পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>82 প্রকারান্তরে তুষ ছাড়াইলে, কাৰ্য্যসিদ্ধি হইবে না, ইহা নিয়ম বিধি । কেহু কাহাকে কোন কাৰ্য্য বিষয়ে উপদেশ প্রদানকালে, স্বাভিমত সুগম উপায়ই বলিয়া থাকে । কিন্তু নানা কারণে, যাহা একের সুগম, তাহ অন্তের দুর্গম । আজকাল উদুখল মূষলে তুষ ছাড়ান অপেক্ষ যন্ত্রের সাহায্যেই তাহা সুকর। যন্ত্রনিষ্পন্ন তণ্ডুলের অপর তণ্ডুল অপেক্ষ কোন অপকর্ম দেখিতে পাওয়া যায় না--- যদি আমাদের শাস্ত্রানুসারে অবঘাতজাত তগুলের এক অলৌকিকত্ব অপূৰ্ব্বত্ব স্বীকার করা না যায়। ইহা অস্বীকার করিতে পারা যায় না যে, এরূপ বহু স্থান আছে, যেখানে কোন নিয়ম স্বীকার না করিলে চলিতেই পারে না ; যেমন চকমকি পাথর হইতে আগুন বাহির করিতে হইলে লৌহখণ্ড দ্বারা শীঘ্ন শীঘ্ৰ ঐ পাথরে আঘাত করিতে হইবে। কিন্তু এখানে এতাদশ নিয়ম করা ঠিক হইবে না যে, ডান হাতেই লৌহখণ্ড ও বাম হাতেই পাথর খানা ধরিতে হইবে । কোন লোকের হয় ত ঐন্ধপেষ্ট সুবিধা হইতে পারে, কিন্তু অন্ত কোন লোকের বাম হাতেই লৌহদণ্ড ও ডান হাতেই পাথর খানা ধরা সুবিধাজনক । প্রশ্ন হইতে পারে—যদি এইরূপ মত স্বীকার করা যায়, তাহ হইলে শ্রাদ্ধাদিতে দক্ষিণাদিমুখে উপবেশন कब्रियांद्र ८ष निग्नम श्रां८छ्, ठांश उ खेष्क्लिग्न झझेळ :-जमख কৰ্ম্মকাওকেই ত জলাঞ্জলি প্রদান করিতে হইল ! এ সম্বন্ধে আমরা এখানে কিছু বলিতে ইচ্ছা করি না । শ্রাদ্ধাদিতে উপবেশনাদি সম্বন্ধে যে নিয়মবিধি, যজমান অনায়াসে তাহ অনুকরণ করিয়া চলিতে পারেন ; তাহাতে কোন হানির সম্ভাবনা নাই, প্রত্যুত যদি কিছু লাভের প্রত্যাশা থাকে, তাহাও যদি হয়, হউক। একাদশী উপবাসে তাহ চলিতে পারে না । একাদশীর অনশনে কত মহান অনৰ্থপাত সংঘটিত হইতেছে, তাহা সকলেই, বিশেষতঃ পশ্চিমবঙ্গীয়গণ উত্তমরূপেই জানিয়াছেন ও জানিতেছেন । একাদশীর উপবাস প্রাণবিসর্জনের জষ্ঠ অভিপ্রেত iS SSAS SSAS SSei MAAA S S S tt SLLS ੋਂ [ ৭ম ভাগ ।

  • ~.

করিবেন না। শ্ৰী হরিভক্তিবিলাস প্রভৃতি স্মৃতিনিবন্ধে একাদশীতিথিতে বিধেয় অবিধেয় সমস্তই উপনিবন্ধ আছে। তাহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, সেই তিথিতে বিশেষরূপে সংযত হইয়া একাগ্রতায় ভগবানের উপাসনা করিতে হইবে ; ভগবানের উপাসনা করাই সেই তিথির প্রধান কাৰ্য্য। এখন যদি ভগবানের উপাসনাই করিতে না পারা যায়, তবে বৃথা কেবল অনশন করিলে হইবে কি ? পরিক্লিষ্ট শরীরে ও পর্য্যাকুলচিত্তে কি প্রকারে ভগবদারাধনা সম্ভাবিত হইতে পারে ? একাদশী ব্ৰতের এই ভগবদারাধনারূপ দৃশুমান প্রয়োজনীয়তা যখন দেখা যাইতেছে, তখন তাহার অপর কোন উদ্দেশ্য কল্পনা করা কোনরূপেষ্ট যুক্তিযুক্ত হইতে পারে না। এই জন্তই শাস্ত্রকারগণ অসমর্থ লোকের জন্য হবিন্যান্ন গ্ৰহণ পৰ্য্যস্ত অনুজ্ঞা প্রদান করিয়াছেন । এই অনুকল্প বিধান যে স্ত্রীলোককে লক্ষ্য করে নাই, তাহা বলিবার কোন হেতু নাই । একজনের একটী অযৌক্তিক অঙ্গায্য কথার উপর নির্ভর করিয়া এতদূর গুরুতর পাপকার্য্যের অনুমোদন কাহারও শ্রদ্ধেয় হইতে পারে না । বিচারকগণের এ কথাটার দিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত – কৰ্ম্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন । ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচার: স উচ্যতে ॥” যখন পিপাসায় অসহ যন্ত্রণায় প্রাণবায়ু শরীর হইতে বহির্গত হইবার উদ্যোগ করে, তখন কৰ্ম্মেন্দ্রিয় সংযত থাকিলেও ব্ৰতিনী কিঞ্চিৎ উদক পান, বা কিঞ্চি ভোজনকে কেবল স্মরণই করেন না, কাতর বচনে উচ্চৈঃস্বরে প্রার্থনাও করিয়া থাকেন,—যদিও আমাদের স্তায় কুলিশকঠোর পুরুষাপসদগণের বধির কর্ণে তাহা প্রবেশ করিবার অবকাশ পায় না । এখন জিজ্ঞাসা করি এই মিথ্যাচরণ দ্বারা একাদশীর উদ্দেশু কি পূর্ণ হয় ? অতএs— “যস্থিস্ক্রিয়াণি মনসা নিয়ম্যারভতেহর্জন । কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়ৈ: কৰ্ম্মযোগমসক্ত: স বিশিষ্যতে ॥” এই ভগবানের উপদেশকেই অবলম্বন করিয়া কি আমাদের চলা উচিত নহে ? অসমর্থ বিধবাগণের উপবাসে অনুকল্পবিধান অনুজ্ঞাত চষ্টাল সকলেই নিজ নিজ অশক্তি প্রকাশ করিয়া অমুকল্পই