পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৪ তদপেক্ষ বিষমতর ক্লেশে জর্জরিত হইতেছি । অতএব আমি প্রস্তুষ্ট চিত্তে বলিতেছি, তুমিও কিয়ৎকালের জষ্ঠ পিতৃগৃহে গমন করিয়া আত্মতুঃথের অপনোদন কর।” এই সকল কথা বলিয়া আয়ুব, রহিমার মুখপানে অনিমেষ দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। পতিময়াত্মা রহিম মুমুধু পতির বচনপরম্পরা শ্রবণগোচর করিয়া ভগ্নহৃদয়ে কহিলেন—“নাথ! চিরসেবিকা অধীনীকে আজি এতাদৃশ অভাবনীয় নিষ্ঠুর বাক্য কেন বলিতেছেন, কিছুই বুঝিতে পারিতেছিনা । যদি অজ্ঞাতসারে সেবা শুশ্রুষার কোনরূপ ক্রট করিয়া থাকি, তাহা কি ক্ষমার যোগ্য নহে? নাথ ! ধৰ্ম্মশাস্ত্রে শুনিয়াছি, কৰ্ম্মক্ষেত্র সংসারে পতিসেবাই সতীর একমাত্র কার্য্য ; পতি আরাধনাই সতীজীবনের নিত্যব্রত। পতিসেবাই সতীর প্রধান ধৰ্ম্ম এবং পতির চরণতলষ্ট সতীর স্বর্গ। ফলতঃ পতিই সতীনারীর চতুৰ্ব্বর্গের ফলপ্রদাতা । যে নারী সুসময়ে স্বামীমুখের অংশভাগিনী হয়, আবার দুঃসময়ে পরিত্যাগ করিয়া সুখাস্তরের চেষ্টা করে, সে নারী "বারযোষা” নামের যোগ্য। ইহকালে তাহার অপকীৰ্ত্তি দিকৃদিগন্ত ব্যাপিনী হয় এবং পরকালে সে অনন্তকাল নিরয়াগ্নিতে দগ্ধীভূত হয়। প্ৰভো! ধৰ্ম্মশাস্ত্রের এই মহতী বাণী দাসীর হৃদয়কক্ষে উজ্জ্বলভাবে অঙ্কিত রহিয়াছে । অতএব চরণকিঙ্করীকে পিতৃভবনে গমনের কথা বলিয়া আর অধিক মৰ্ম্মাহত করিবেন না। আপনি মনে করিয়াছেন, অষ্ঠাষ্ঠ সপত্নীগণের দ্যায় আমিও আপনাকে পরিত্যাগ করিয়া জনকাবাসে গমন করিৰ ; কিন্তু নাথ! এরূপ কথা কখনই মনে স্থান দিবেন না। আপনাকে ঈদৃশ উৎকট সঙ্কটে একাকী ফেলিয়া রাখিয়া আমি কোন প্রাণে কোন মুখে পিত্রালয়ে অবস্থান করিব ? পরলোকেই বা ঈশ্বরসমীপে কি উত্তর দান করিব ? অার অধিক কি বলিব, আমি আপনার পাদপদ্ম স্পর্শ করিয়া বলিতেছি, আপনাকে ঈদৃশ ৰিষমতম বিপদে পতিত রাখিয়া সপত্নীগণের ন্যায় পিত্রাবাসে বা স্থানাস্তরে প্রাণান্তেও গমন করিব না। কেবল দয়াময় পরম পিতার সন্নিধানে আপনার রোগমুক্তির প্রার্থনা ও फ़ग़१ cजब कब्रिब्राँ औदिङकांग अउिदांश्ठि कग्निरु।” c७थब्रिङ भशशून्य श्रांबूब ब्रूसिंभडौ नउँौब्र ७हे जरूण अशृङांब्रभांन ८.्वषशू{ बांशांबणैौ वंशं बङ्गिनां ब्रह्म नििखि द्विष्णन প্রবাসী । ৭ম ভাগ না। পীড়িতাবস্থাতেই অনুমেয় মুখামুভব করিতে লাগিলেন । < * কালক্রমে আয়ুব নবীর গলিত মাংসে এক প্রকার বিষকৃমির উদ্ভব হইল। তিনি অসামান্ত সহিষ্ণুতাগুণে এতাবৎকাল পর্য্যন্ত নিদারুণ রোগযন্ত্রণ নীরবে সহ করিয়া আসিতেছিলেন, কিন্তু এক্ষণে বিষকৃমির বিষদংশনে একান্ত অধীর হইয়া উচ্চ চীৎকারে পরমেশ্বরের পবিত্র নাম উচ্চারণ করিতে লাগিলেন । এই সময়ে প্রতিবাসিগণ র্তাহার গলিত ংসের দুর্গন্ধে ও ভীষণ চীৎকারে অতিষ্ঠ হইয়! তহঁাকে কোন দূরবর্তী স্থানে ফেলিয়া আসিবার পরামর্শ করিল। রহিমা প্রতিবাসিগণের এই নিদারুণ পরামর্শ “শ্রবণ করিয়া স্বামিশোকে একান্ত অধীর হইয়া পড়িলেন। তিনি স্বামীকে স্ববাসে রাখিবার জন্য প্রথমতঃ প্রতিবাসী সকলের চরণ ধরিয়া বহুবিধ অমুনয় বিনয় করিলেন ; কিন্তু কেহই র্তাহার কাতরোক্তিতে কর্ণপাত করিল না । এক প্রকার মাদুর যানে করিয়া সৌভাগ্যভ্রষ্ট আয়ুবকে গ্রামাস্তরে লইয়া চলিল। তখন রহিমা অনন্যোপায়ে হৃদয়ভেদী আৰ্ত্তস্বরে ক্ৰন্দন করিতে করিতে ছায়ারূপে হৃদয়েশ্বরের অনুগমন করিলেন । প্রতিবাসিগণ নবীবরকে যে গ্রামে রাখিয়া আসিল, তাহার অধিবাসীর কতিপয় দিন মধ্যে পূৰ্ব্বোক্তরূপে অতিষ্ঠ হইয় তাহাকে দূরবর্তী অন্য এক গ্রামে রাখিয়া আসিল । কথিত আছে নবীবর আয়ুব মাত্রাসনে আরূঢ় হইয়া এইরূপ সপ্ত গ্রামে নীত হইলেন। রহিমাও একান্ত শোকসগুপ্ত চিত্তে স্বামীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ সপ্ত গ্রামে গমন করিলেন । নবীবর অবশেষে যে গ্রামে নীত হইয়াছিলেন, তদগ্রামবাসী কতিপয় নৃশংস ব্যক্তি যুক্তি করিয়া তাহাকে এক জনশূন্য প্রান্তরমধ্যবৰ্ত্তী বৃক্ষতলে রাখিয়া জাসিল। রহিমা শোকে, দুঃখে ও অপমানে উন্মাদিনী হইয়া মুমুধু স্বামীর সহিত বিজনপ্রাস্তরে নির্বাসিত হইলেন । এইস্থানে একের অমান্নুষিক যাতনা এবং অপরের অমান্নুষিক পতিভক্তি লোকশিক্ষার চরম সোপানে পদার্পণ করিল। নারীঙ্গনদুর্লভ পাতিব্ৰত্যের সহিত মিতব্যয়িত বিৰি রহিমার অপর এক সদগুণ ছিল। সম্পন্নকালে স্বামী তাছাকে যে অর্থাদি দান করিয়াছিলেন, তিনি তাহা অসার cछां★विणांzन बाङ्ग न कब्रिग्नां जमखहे नक्ष्द्र रूब्रिग्राँ