ্র চামুওীর বেশে রণরঙ্গে নৃত্য করিতে বাধ্য হইবে, ইহা ভাবিতেও কাহার না হৃদয়ে আনন্দের উদয় হয়, কাহার না চিত্ত মনে আশার উচ্ছ,সি উথলিয়া ওঠে। ফলতঃ ঈশ্বর বুঝি দুৰ্ব্বল বাঙ্গালিকে চিরকলঙ্ক হইতে বিমোচন করিবার জন্যই এই অগ্নিপরীক্ষায় নিক্ষেপ করিতেছেন, বিধাতার স্বৰ্গীয় বরেই বুঝি সকলেই ভারতময় সাড়া দিয়া দাড়াইতে বসিয়াছে ! তাই যাহা ঘটিতেছে, বুঝিব তাহার জন্ত পরিতাপ করিবার কিছু নাই। বোধ হয় ভবিষ্যতে মঙ্গলঘটনার নিমিত্তই মঙ্গলময় এই বিপদরাশি আনয়ন করিয়াছেন । কিন্তু তথাপি আমরা আশা করি, তথাপি আমরা অনুনয় বিনয়সহকারে আজ হিন্দু মোসলমান উভয় সম্প্রদায়ভুক্ত নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করি, " যাহাতে অতি শীঘ্র এই