পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

84મજ્ઞા I ] معه"گهیه-همههم ماه مه همه«میم ৰিচিত্ৰত কি ?” দীনেশ বাবুর মতে রায়গুণাকরের বিষ্কামুন্দরে লয়লা মজনু'র মত মুসলমানী কেতাব হইতে তাৰ অপহৃত হইয়াছে। ইহা ছাড়া মুসলমান সাহায্যে বঙ্গভাষা আরবী ও পারসী হইতে অনেক শব্দসম্পদেও সৌভাগ্যশালী হইয়াছে। এখন ও ‘জমিদারের’ আদালত দ্বারা পরোয়ানা’ ‘জারি করাইয়া ‘জমি নিলামে দেন ; আর বিপক্ষের “মোক্তার’ তাহার তদ্বির করে। আবার “ফৌজদারী’ ‘মোকৰ্দমায়’ ‘হাকিমেরা উকিলের সহায়তায় ‘আসামী’ ও ‘ফরিয়াদী’ পক্ষের জবানবন্দী এবং সাক্ষ্য লইয়া 'হুকুম দিয়া থাকেন। এতদধিক সুখের কথা মুসলমান রাজত্বে ভারতবর্ষ এক সৰ্ব্বপ্রদেশসাধারণপ্রায় হিন্দীভাষা প্রাপ্ত হইয়াছে। মুসলমান সংশ্রবে হিন্দুদের জাতীয় পরিচ্ছদাদি— ও বহু স্বাচ্ছদ্যলাভ করিয়াছে। আজ ধৃতীচাদরসম্বল হিন্দুগণ বিলাতী পোষাক সমূহ ছাড়িয়া দিলেও 'ইজার’ এবং ‘চাপকান’ কি চোগা পরিয়া, সাম্‌লা মাথায় দিয়া স্বচ্ছন্দমনে ভদ্রসমাজে মিশিতে পারেন, চন্দনী বা গোলাপী আতরের নিকট “এসেন্স", তুচ্ছ। হিন্দুদের আহাৰ্য্য দ্রব্যে ও দিম, দো-পেয়াজা’ প্রভৃতি স্থান পাইয়াছে, ‘আদব কায়দা’তে ও হিন্দুসমাজ মুসলমানদিগের নিকট বিশেষ ঋণী। এতদ্ভিন্ন অঙ্ক, চিকিৎসা এবং সঙ্গীত শাস্ত্র মুসলমানদিগের হাতে পড়িয়া বহু পরিমাণে উন্নত হইয়াছে। এবং হৰ্ম্ম্য ও শিল্প কৰ্ম্ম এক উৎকৃষ্টতর প্রণালীতে সংযত হইয়াছে। মুসলমান বিজেতৃগণই এদেশে প্রথমে বন্দুকের ব্যবহার দেখাইয়াছিলেন । কাচ, বাতি, কাগজ ও র্তাহদের দ্বারা প্রথম আনীত। এমন কি, এদেশে রাজনৈতিক ইতিহাস চর্চাশু তাহীদের সময় হইতে আরম্ভ হইয়াছে। তথাপি র্যাহারা মুসলমান শাসন বা সংসর্গে হিন্দুর চরমাবনতির কথা বলিতে চাহেন, তাহারা যে নিতান্ত ভ্রান্ত বা মিথ্যাবাদী সন্দেহ নাই। বিজেতা ও বিজিতের মধ্যে এতাদৃশ উদ্বার সম্বন্ধের সাক্ষ্য ইতিহাসে অতি সামান্তই পাওয়া যাইতে পারে। মুসলমানাধিকারের প্রথম ভাগ হিন্ধুর পক্ষে যদিও তেমন সন্তোষজনক হয় নাই, তজ্জন্ত ফখও আসে না। কারণ জেতা ও ৰিজিতের সংঘর্ষণকালে निद्रवच्छ *डिब्र कमन-वाडूगङा माज । भद्ररू डाशब বঙ্গে হিন্দু ও মুসলমান । - - ----- ---- సిసిసి ফল হিন্দুসমাজে চৈতন্ত, রামানন্দ প্রভৃতি ধৰ্ম্মপ্রাণ अंश পুরুষগণ আবিভূত হইয়া একান্ত রক্ষণশীল হিন্দুর