পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । ] কাহারও ত প্রাণ গেল না। সাত্ত্বিকতার অর্থ কাপুরুষতা নহে ] ત્ય কাপুরুষ, সে কোন ধৰ্ম্মসাধন করিতে পারে না। অতএব সৰ্ব্বত্র বালক যুবা বৃদ্ধ শরীর ও মন দৃঢ় করিতে এবং আত্মরক্ষণ ও উৎপীড়িতের রক্ষার জন্ত অস্ত্রধারণ করিতে শিখুন। অন্ত অস্ত্র নাই ; কিন্তু লাঠি আছে। বাঙ্গালীর মা, ভগিনী, সহধৰ্ম্মিণী ও কস্তাগণও আত্মরক্ষার জম্ভ প্রস্তুত ইউন । কত বঙ্গনারী ডাকাইতের সঙ্গে যুঝিয়াছেন, তাঙ্গর ইয়ত্ত নাই। এ বিষয়ে গবর্ণমেণ্ট আমাদের বিরোধী হইবেন, আমাদিগকে বিদ্রোহী বলিবেন, সন্দেহ নাই । কিন্তু গবর্ণমেণ্ট বিদ্রোহী বলিলেই আমরা অধাৰ্ম্মিক হৰীয়া যাইব না। এবং যদি আমরা বিদ্রোহী হই, তাহাও গবর্ণমেণ্টেরই দোয । এক পক্ষকে দলন করিবার জন্ত কিন্তু সরকারের জানা উচিত এখন গবর্ণমেণ্ট গুণ্ডামির প্রশ্রয় দিতেছেন। যে সামান্ত কারণেই এই গুণ্ডার গবর্ণমেণ্টেরও বিরুদ্ধে দাড়াইবে । গবর্ণমেণ্টের আর ৪ একটা কথা ভাবা উচিত । সরকার আমাদিগকে নিজের আইন আদেশ মান্ত করিতে বাধা করিবার জন্ত আমাদিগকে শেষ পর্য্যস্ত প্রাণে বধ ও সৰ্ব্বস্বাস্ত করিতে পারেন ; অরাজকত উপস্থিত করিয়া আমাদের পরিবারবর্গের ইজ্জৎ রক্ষা কঠিন করিয়া তুলিতে পারেন । ইহার বেশ কিছু করিতে পারেন না। কিন্তু আমরা এরূপ বিপদে ও কষ্টে অভ্যস্ত হইয়া যাওয়ায় ভয় ভাঙ্গিয়া যাইতেছে । আমাদেরও একটি কথা ভাল করিয়া বুঝা উচিত । ইংরাজের পুণ্য করিবার জন্য ভারতবর্ষ শাসন করিতেছে না। টাকার জন্ত করিতেছে । আমাদের দেশে বাণিজ্য করিয়া ইংরাজ ধনী হইয়াছে। এই বাণিজ্যে হাত দিলে ইংরাজ সৰ্ব্বপ্রকার উৎপীড়ন দ্বারা আমাদিগকে স্বদেশসেবা হইতে নিবৃত্ত করিতে চেষ্টা করিবে। সুতরাং এখন আমাদিগকে প্রাণপণ করিতে হইবে। অনেকে প্রথমে বোধ হয় ভাবেন নাই যে এতটা হইবে। কিন্তু

  • ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞ যখন।” এখন পশ্চাতে তাকাইলে হইবে না । অগ্রসর হও ।

--عےع-- جی ----- 發 জামালপুরের কাওকে হিন্দুমুসলমানের ঝগড়া মনে করা বিবিধ প্রসঙ্গ । SAASAASAASAASAASAAeeee eeAeAeASAeeSAAAAAAASAAAA > >○ উচিত নয়। কিন্তু সরকারী কোন কোন কৰ্ম্মচারী এবং কোন কোন মুসলমান এইটাকে জাতিবিবাদে পরিণত করিবার চেষ্টা করিতেছে। এখন হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের প্রধান লোকের চেষ্টা করুন যাহাতে ঝগড়ার কারণ সকল অস্তৰ্হিত হয়। প্রকৃত জ্ঞান ও ধৰ্ম্মভাবের বিস্তার না হইলে সকল কারণ দূরীভূত হইবে না। ইহা অত্যন্ত কঠিন সমস্ত । কিন্তু হিন্দুমুসলমানের প্রীতির উপর ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ভর করিতেছে। এই জন্য এই বিষয়ে যথাসাধ্য মন দেওয়া সকলেরই কর্তব্য। কিন্তু ইহা সকলে মনে রাখিবেন ষে কোন পক্ষই অবজ্ঞা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা পোষণ করিলে চলিবে না। কোন পক্ষই এরূপ মনে করিলে চলিবে না যে অপর পক্ষ আমাদের প্রভুত্ব বা শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিবে। প্রতি সমানে সমানে হয়,ছোট ও বড়র মধ্যে অনুগ্রাহক অনুগৃহীতের ভাব মাত্র আসিতে পারে। সুতরাং প্রতি স্থাপন করিতে হইলে কাহাকেও খাট হইতে শুইবে, এরূপ আশঙ্কা করিবার কোন কারণ নাই । কেবল এই টুকু চাই যে কেহ কাহার ও স্থায় সঙ্গত অধিকারে হাত দিবেন না, বরং প্রয়োজন হইলে অপরের মনে কষ্ট না দিবার জষ্ঠ, নিজ স্থায়সঙ্গত অধিকার অনুসারে কার্য্য করিতে স্থলবিশেষে ক্ষান্ত থাকিবেন । লাহোরের “পঞ্জাবী”র মালিক ও সম্পাদকের জেল হষ্টয়াছে এই অপরাধে যে তাঙ্গর ইংরাজ ও ভারতবাসীর মধ্যে বিদ্বেষের আগুন জালিতে চেষ্টা করিতেছেন। দুনিয়া বড় মজার জায়গা । ইংরাজ ভারতবাসীকে খুন করিলে বেকসুর খালাস পায়, বা ছ পাঁচ টাকা জরিমান দেয় কিম্ব বড় জোর সামান্ত কারাদও হয় । ইহা দ্বারা বোধ হয় গবর্ণমেণ্ট বিদ্বেষের আগুনে জল ঢালেন, আর এই কথাগুলা বলিলেই আগুনে ঘি ঢালা হয় । যাহা হউক, আশা করি এখন সম্পাদক ও মালিক জেলে যাওয়ায় ভারতবাসী ইংরাজকে প্রাণের সহিত ভালবাসিতে আরম্ভ করিয়াছে। ইংরাজের প্রায়ই অহঙ্কার করিয়া থাকেন যে র্তাহার তরবারির দ্বারা ভারতবর্ষ জয় করিয়াছেন, তরবারির দ্বারাই স্বাধিকারে রাখিতেছেন এবং পরেও রাখিবেন । মানিয়া লইলাম ইহা সত্য । কিন্তু জিজ্ঞাসা করি যদি ইহা সত্য ہسپ