পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেকিং ৩য় সংখ্যা । ] নিবারণ করিয়া থাকেন। চীনারা ভারতবাসীর মত গোলামের জাতি নহে, বা চীনের বাদশাগণ মোগলবংশের শেষ বাদশাগণের মত অপরিণামদর্শী নহেন, তাই চীনদেশে গৌরাঙ্গগণের এত গাত্রজাল । সম্রাজ্ঞীর অবয়ব । তিনি উচ্চে প্রায় পাচ ফুট হইবেন । গ্রীবাট মুগোল, মস্তকট সুগঠিত, হস্ত দুইখানি অতি সুন্দর, শরীরের বর্ণ শ্বেত, মাথার কেশ কৃষ্ণবর্ণ। এত বয়সেও দন্ত তুপাটী মুক্তামালার মত ঝকৃমক্‌ করিতে থাকে ; ওষ্ঠ দুখানি পাতল, মুখখানি অতি সুন্দর, চক্ষু দুইটী কৃষ্ণবর্ণ ও সোজ জযুগল কৃষ্ণবর্ণ ও বক্র, এবং ললাট প্রশস্ত। র্তাহাকে র্যাহারা দেখিয়াছেন, তাহারা অনুমান করেন যে র্তাহার বয়স চল্লিশের কিছু উপর হইবে। কিন্তু তাহার বয়স এখন ৭২ বৎসর। শরীরটা সম্পূর্ণ সুন্দর। র্তাহার ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পরিচ্ছদ উত্তম এবং অতি মার্জিত রুচিবিশিষ্ট । র্তাহার উষ্ঠানের কোন বুক্ষের প্রথম ফল ফুল সৰ্ব্বপ্রথমে তাহাকে উপহার না দিলে, রাজপুরীর অন্ত কাহারে ম্পর্শ করিবার সাধ্য নাট । সম্রাট । সম্রাট কোয়াংগু প্রায় অষ্টাদশবর্ষ বয়ঃক্রমকালে রাজমাতার হস্ত হইতে রাজ্যের শাসন ভার স্বয়ং গ্রহণ করেন। বৃদ্ধারাণী সম্রাটের হস্তে রাজ্যভার প্রদানকালে নিম্নলিখিত উপদেশ স্বরূপ রাজাজ্ঞা প্রদান করেন যে “আপন শরীর আয়ত্তাধীন রাখিবে, মানসিক চর্চ বৃদ্ধি করিবে এবং রাজ্যশাসন কার্য্যে অদম্য উৎসাহ ও মনোযোগ প্রদান করিবে - এবং সম্রাট নিম্নলিখিত ভাবে উক্ত রাজাজ্ঞায় উত্তর প্রদান করেন যে “প্রার্থনা করি পরমপূজনীয়া সম্রাজ্ঞী আমাকে প্রয়োজনীয় বিষয়ে সৎপরামর্শ প্রদান করবেন। আমি ঈশ্বরকে ধরিত্রীকে ও পূৰ্ব্ব পুরুষগণকে প্রণাম করণ পূৰ্ব্বক, প্রথম চাজমাসের পঞ্চদশ দিবসে, আমার রাজত্বের একাদশ বর্ষে স্বয়ং রাজ্যশাসনের ভার ! রাজপুর। 9లి : নাই । এক এক সম্রাটের রাজত্বকালের আরম্ভ হইতে শেষ পৰ্য্যন্ত গনণায় রাজকাৰ্য্যের ও রাজ্য মধ্যে তারিখ গণনা করা হইয়া থাকে। যথা সম্রাট বলিলেন যে “আমার রাজত্বের একাদশবর্ষে” ইত্যাদি। ১৮৮৯ খৃঃ ২৫শে ফেব্রুয়ারি সম্রাট কোয়াংশু বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া নিজে শাসন করিতে লাগিলেন । কোয়াংশু তাহার বাল্য নাম নহে তিনি সম্রাট হইলে মন্ত্রিগণ তাহাকে এই নাম প্রদান করেন। কোয়াংগু অর্থ “H&sjidatsas ontfoota” (Glorious Succession). বৰ্ত্তমান সম্রাট "পবিত্র বংশের” বা মাঞ্চু রাজবংশের দ্বাদশ নৃপতি। পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে তিনি প্রায় পঞ্চম বর্ষ বয়ঃক্রম কালে সম্রাট পদে অধিষ্ঠিত হন । তখন পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম প্রাসাদের রাণীদ্বয় তাহার পক্ষ হইয়া এক যোগে রাজ্য শাসন করিতেন। পূৰ্ব্ব প্রাসাদের রাণীর ১৮৮১ খৃঃ কাল হয়, তাহার পর হইতে বর্তমান বুদ্ধারাণীই একক তাহার পক্ষ হইয় রাজ্য শাসন করিতেছিলেন । সম্রাটের বয়স এখন প্রায় ৩৫ বৎসর হইবে, পঞ্চম বর্ষ বয়ঃক্রম কাল হইতে রাজ্য শাসন হিসাব করিলে, তাহার রাজত্ব বর্তমান সময় ৩০ বৎসর পূর্ণ হইবে। রাজত্বকালের এই হিসাবে মাঞ্চুবংশের সম্রাটগণের মধ্যে তিনি তৃতীয় স্থানীয়। সম্রাটের ব্যক্তিগত কোন আকর্ষণী শক্তি বা মনোহারিখ নাই। এ বিষয়ে তিনি বৃদ্ধ সম্রাজ্ঞীর সম্পূর্ণ বিপরীত ধরণের বোধ হয়। তাহার শরীরট প্রায় পাচ ফুট চারি ইঞ্চি দৈর্ঘ্যে হইবে। দেহট হালকা হইলেও সুগঠিত। র্তাহার মস্তকটর গঠন মন্দ নয় । মুখমণ্ডল সমধিক পুষ্ট না হওয়ায়, উদাসীনের চেহারার মত দেখায়। র্তাহার শরীরের গঠন হালকা হুইলেও র্তাহাতে যে যথেষ্ট শক্তি আছে তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। রাজপরিবারের অদ্যান্তের ন্তায় তাহার বর্ণ তত শ্বেত নহে। কারণ মাঞ্চুগণের শরীরের বর্ণ প্রায়ই ইউরোপীয়গণের বর্ণের সদৃশ। অনেক মাঞ্চুকে ইউরোপীয় পোষাক পরিধান করাইলে শ্বেতাঙ্গগণের মধ্য হইতে বাছিয়া বাহির করা কঠিন। স্ত্রীলোকগণের বর্ণ ততোধিক পরিষ্কার। সম্রাটের মস্তকের কেশগুলি কৃষ্ণবর্ণ চিকণ ও লম্বা গ্রহণ করিলাম।” চীনদেশে কোন শক :শকা প্রচলিত ] এবং তাহ অতি যত্নে রক্ষিত। এরূপ শুনা যায় যে তিনি