পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা। ] না। আমার ও আত্মজ্ঞান তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে পারে না। এক ভদ্রলোক বিদেশে চাকরী করিতেন, তিনি এক जन बड़ চাকুরে । বহুদিন পর বাড়ী আসিয়াছেন, কিন্তু গ্রামে ঢুকিবার পূৰ্ব্বেই রাত্রি হইয়া গিয়াছে, মুতরাং তিনি যে পান্ধীতে চড়িয়া বাড়ী আসিলেন ইহা প্রতিবেশীর দেখিল না বলিয়া তাহার মনে বড়ই আক্ষেপ হইল। তাই পরদিন যখন পাড়ার লোকে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “কবে আসিলেন, তখন তিনি “কাল রাত্রিতে পান্ধীতে আসিয়াছি” বলিয়া মনের আপশোষ মিটাইলেন। বাস্তবিক প্রতিবেশী ইংরাজরাজ যদি আমাদের এই আত্মজ্ঞানকে স্বীকার না করিতেন তাহা হইলে ইহার কিছু মূল্য থাকিত না । কিন্তু ইংরাজের কাধে অলক্ষ্মী চাপিয়াছে, সুতরাং সে যাহা করিতেছে তাহাতেই ভারতের প্রজাশক্তি এক পদ করিয়া অগ্রসর হইয়া যাইতেছে । বিগত বৎসর ১লা বৈশাখ ইংরাজ বরিশালে যাহা করিয়াছ, তাহ দ্বারা সে বাঙ্গালীর জাতীয়জাগরণ স্বীকার করিয়া লইয়াছে; সে তাহা দ্বারা প্রমাণ করিয়াছে যে বাঙ্গালীর জাতীয়জীবন উপেক্ষার বস্তু নহে, তাহাকে অগ্রাহ করিলে চলিবে না । তাই ১লা বৈশাখ বাঙ্গালীর আত্মমৰ্য্যাদালাভের দিন। সে আত্মমর্য্যাদা ছোটখাট আত্মমৰ্য্যাদা নহে। যে ব্রিটিশসিংহ* প্রবল শক্তিতে বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছেন, বে সাম্রাজ্যে স্বৰ্য্যই বিশ্রাম করিবার সুযোগ পান না, যে ব্রিটিশ সিংহের circular রূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হুঙ্কারেই মার্হাট্টা রাজপুত প্রভৃতি ত্রিশকোটি লোক অধুষিত এই ভারতসাম্রাজ্য নিষ্কণ্টকে শাসিত হইতেছে, সেই সিংহ যখন "thrm offs gầại hts f5fēni (“Tiger qualitis" Pioneer) গুর্থ স্থাকাইয়া বন্দুক কামান লইয়া প্রজাশক্তির অভিব্যক্তি ।

  • এখন ব্রিটিশ-শৃঙ্গাল খলিলেও কিছু জগৌরব হইবে না। কেন ন, জাগে সিংহ বলিয়াই সংস্কার ছিল বটে, কিন্তু আজ কাল সে সংস্কার সংশোধন করিতে হইতেছে। এখন যে শক্তিতে রাজ্য চলিতেছে জাহ। পণ্ডরাজ অপেক্ষ ধূৰ্বরাজ শৃগালেরই উপযুক্ত। যেখানে সিংহবৃত্তির প্রয়োজন সেখানে ইংরাজ নবডঙ্কা। এই সে দিন চোখের উপর বুয়ার E DDD BDD DDD DDS BBDD DDD BB DD BBBS চারি ছরের খন্তাধস্তির পরও একদল অশিক্ষিত চাবাকে সম্যক্ষ দমন कब्र बदेश ७fन' मा, श्छब्रां९ “हठ इंछि श्रजः” ब्रकभ 4कफे नकि করিতে হইল। ইংরাজেরও riger quality" st4 * s steta wta জগতের জানিতে বাকী নাই, Pioneer না বলিলেও পারিতেন।

১২৭ “মাথে টেরি লম্বা দাড়ী চসম বন্ধ লোচন” এবং "walking stick” পৰ্য্যন্ত বর্জিত কজন বাঙ্গালী বাবুর মিলিল ভাঙ্গিতে আসিয়াছিলেন তখন আমরা আমাদিগকে যতই হীন মনে করি না কেন, আমাদের প্রতিবেশী আর আমাদিগকে অগ্রাহ করিতে পারিতেছে না। সে দিন ইংরাজ প্রমাণ করিয়া দিয়াছে আমাদের আত্মজ্ঞান আত্মম্ভরিতা নহে, বাঙ্গালার জাগরণ স্বপ্ন নহে, কবি কল্পনা নহে। বাঙ্গালী যে সঙ্কল্প লইয়া জাগিয়াছে তাহ অমোঘ, মৃত্যুভয়ও যে তাহাকে সে সঙ্কল্প হইতে নিরস্ত করিতে পারিবে না, “আমাকে মারিতে মারিতে মারিয়া ফেলিলেও আমি বিদে মাতরম্ বলিতে ছাড়িতাম না” বাঙ্গালী বালক চিত্তরঞ্জনের সেদিন কার এই উক্তি হইতেই সপ্রমাণ হইয়াছে। সেদিন বাঙ্গালী প্রতিবেশীর কাছে আত্মমর্য্যাদা লাভ করিয়াছে, নিজের কাছে আত্মজয় করিয়াছে। এই থানেই বাঙ্গালীর জাতীয়জীবনস্রোত থামিল না, বছর ঘুরিয়া না আসিতেই, ১লা বৈশাখের সাম্বৎসরিক উৎসব করিবার পুৰ্ব্বেই সেদিন কমিল্লায় প্রজাশক্তি আত্মপ্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছে। ইতিপূৰ্ব্বে গুনিতাম দেবী নৌকায় আসেন, দোলায় আসেন, বড় জোর ঘোড়ার আসেন। এখন যেন বৈদ্যুতিক প্রবাহে (Electric current) চড়িয়া বসিয়াছেন। তাই মনে হয় প্রজাশক্তির পূর্ণ আত্মতৃপ্তি লাভ করিতে আর বেশী সময় লাগিবে ন, র্যাহারা ইতি পূৰ্ব্বে অৰ্ব্বাচীনের স্তায় দু’শ একশ বছর হাকিতেছিলেন তাহারাও বেগতিক দেখিয়া দশ বিশ বছরে নামিয়া পড়িয়াছেন। এখন বিধ্বস্ত রাজশক্তির কপটযুদ্ধেও উদ্যত বঞ্জ প্রজাশক্তির নিকট হারিয়া আত্মরক্ষার জন্ত জম্বুক বৃত্তি অবলম্বন করিতেছে। কিন্তু ইংরাজের আজ যড়দশ, কে তাহাকে রক্ষা করিবে ! প্রকৃতির প্রতিরোধ অনিবাৰ্য্য !! আজ কমিল্লাবাসী দুজন হিন্দুকে নিৰ্য্যাতন করিয়া তুমি জঘন্য পরিতোষ প্রাপ্ত হইতেছে, “পঞ্জাবী-র সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারীর প্রতি জুলুম করিয়া স্বীয় প্রতিহিংসার চরিতার্থতা সম্পাদন করিতেছ, কিন্তু অন্ধ তুমি দেখিতেছ না যে ইহাতে সমগ্র হিন্দুস্থানের মাংসপেশী দৃঢ় হইতেছে। তোমার এই ঘৃণিত অত্যাচারে আজ ভারত জননীর ধমনীতে ষে রস সঞ্চারিত হইতেছে, শিরায় শিরায় যে বিদ্যুৎ প্রবাহ