কতিপয় অন্ধ-সংস্কার দূরীকরণ দ্বার স্থায়ী উপকার করিয়া গিয়াছেন। পরবর্তী মুসলমান সম্রাটগণের হিন্দু মুসলমান নিৰ্ব্বিশেষে প্রজারঞ্জনের কথা আমরা অদ্যাপি অনেকটা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিতেছি। অপরত অধুনা যে পূৰ্ব্ব ও উত্তর বঙ্গের কোনও কোন স্থানে হিন্দু এবং মুসলমানের মধ্যে অসদ্ভাবের কথা শুনা যাইতেছে, স্পষ্টই পরিলক্ষিত হয়, তাহ কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক চাতুরীর বিষময় ফল মাত্র। প্রায় বিশ বৎসর ধরিয়া এই ভেদনীতির চেষ্টা আরম্ভ হইয়াছে, কিন্তু এতদিন র্তাহীদের তাদৃশ চেষ্টা বারংবার বিফল হইয়াছে। এখনও শিক্ষিত মুসলমানসমাজ তৎপ্রতি ঘৃণাপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া থাকেন। তবে কর্তৃপুরুষ ক্ষমতাশালী কোনও মাতৃদ্রোহী কুচক্রীকে উৎকোচ দ্বারা বশীভূত করিয়া তাহার সাহায্যে অজ্ঞ মুসলমান গুণ্ডার দলকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ক্ষেপাইয় তুলিয়াছেন এবং পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে তাহাদিগকে প্রশ্রয় দিতেছেন । ইহার ফলে যদিও আমাদের মৈত্রীভাবে কিয়ৎ পরিমাণে মনোমালিন্ত প্রবেশ করিতেছে, কিন্তু অত্যাচারিগণ তাহদের এ ভ্ৰম অবিলম্বে বুঝিবে। তখন তাহারা ঘুরিয়া দাড়াইলে কর্তৃপক্ষের কিছুতেই নিস্তার নাই। আমাদের মনে হয়, মহামতি আকবরের মুস্নিগ্ধ শাসনপালিত প্রজার উপর কুটবুদ্ধি আওরঙ্গজেবের অদূরদর্শিনী শাসননীতির ফল যেরূপ বিষময় হইয়াছিল, এবং সেই অভু্যখানে ভারতের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রদেশে হিন্দু রাষ্ট্র সংস্থাপিত হইয়াছিল, ইংরাজের বর্তমান উৎপীড়ননীতি সেইরূপ আমাদের জাতীয় জীবন খুলিয়া দিবে। প্রাণে আঘাত না পড়িলে, অভাব উপলব্ধি হয় না, স্বতরাং প্রতিবন্ধক দূর করিতেও হৃদয় মাতে না । তাহারই প্রমাণ, কুটমতি কার্জনের ছৰ্দ্ধৰ্ষ শাসনাবসানের সঙ্গে সঙ্গেই সমগ্র ভারত ব্যাপিয়া জাতীয় উত্থানের স্বচনা আরম্ভ হইয়াছে। মিন্টে, মর্লি, তোমরা আরও শতগুণ তেজে আমাদের হৃদয় পদদলিত কর,-আমরা পরাধীনতার যন্ত্রণ অস্থিমজ্জায় হৃদয়ঙ্গম করি। আর যেন ভগবান শীঘ্রই এমন দিন দেন, তোমাদিগকে দু’হাত তুলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিতে পাই। হে ভাই হিন্দু ও মুসলমান, তোমাদের সম্মিলনে বঙ্গ