পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] AASAASAASAAMeeMSAASAASAASAASAASAASAAeeeeAAASAASAASAAAS ধর্মনিষ্ঠ ব্যক্তিগণকে জায়গীর প্রদান করিতেন। উত্তরকালে এই সকল জায়গীরের অনেকাংশ পুনগ্রহণ করা হইলেও প্রধানত রাঢ়দেশে ইহার প্রাচুর্য্য পরিদৃষ্ট হয়। অনেক পরগণা এবং গ্রামের পারসী নাম রহিয়াছে। মুসলমান নরপতিদিগের স্বাধীন শাসন সময়ে ( ১৩৩৮–১৫৭৬ খু: ) বঙ্গদেশ উত্তর ভারতীয় মুসলমানদিগের আশ্রয়স্থান ছিল। গোর বংশের পতনের পর মহম্মদ তোগলকের রাজত্বকালে বহু মুসলমান বাঙ্গলায় আশ্রয় গ্রহণ করে। আকবরের সময়ে এদেশে অনেক ধৰ্ম্মগুরু প্রেরিত হন । তঁহাদের অনেকে অত্রত্য ঐশ্বৰ্য্য এবং ভূমির উর্বরতার প্রলোভনে আকৃষ্ট হইয়া স্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন । এইরূপে বাঙ্গালায় মুসলমান বিস্তার ঘটিয়াছে।’ ময়মনসিংহের মুসলমানাগ্রণী শ্ৰীযুক্ত গজনবীমহোদয়ও ইহা স্বীকার করিয়াছেন। পরস্তু তিনি বলেন, “মোটামুটি বলিতে গেলে বর্তমান মুসলমান সমাজের শতকরা ২০ জন বিদেশীয় মূলোৎপন্ন এবং ৫০ জন তাহাদের শোণিতে মিশ্ৰিত, অবশিষ্ট ৩০ জন ধৰ্ম্মান্তরিত হিন্দু ও অপরাপর জাতির ংশধর।” এইরূপ আরও অনেকে অনুমান করেন যে, মুসলমান সমাজের অধিকাংশ স্থানীয় অধিবাসীদের দ্বারা পূর্ণ হইয়াছে। তবে উচ্চ শ্রেণীর হিন্দু হইতে ধৰ্ম্মান্তরিত মুসলমানের সংখ্যা খুবই কম। অধিকাংশ পোদ, চণ্ডাল প্রভৃতি নিয়শ্রেণীজ হিন্দু এই ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করিয়াছে। পুৰ্ব্ব ও উত্তরবঙ্গে এইশ্রেণার মুসলমানের সংখ্যা যেরূপ অধিক, প্রাচীন মুসলমান পরিবার তেমনি বিরল। এই ধৰ্ম্মাস্তুর গ্রহণে রাজপুতের পাঠান বংশে স্থান লাভ করেন, পূৰ্ব্ববঙ্গের হিন্দুগণও পাঠান দলের অধিকারভূক্ত হইয়া খাঁ উপাধি পাইয়া থাকেন। বিহার প্রদেশে কোন কোন উচ্চ বংশীয় হিন্দু মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলে লেখ আখ্যায় পরিচিত হন, এবং উচ্চ শ্রেণীর সেখদিগের সহিত র্তাহাদের বিবাহাদি সম্বন্ধও চলে। কিন্তু নীচশ্রেণীজ হিন্দুর মুসলমান সমাজেও সহজে সম্মান লাভ করিতে পারে না। ধৰ্ম্মাস্তরের সঙ্গে সঙ্গে যে নামান্তর ঘটে, তাহাতে পূৰ্ব্বনামের যথাসম্ভব আভাস থাকে। যথা— झागाझ्ब१ मूलणमान शब्द अप्वत्र कब्रिज गभगव्र उन्न नाम বঙ্গে হিন্দু ও মুসলমান। o . "هه ۳۶۰ سه های ممتیوی ع నరీ পায়। অনন্তর অবস্থার উন্নতির সহিত উপাধিও পরিবৰ্ত্তিত করিয়া লয়। কথায় বলে,— “ আগে থাকে উল্লা, তুল্লা, শেষে হয় উদ্দিন ; তলের মামুদ উপরে ষায়, কপাল ফিরে যেদিন।" (১) পরস্তু অনেক হিন্দু মুসলমানধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াও পূৰ্ব্বনাম অক্ষুণ্ণ রাখিতে প্রয়াস পায় । গোপাল মণ্ডল, কালাচাদ সেখ প্রভৃতি নাম অনেক স্থলে শুনিতে পাওয়া যায়। উপরিলিখিত বিবরণী ও অন্যান্য বহুতর প্রমাণ পর্যালোচনায় দেখা যায়, যথার্থ ধৰ্ম্মলোভে মুসলমান সমাজে আকৃষ্ট উচ্চশ্রেণীর হিন্দুর সংখ্যা অতি কম। র্তাহাদের মধ্যে অনেকেই কালাপাহাড়, হুসেন সাহ, এবং মুশীদ্বফুলী খার ন্যায় দৈব ঘটনাবশে মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণে বাধ্য হইয়াছেন। উদাহরণ স্বরূপ দ্বারভাঙার অন্তঃপাতী পরশোনির বর্তমান রাজপরিবার এবং চট্টগ্রামের এলেকাধীন বড় উঠানের জমিদার আসদৃঅালী খাদের পরিবারের নাম করা যাইতে পারে। বাখরগঞ্জে কতকগুলি মুসলমান আছেন, তাহাদের পূর্বপুরুষ হিন্দু ছিলেন। মৃগের তাহার গৃহে প্রবেশ করাতে, তিনি জাতিবহিভূত হন, তাই মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন (২)। এতদ্ভিন্ন পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি, নিয়শ্রেণীর হিন্দু অর্থাৎ যাহার উচ্চ সমাজে অবজ্ঞেয়, প্রধানত তাহারাই মুসলমান সমাজ পরিপুষ্ট করিয়াছে। তবে ইহাও বিরল নহে যে, অনেক চরিত্রভ্রষ্টা হিন্দু বিধবা ও কৌলীন্যপীড়িত ব্রাহ্মণকন্যা মুসলমান উপপতির অঙ্কশায়িনী হইয়া এবং অনেক দুশ্চরিত্র হিন্দু যুবক মুসলমান যুবতীর প্রণয়ফাদে পুড়িয়া ধৰ্ম্মান্তরিত হইয়াছে। 槍 আরও একটী কারণে বঙ্গে মুসলমান সমাজ সহজে সুপুষ্ট হইয়াছে, মনে হয়। হিন্দুগণ হইতে মুসলমানদের ংশ বৃদ্ধির অনুপাত সৰ্ব্বত্রই অধিক । এমন কি পূর্ববঙ্গ ও উড়িষ্যায় দ্বিগুণ এবং ছোটনাগপুরে প্রায় দেড় গুণ। (১) অধুনা নিয়শ্রেণীজ হিন্দুদেরও অনেকে পূর্ব পুরুষানুস্থত বংশগত উপাধি বদলাইয়। কুলীন হইবার চেষ্টা করিতেছে।-- “ বাপ পিতা মোর লিখিত দে," কেটে করলেন ‘দাস' ; অবশেষে ‘দাসগুপ্ত, বৈদ্য জাতে পাশ ।” झेऊाॉनेि छैनांझ्छ१ किशि९ ८ङ्ग* चैौकांग्न कब्रिएल शtथहेई हरछ*ऊ इग्न ! (*) Beveridge's History of Backergunge, p. 39.