পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩যু সংখ্যা । ] বঙ্গের হিন্দুর কাগজের গাঁয়ে কলমের দ্বারা যত আঁচড় কাটিয়াছেন, সতীত্বাপহারক দম্বার গায়ে হাতের নখ দিয়া ততটা অ চড় কাটিলেও তাদের উপর লোকের শ্রদ্ধা ও প্রকৃত সহায়ভূতি হইত। আমরা গভীর দুঃখে এই কথা লিখিতেছি। পূৰ্ব্ববঙ্গের কলঙ্ক আমাদেরই কলঙ্ক । যে অস্ত্র ধরিতে, অঙ্গ চালনা করিতে পারে না, সে অমানুষ, অভদ্র, কাপুরুষ, প্রত্যেক সক্ষম বাঙ্গালী ইঙ্গ বুঝুন, প্রত্যেক সক্ষম ভারতবাসী ইহা বুঝুন। এই লেখকের মত র্যাঙ্গদের আর কাপুরুষত্ব ঘুচাইবার বয়স নাই, এবং স্বাস্থাও নাই, তাহদেরও কলম চালাইবার সঙ্গে সঙ্গে লাঠি চালাইতে শিশিবার সুযোগ অন্বেষণ করা উচিত । বালকগণকে বলি, যুবকগণকে বলি, তোমাদের হাতে ষেমন কলম চলে, লাঠিও তেমনি করিয়া চালাইতে শিখ । পরপীড়নের জন্য নয়, আত্মরক্ষার ও দুৰ্ব্বলের রক্ষার জন্য। ইংরাজ আমাদিগকে রাজবিদ্রোহী বলিবে, ও ভীষণ অত্যাচার করিবে । কিন্তু ভয় পাইও না ; বিদ্রোহীপবাদকে অগ্রাহ করিও । মানুষের মত বঁচিতে হইলে সৰ্ব্বদা রাজদ্বারে উৎপীড়িত ও দণ্ডিত হইবার জন্য প্রস্তুত থাকিতে হয় । হিন্দুসমাজকেও দুইটি কথা জিজ্ঞাস করি। (১) পূৰ্ব্ববঙ্গে যে সকল নারীর সতীত্ব অপহৃত হইল, তাহারা সকলেই অথবা প্রায় সকলেষ্ট বিধবা । ইহার কারণ কি ? বিধবার আত্মীয়স্বজনের সধবাদের রক্ষা করিলেন, বিধবাদের জন্ত কিছুই করিলেন না, ইহাই কি কারণ ? অথবা সতীত্বাপহারক পিশাচেরা কি এই ভাবিয়া কেবল র্তাহাদিগকেই আক্রমণ • করিয়াছে ও করিতেছে, ষে তাহীদের উপর অত্যাচারের জষ্ঠ তাহীদের স্বামী না থাকায় কেহ প্রতীকারের চেষ্টা করিবে না ?’ কারণ, যাহাই হউক, যে সমাজে অসহায় বিধবার আর্তনাদ আকাশ ভেদ করিতেছে, তাহার অধঃপতন অনিবাৰ্য্য। আর অধঃপতনের বাকীই বা কি আছে ? ইংরাজের অন্যায় অবিচারের জন্য আৰ্ত্তনাদ ও লম্ফঝম্প করি ; অথচ কাপুরুষ আমরা বিধবাদের উপর অত্যাচার নিজেরাও করি, অপরের অত্যাচার হইতেও তাহাদিগকে রক্ষা করিতে পারি না ; ধিক্ আমাদিগকে! (২) হিন্দুর ধৰ্ম্মবিশ্বাস কিরূপ, যে এত দেবমন্দির ও দেবমূৰ্ত্তি ভগ্ন इहेण, अथळ ७क्छन श्लूि७ उज्झछ निरलङ्ग भाथ णि টেলি-ফটোগ্রাফী | >Ꮼ☾ & ন ? আমরা বহুকাল হইতে শুনিয়া আসিতেছিলাম ষে হিন্দু সব সহিতে পারে, কিন্তু তাহার ধৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ ও তাহার নারীর সতীত্বনাশ সহিতে পারে না । কিন্তু হায় ! তাহীও সঙ্গিয় গেল ! অতএব, হে হিন্দু, যদি এখনও তোমার আরও মরিতে বাকী থাকে ত মর। কিন্তু ভগবানের রূপায় মরা ও বঁাচে ; অতএব যদি বাচিতে চাও, ত এখন বৃথা আস্ফালন, চীৎকার ও লম্ফঝল্ফ ছাড়িয়া মানুষ হও । দুর্নীতি ছাড়, সামাজিক কুরীতি ছাড়, ধৰ্ম্মবিষয়ক কুসংস্কার ছাড়, “ষ্টতর” শ্রেণীর লোকদের ও “অহিন্দুদের প্রতি অবজ্ঞা ছাড়। এখনও নিজের মূল্য যদি না বুঝিয়া থাক, তাহ হইলে আর কখন ৪ বুঝিতে পরিবে না । আমরা স্বরাজ চাই ; কিন্তু মনুষ্যত্বও চাই –স্বরাজের আগে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে এবং তাঙ্গার পরে, মনুষ্যত্ব চাই । টেলি-ফটোগ্রাফী। দরস্থিত পদার্থ আমাদের নগ্ন দৃষ্টিতে ছোট দেখায়; দুরন্থ বস্তুর দপ্তমান আকার অপেক্ষ বৃহত্তর আকারের ফটােগ্রাফ তোলাকে টেলি-ফটোগ্রাফী বলে । টেলি অর্থে দূর, ফটোগtফ অর্থে আলোকচিত্র। এ সম্বন্ধে কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে প্ৰদীপ’ পত্রিকায় কিছু পরিচয় দিয়াছিলাম। এক্ষণে টেলিফটোগ্রাফীর কৰ্ম্মক্ষেত্র প্রসারিত হইয়া পড়িয়াছে; দূরস্থিত ক্ষুদ্রদপ্ত পদার্থের বৃহত্তর চিত্রাঙ্কনেই আবদ্ধ ন থাকিয় টেলিফটোগ্রাফী বৈদ্যুতিবলে এক স্থান হইতে অন্ত স্থানে ফটোগ্রাফ প্রেরণ করিতেছে । ইহার আবিষ্কারে পুলিশ ও ডিটেকটিভদিগের পলাতক অপরাধীকে দূর দূরান্তে অতি শীঘ্র পরিচিত করিয়া ধরিবার বেশ সুবিধা হইয়াছে। মুনিচের অধ্যাপক কর্ণ এইরূপ যন্ত্রের সর্বাপেক্ষা আধুনিক উন্নত প্রণালীর নিৰ্ম্মাতা । তাহার ও র্তাহার যন্ত্র সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ পরিচয় দেওয়া এই প্রবন্ধের উদ্দেশু। ১৯০১ সালে উক্ত অধ্যাপক বৈদ্যুত বলে দূরে চিত্ৰ ৰ৷ চিহ্ন প্রেরণের চেষ্টায় পরীক্ষা করিয়া কতক কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন। প্রেরিতব্য চিত্র একটা কাচের চোঙের মধ্যে রক্ষিত হয় ; চোঙট আপন অক্ষদণ্ডের চতুদিকে অবিরত আবৰ্ত্তিত হইতে থাকে এবং অক্ষদণ্ডানুসারে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়া