পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ দের বহিষ্কারঘোষণার একটী বিশেষ সোসাদৃত রহিয়াছে। গরু জ্যামিতির বিংশ প্রতিজ্ঞ পাঠ করে নাই, যে ত্রিভুজের দুই বাহু তৃতীয় বাছ অপেক্ষা বৃহত্তর। কিন্তু ভয় পাইলে সে ঐ তৃতীয় বাহু ধরিয়াই দৌড়ায়, তাহার ভুল হয় না। আমরা যে ৭ই আগষ্ট বহিষ্কার ঘোষণা করিয়াছিলাম, তাহাও বিচারবিতর্কের দ্বারা ঠিক করিয়া করি নাই, সহজ ভাবে (instinctively) করিয়াছিলাম। বিচার বিতর্ক করিয়া করিতে গেলে হইত না । যেহেতু, বুদ্ধিমানেরা এখনও ইহার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হন না । কনগ্রেসে বহিষ্কার লইয়া মতভেদ তাহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। এই বহিষ্কারের মধ্যে কি অনন্ত শক্তি, কি অসীম সম্ভাবনা নিহিত ছিল তাহা না জানিয়াও আমরা এ অস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম হইয়াছিলাম । আমরা সুখ দুঃখ জ্ঞানের দ্বারা পরিচালিত হইয়া ভয় পাইয়া বহিষ্কাররূপ তৃতীয় বাহুতে দৌড়াইয়াছিলাম—সহজভাবে কিন্তু ঠিক ভাবে ! তাই ৭ই আগষ্ট আমাদের জাতীয়জীবনের প্রাণীরাজ্যে প্রবেশের দিন। ভারতের ভাগ্যবিধাতার প্রেরণায় আমরা অজ্ঞাতসারে এই বহিষ্কার পথে দৌড়িয়াছিলাম। জাতীয়জাগরণের এই দিনকে অন্ত এক দিক্ হইতে দেখা যাইতে পারে। আমাদের শাস্ত্রে আছে, “খষয়ঃ মন্ত্রদ্রষ্টারঃ" ঋষিরা মন্ত্র দেখেন, কৃষ্টি করেন না । সুতরাং মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি ষে সব সময় মস্ত্রের অর্থ বুঝেন তাহা নহে। সত্য দর্শন করিয়া জগতে প্রচার করা তাহার কাজ। অর্থ বুঝাইবার জন্য পরে ব্যাখ্যাকার আচাৰ্য্যগণের আবির্ভাব হয়। এই বহিষ্কারমন্ত্র বর্তমান যুগে ভারতের বেদমন্ত্র, মোক্ষ-মন্ত্র। কিন্তু র্যাহারা ইহা সৰ্ব্বপ্রথম প্রচার করিয়াছেন, তাহারা ইহার অর্থ সম্যক ধারণা করিতে পারেন নাই, তাহ নিশ্চিত, ঘোষণার পরে ইহার অর্থ, ইহার সামর্থ্য র্তাহাদের হৃদয়ঙ্গম হইয়াছে। যাহাকে এখনও এ মন্ত্রের সর্বপ্রধান প্রবক্তা বলিলে অত্যুক্তি হইবে না, সেই বিপিনচন্দ্রও প্রথম প্রথম ইহার অর্থ সম্যক ধারণা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন না। ঈশ্বরপ্রণোদিত হইয়া আমরা এই অস্ত্র নিক্ষেপ করিয়াছিলাম, তাই আমাদের অজ্ঞতা এখানে ধর্তব্যই নয়। কৰি বলিয়াছেন, ইন্দ্র যখন বজ নিক্ষেপ করিয়া বৃত্রসংহার "הידיי"F "-א"יזיז" מאזולfזוf זי" ו"זה זדוויי"טאואיז"c.י. প্রবাসী । [ १भ छांश “স্বপনে জাগ্রত যেন বজ দিল ছাড়ি, . না ভাবিলা, না জানিলা ছাড়িলা কখন।" * কিন্তু তাহাতে অম্বর বিনাশের বাধা উৎপন্ন হয় নাই। মহৎ কাৰ্য্য এইরূপেই ভগবৎ প্রেরণায় সাধিত হইয়া থাকে। ৭ই আগষ্ট যেমন জাগরণের দিন, ১৬ই অক্টোবর তেমনই জাতীয়জীবনের আত্মজ্ঞানলাভের দিন । এতদিন বাঙ্গালীর একটা স্বাধীন স্বতন্ত্র অস্তিত্ত্বের জ্ঞান ছিল না। সে জ্ঞানলাভের চেষ্টাও হয় নাই। ব্রিটিশসাম্রাজ্য-যন্ত্রের একটা চক্রমাত্র ছিলাম, যে দিকে টানিতেছিল, সেই দিকেই যাইতেছিলাম। এমন কি ৭ই আগষ্টও ভয় দেখাইয়া ইংরাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার চেষ্টা ছিল, নিজের মধ্যে সিদ্ধি খুঁজিবার তেমন একটা আগ্রহ ছিল না । কিন্তু ১৬ই অক্টোবর বাঙ্গালীজাতি আপনার মধ্যে ফিরিয়া আসিল । জ্ঞানরাজ্যের নিয়ম এই যে, আত্মজ্ঞান অনাত্মজ্ঞানের সঙ্গে জড়িত, অনাত্মজ্ঞানের সংঘর্ষণে আত্মজ্ঞান পরিস্ফুট হয়। এত দিন যাহা জড়িত ছিল, আজ stri frēzē (differentiated) zềzi i Gi fra starfst আত্মজ্ঞানে দীপ্ত হইয়া ইংলণ্ডকে বলিল, “তোমার উপরে আমার অস্তিত্ব নির্ভর করিতেছে না, আমার একটা স্বাধীন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে, তুমি তাহার গড়ন ভাঙ্গনের কৰ্ত্ত নহ! তুমি বঙ্গ দ্বিখণ্ডই কর, আর শতথওই কর “আমরা বাঙ্গালী জাতি এক” । তাই সে দিন বাঙ্গালী জাতীয়নিশান উড়াইয় আপনার স্বাতন্ত্র্য ঘোষণা করিয়াছে এবং জাতীয়জীবনের মহালক্ষ্যের দিকে যাত্র মুরু করিয়াছে। এই থানে বাঙ্গালী ইংলণ্ডের নিরপেক্ষ অস্তিত্ব লাভ করিয়াছে, এই দিন বাঙ্গালী জাতি আপনাকে ইংলও হইতে বিচ্ছিন্ন ভাবিয়া আত্মজ্ঞান লাভ করিয়াছে, এই খানে জাতীয়জীবনের মনুষ্যত্ব প্রাপ্তি ঘটিয়াছে। আমি আত্মজ্ঞান লাভ করিলাম ধটে কিন্তু পার্শ্ববৰ্ত্তীর যদি আমার “আমি”কে আমি" বলিয়া স্বীকার না করে তবে আমার আত্মজ্ঞান লাভ “গায়ে মানে না আপনি মোড়ল” থাকিয়া যায়। ইংরাজ যদি আমাকে গ্রাহ না করে অনাত্মা যদি আত্মার আত্মত্ব স্বীকার না করে, তবে আমার আত্মজ্ঞান কথামাল কথিত বৃষশৃঙ্গ স্থিত মর্শকের আস্ফালনের স্তায় יי" "י"יfי, ילי"י"fיו"ח" ו-"" ו"י"ח י"