পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । ] মুদ্রিত করাইয়াছিলেন, তাহ দেখিয়া সাধারণ ফটােগ্রাফ ভিন্ন অন্ত চিত্র বলিয়া বুঝা যায় নাই। ইহার উপকারিত অপরাধী নিৰ্দ্ধারণে উপলব্ধি হইতেছে, পূর্বেই বলিয়াছি। খবরের কাগজের প্রতিযোগিতার দিনে বহু কাগজওয়ালাও ইহার অনুরক্ত হইতেছেন । যন্ত্রটি বুঝিবার জন্য ইহার নক্স মুদ্রিত হইল। এবং ইহার নির্মাণ ও কাৰ্য্যপ্রণালী সংক্ষেপে নিয়ে পুনরুক্ত ङ्झेल । একটি সিলেনিয়ম ধাতুর প্লেটের মধ্য দিয়া বৈদ্যুৎপ্রবাহ চালিত হয় এবং তাচ পরিবর্তনীয় আলোক সাহায্যে কখন দ্রুত এবং কখন বিলম্বিত হয় । টেলিগ্রাফ যন্ত্রের মত ইহারও তারসংযুক্ত প্রেরক ও প্রাপক-যন্ত্র আছে। প্রত্যেক যন্ত্র একটি কাচের চোঙ আবৃত করিয়া একটি ধাতব চোঙ। কাচের চোঙে প্রেরিতব্য চিত্র সংযুক্ত থাকে। এবং কাচ চোঙ ঘুরিতে থাকে। ধাতব চোঙে একটি রন্ধ থাকে ; এই রন্ধ পথে কেন্দ্রীভূত আলোক Nernst Lamp হইতে প্রবিষ্ট হইয়া ফটোগ্রাফের ফিলমের মধ্য দিয়া একটা ত্রিকোণ কাচে গিয়া পড়ে, এবং সেখান হইতে বক্রীভূত হইয়া বৈদ্যুত-প্রবাহমধ্যবৰ্ত্তী সিলেনিয়ম থালে গিয়া পড়ে । এষ্ট আলোকের আঘাত পরম্পরায় বৈদ্যুত-প্রবাহের বেগতারতম্যে প্রাপক-যন্ত্রে যথাযথ চিত্র মুদ্রিত হইয় উঠে। অধ্যাপক ও তাহার আবিষ্কারের বৃত্তান্ত Illustrated London News & Scientific American vio প্রকাশিত হইয়াছে। বৰ্ত্তমান প্রবন্ধ তাহা হইতেই সংগৃহীত छ्हेल । " এই প্রসঙ্গে পাশ্চাত্য জগতের আর একটি উদ্ভাবনের উল্লেখ করা আবশুক । তাহার নাম টেল-হারমোনিয়ম বা দুর-সঙ্গত। এক স্থানে ঐকতান সঙ্গত হইলে তাহ দূরদূরান্তে এই যন্ত্র সাহায্যে প্রেরণ করা যাইবে। এই যন্ত্রের উদ্ভাবনে দূরস্থ গায়ক, বাদক বা সঙ্গীত ও সঙ্গতসম্প্রদায়ের গীতবাস্ত সকলের উপভোগ করিবার উপায় হইয়াছে ; এক জনের গান বা বাজনা এক সঙ্গে বহু স্থানে শুনাইবার উপায় হইয়াছে। সাধারণ নাট্যসম্প্রদায়ের খুব প্রবাসী বাঙ্গালীর কথা । . ᎼᏬᎸ সুবিধা হুইয়াছে ; তাছার ভাল ভাল কনসার্টদলের বাদ্য এক সঙ্গে বহু লোকে আয়ত্ত করিতে পরিবে ! বাজনা বা গানওয়ালাদের এক একটা কেন্দ্র-অফিস থাকিবে এবং যে নাট্যসম্প্রদায় তাহাদের সাহায্য পাইতে ইচ্ছা করেন, তাহাদের গৃহের সহিত সেই কেন্দ্রের সংযোগ থাকিবে, এবং ইচ্ছামত চাবি ঘুরাইয়া কেন্দ্র অফিসের বিদ্যুৎবল ংগ্ৰহ করিয়া ঘরে বসিয়া আলো জ্বালার দ্যায় গান শুনিবার সুবিধা হইবে । এষ্ট সঙ্গীত বহন ব্যাপারও বিদ্যুৎ-বলেই ংঘটিত হইতেছে। পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকের হাতে বিদ্যুৎ ঐন্দ্রজালিকের ন্যায় নিত্য নূতন বিচিত্র লীলা প্রকাশ করিতেছে । বজ্রকে এমন করিয়া সেবক করিতে আমাদের ইন্দ্রদেবও সক্ষম হয়েন নাই, তাহার পুজক আমরা ত’ অতি তুচ্ছ, আমাদের এ সকল কল্পনারও অতীত ! চারু বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রবাসী বাঙ্গালীর কথা । প্রবাসী বাঙ্গালীদিগের মধ্যে কেহ চিত্রবিদ্যায় সুনাম অর্জন করিয়াছেন এমন জানা যায় নাই । আমরা পরে জানিতে পারলাম যে, কণিকাতার তৈলচিত্রকর প্রযুক্ত বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাহার জীবনের কিয়দংশকাল পশ্চিমোত্তর প্রদেশ প্রবাসে ব্যয় করিয়া গিয়াছেন। তিনি এলাহাবাদের সাহগঞ্জ নামক পল্লীতে স্বীয় ব্যবসায়ের কেন্দ্রস্বরূপ করিয়া যুক্ত প্রদেশের বড় বড় সহরগুলিতে, পঞ্জাবে এবং রাজপুতানায় দেশীয় রাজ্যসমূহে ভ্রমণ করিয়া ভারতীয় অনেক রাজা মহারাজা ও পদস্থ ব্যক্তির প্রতিকৃতি অঙ্কিত করেন । বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত সাতগাছিয়া গ্রামে মাতুলালয়ে বামাপদ বাবুর জন্ম হয়। র্তাহার পিত্ৰালয় হুগলি, সিমলাগড় গ্রামে। র্তাহার পিতা পরোপকারী সরলহদয়, নৈঠিক হিন্দু এবং গ্রামের সকলের সন্মানভাজন ছিলেন এবং মাতামহ সংস্কৃত অধ্যাপকতা করিতেন। বামাপদ বাবুর মাতুলস্বয় র্তাহাকে বড়ই ভাল বাসিতেন, তাহারা তাহাকে অধিক দিন প্তাহার পিত্রালয়ে থাকিতে দিতেন না। এই কারণে বামাপদ বাবুর বাল্যশিক্ষা বৰ্দ্ধমানের গ্রাম্য বিদ্যালয়েই