পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ হইতেছে এবং স্বতঃই তাহার বৃদ্ধ পিতা, পুত্র ও পরিবারবর্গের জন্ত আমাদের সহানুভূতি উদ্বেলিত হইয়া উঠিতেছে। লাজপৎ রায় এমন কি গুরুতর অপরাধ করিয়াছিলেন যে, পঞ্জাবের আদালতে তাহার বিচার হইল না এবং লাজপৎ রায়কেও আত্মসমর্থনের অবসর দেওয়া হইল না ! গুজব এই যে—আর এই গুজবটি পঞ্জাববাসী ভারতমাতার কতিপয় কুসন্তান এখন রটাইতে সাহস করিয়াছেন—গুজব এই যে, লাজপৎ রায় পঞ্জাবে একট মহান ষড়যন্ত্রের অধিনায়ক ছিলেন । তাহার অধীনে না কি সহস্ৰ সহস্ৰ লোক ছিল। বৃটিশ রাজশক্তিকে খৰ্ব্বীকৃত করাই এই ষড়যন্ত্রের না কি প্রধান উদ্দেশু ছিল । বিগত ১০ই মে তারিখে সিপাহী বিদ্রোহের পঞ্চাশৎ বর্ষ পূর্ণ হইয়াছে। ঐ তারিখে লাজপৎ রায় সদলবলে না কি লাহোরের কেল্লা আক্রমণ করিবার সঙ্কল্প করিয়াছিলেন । সেই কারণেই না কি পঞ্জাবের ছোটলাট ষ্টবেট্রশন বাহাদুর বড়লাটকে তারযোগে ইতিকৰ্ত্তব্য জিজ্ঞাসা করেন ; এবং বড়লাট বাহাদুর ভারত-সচিব মলি সাহেবকে এ সম্বন্ধে উপদেশ জিজ্ঞাসা করেন, এবং মলি সাহেব লাজপৎ রায় ও র্তাহার শিষ্ণু সর্দার অজিৎ সিংহকে গ্রেপ্তার করিয়া দেশান্তরিত করিবার আদেশ প্রদান করেন । জানি না, এই গুজবের মুলে কোন ও সত্য আছে কি না ; কিন্তু আমাদের বিশ্বাস এই যে, ইহার মূলে বিন্দমাত্র সত্য নাই। যাহারা এখন এই গুজব রটাইতেছেন, তাহারা ইতঃপূৰ্ব্বে তাছা রটাইতে সাহস করেন নাই। করিলে, লাজপৎ রায়, আদালতেই হউক, আর যে রূপেই হউক, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্ত অবসর । পাইতেন। কি কারণে, বিনা বিচারে লাজপৎ রায়ের নিৰ্ব্বাসন দণ্ড হইল, তাহা গভর্ণমেণ্ট না জানাইলে, আমাদের জানিবার আর কিছুমাত্র উপায় নাই । বৃটিশ রাজ্যের আইন এই প্রকার যে, বিনা বিচারে কোনও বৃটিশ প্রজার ও হইবে না। তবে লাজপৎ রায়ের এইরূপ দও হইল কেন ? ১৮১৮ সালের একটি আইন আছে, তাহাতে বড়লাটকে এইরূপ ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে যে, কোনও ব্যক্তি বৃটিশ মিত্র রাজ্যের মধ্যে অসন্তোষ, অথবা বৃটিশ রাজ্যের মধ্যে অশান্তি বা বিদ্রোহ ঘটাইলে, বড়লাট বিনা বিচারে তাছাকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করিয়া দেশান্তরিত প্রবাসী। করিতে পারিবেন। এই আইনের বলেই কতিপয় বৎসর [ १भ छांश्री । পূৰ্ব্বে পুনায় নাতু ভ্রাতৃদ্বয় ধৃত ও কারাবদ্ধ হইয়াছিলেন ; এবং এই আঠনের বলেই আজ মহামনা ও স্বদেশ প্রাণ লাজপৎ রায় বিনা বিচারে সহসা দেশান্তরিত হইলেন। ইংরাজের দোর্দণ্ড প্রতাপ যে কি অসীম, তাহা এতদ্বারাই বুঝা যাইতেছে। আমরা ইংরাজের এই অসীম প্রতাপের কথা জানি । জানি বলিয়াই, আমরা স্বদেশ প্রাণ মাতৃভক্ত সন্তানগণকে সাবধানে কাৰ্য্যক্ষেত্রে অগ্রসর হইতে বারম্বার উপদেশ দিয়া আসতেছি । ইংরাজ রাজা, আমরা প্রজা । এদেশে রাজশক্তি প্রবলপরাক্রান্ত এবং প্রজাশক্তি একান্ত দুৰ্ব্বল। প্রবলের সহিত দুৰ্ব্বলের সংঘর্ষে দুৰ্ব্বলই চিরকাল বিপৰ্য্যস্ত হইয়া থাকে। অন্তও আমরা তাহার পরিচয় পাইয়াছি । জানি না, আমাদের কোনও কোনও নেতা এই ঘটনা হইতে কোন ও শিক্ষালাভ করিবেন কি না । বঙ্গদেশে বঙ্গব্যবচ্ছেদ জন্ত এক গুরুতর অশাস্তির উৎপত্তি হইয়াছে। পঞ্জাবে অশান্তির কারণ কি ? সেখানে জমিদার ও প্রজাসম্বন্ধীয় একটি আইন বিধিবদ্ধ হইয়াছে,* যাহাতে কি জমিদার কি প্রজ। কেহই সস্তুষ্ট নহেন। তৎপরে, কর্তৃপক্ষেরাও না কি খাল হইতে জল লওয়া সম্বন্ধে যে নিয়ম প্রবৰ্ত্তিত করিয়াছেন, তাহাও প্রজাবর্গের পক্ষে সন্তোষজনক নহে। পূৰ্ব্বে শস্তক্ষেত্রের জন্য জল লইলে, ৩ টাকা ফ দিতে হইত। কিন্তু এখন কেহ কাপাসক্ষেত্রের জন্ত জল লইলে, তাহাকে ৮ টাকা এবং ইক্ষুক্ষেত্রের জন্ত জল লইলে, তাহাকে ১২ টাকা ফ দিতে হইবে, এইরূপ ব্যবস্থা হইয়াছে। এই কারণে, পঞ্জাবের জনসাধারণের মধ্যে যে অসন্তোষের উৎপত্তি হইয়াছে, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই ; কিন্তু তাই বলিয়া যে, লাজপৎ রায় প্রমুখ পঞ্জাবের নেতৃবর্গ বৃটিশ শক্তিকে খববীকৃত বা বিপৰ্য্যস্ত করিবার জন্ত বিদ্রোহের সূচনা করিয়াছিলেন, ইহা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নহে । লাজপৎ রায় বঙ্গদেশের খ্ৰীযুক্ত বিপিনচন্দ্র পাল প্রভৃতির ন্তায় "ভিক্ষা-নীতি’র পোষকতা করিতেন না । তিনি পুরুষকার ও স্বাবলম্বনের পক্ষপাতী ছিলেন এবং স্বদেশে যাহাতে দেশীয় বস্তুর উৎপত্তি ও প্রচার

  • *ई जॉईन शंदर्भग्न cजनांरब्रल कईक अनू८भांनिङ मां इ७ब्रांब्र নামখুর হইয়াছে। এ স্থলে প্রজাশক্তির জিক্ত হইয়াছে-প্রবাসী-সম্পাদক।