পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] পারিশ্রমিক না পাইয়া পখাদি সংরক্ষক ভৃত্যগণ ক্রমশঃ স্থানান্তরে যাইতে লাগিল ; সুতরাং রক্ষণাবেক্ষণ ও আহারাভাবে রুগ্ন ও দুৰ্ব্বল হইয় তাহার গৃহপালিত পশুসকল দিন দিন বিনষ্ট হইতে লাগিল। অন্তঃপুরস্থ পরিচারিকাগণ প্ৰভু ও প্রভুপত্নীগণের শোচনীয় দশা দেখিয়া স্থানান্তরে উপজীবিকার অন্বেষণে বহির্গত হইল। প্রিয়তম শিষ্যগণ উপাধ্যায়কে শ্ৰীহীন দেখিয়া বিষগ্নচিত্তে বিদায় গ্রহণ করিতে লাগিলেন। সুখের সময় যে সকল মিত্ৰ-কুটুম্ব পারিপাশ্বিক রূপে আয়ুবপাশ্বে অনুক্ষণ বিরাজ করিতেন, অতঃপর র্তাহারা সকলেই অন্তৰ্হিত হইলেন। পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে আয়ুব নবীর দুই পুত্র ও তিন কন্যা ছিল, তাহার সকলেই “মোক্তেব খানা”য় বিদ্যাশিক্ষা করিতেন । নবীবর আয়ুব একদা উপাসনায় উপবিষ্ট আছেন, এমন সময় শুনিলেন যে, “মোক্তেব” মন্দিরের ছাদ ভগ্ন হইয় তাহার প্রাণাধিক পুত্র কন্যাগণ একসঙ্গেই মৃত্যুগ্রাসে পতিত হইয়াছেন । ফলতঃ এইরূপে অল্পকাল মধ্যে আয়ুব নবীর আনন্দভবন মহাশ্মশানে পরিণত হইল এবং তিনি কেবলমাত্র পত্নীচতুষ্টরসহ মহাশ্মশানের ইন্ধনরূপে এই শ্মশাননিকেতনে থাকিয়া দগ্নীভূত হইতে লাগিলেন। এই সময় পতিপরায়ণ৷ রহিমাই কেবল নবীবরের শোকচুঃখের সঙ্গিনী ছিলেন ; রহিম স্বামীর এতাদৃশ শোকাতীত ভাগ্যবিপৰ্য্যয়ে মৰ্ম্মাহত হইলেন বটে ; কিন্তু আশ্চৰ্য্যরূপে আত্মদমন করিয়া নিরন্তর শোকসগুপ্ত স্বামীর চিত্তবিনোদনের প্রয়াস পাইতে লাগিলেন । পণ্ডিতেরা বলেন “বিপদ ছিদ্র পাইলে বহুল হয়” , স্বতসৰ্ব্বস্ব ইষ্টজন-বিয়োগ-বিধুর আয়ুবের ভাগ্যে ক্রমশঃ যেন তাহাই ফলির্তে লাগিল। উল্লিখিত নিদারুণ দুর্দশার উপর তিনি উৎকট ব্যাধিগ্রস্ত হইয়া পড়িলেন। প্রথমে সৰ্ব্বাঙ্গে এক প্রকার বিষময় বীভৎস স্ফোটক উদ্ভূত হইয়া এবং অল্পদিনেই পাকিয় তাহ হইতে অতি দুৰ্গন্ধ পূর্য ও ক্লেদ নির্গত হইতে লাগিল। এই সময় হইতে আয়ুব স্ফোটকধন্ত্রণায় কাতর হইয়া শয্যাশায়ী হইলেন এবং ক্রমশ: এত ছুর্বল ও বিকল হইয়া পড়িলেন যে, স্বেচ্ছায় পার্শ্বপরিবর্তনের সামর্থ রছিল না। র্তাহার দেহজাত রক্ত পূব ও ক্লেদের किङ्गे झुर्मक, यथट्रम शृश्यङ्ग उ६°ाग्न अिन्त्रीमङ्ग ब्रिशोख श्हेण । আদর্শ সতী বিবি রহিমা । >bペ) এই হেতু যে সকল করুণদ্বয় প্রতিবেশী মধ্যে মধ্যে আসিয়া র্তাহার রোগযন্ত্রণায় সহানুভূতি প্রদর্শন করিতেন, তাহারা আর র্তাহার প্রাঙ্গণে পদার্পণ করিলেন না । অধিক কি এই সময় আয়ুব নবীর অপর স্ত্রীগণ র্তাহার শয়ন-গৃহের দ্বারদেশে আসিতে ও যারপর নাই ঘৃণাবোধ করিতে লাগিলেন। কেবল পরমাসতী রহিমাই এই দুঃসময়ে আত্ম-বিশ্বত হইয়া নিরস্তুর মুমূযু স্বামীর পরিচর্য্যায় প্রবৃত্ত রছিলেন । রহিমা বিজাতীয় দুর্গন্ধ অমানচিত্তে সহ করিয়া স্বামীর দেহোদ্ভূত পূ্য রক্তাদি প্রতিদিন সাত আটবার পরিষ্কার করিয়া দিতেন। শরীরজাত ক্লেদে পরিধানবসন দূষিত হইলে স্বহস্তে স্বামীকে বস্ত্রাস্তর পরিধান করাইতেন । যখন আয়ুব স্ফোটক-যন্ত্রণায় শয্যাতলে পতিত হইয়া ছট্‌ফট্‌ করিতেন, তখন রহিম গলদশ্রীলোচনে স্বকীয় বস্ত্রাঞ্চল দ্বারা তাহাকে ব্যঞ্জন করিতেন। ক্ষুধার সময় পথ্য রন্ধন করতঃ স্বহস্তে তুলিয়া স্বামীকে আহার করাষ্টতেন। স্বামীর কোনরূপ বিশেষ অসুখ বা অভাব উপস্থিত হইতে পারে, এই মনে করিয়া ভীষণ কালরাত্ৰি শয্যাপাখে বসিয়া অনিদ্রায় যাপন করিতেন । কথিত আছে, রহিম এইরূপে অসহনীয় ক্লেশ অকাতরে সহ করিয়া চারিবর্ঘ কাল নিয়ত স্বামিসেবা করিলেন; কিন্তু কিছুতেই তাহার পীড়ার উপশম হইল না । ইহার পর আয়ুব নবীর উৎকট পীড়া আরও ভীষণাকার ধারণ করিল। স্ফোটক সকল গলিত ও বিস্তীর্ণ হইয়া শরীরময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র হইল। হস্ত পদাদির মাংস সকল ক্রমশঃ পচিয়া খসিয়া পড়িতে লাগিল। এই সময় নবীবর আয়ুবের অন্য তিন পত্নী তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া স্ব স্ব পিতৃভবনে গমন করিলেন। তদ্‌ষ্টে আয়ুব রহিমাকে সম্বোধন পূর্বক কহিলেন, “প্রিয়তমে! আমার দুর্দশ দেখির একে একে সকলেই পরিত্যাগ পূর্বক চলিয়া গেল; বিধাতা এ দুরদৃষ্টে আরও যে কত ক্লেশভোগ লিখিয়াছেন, তাছ বলিতে পারি না । তুমি আমার নিমিত্ত এ কাল পর্য্যস্ত যে সকল দুৰ্ব্বিষহ ক্লেশ নিরাপত্তিতে সহ করিয়াছ, নারীকুলের কেহই সেরূপ ক্লেশ সহ করিতে পারে নাই। আমি রোগযন্ত্রণায় যৎপরোনাস্তি ক্লেশ ভোগ করিতেছি বটে, কিন্তু cठांभांग्न अनिज ७ अनांशंद्र अनिङ कटे अश्लब कब्रिब्रां