পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা। ] ৰলিয়াছিলেন,-তীৰ জীলোক গাছের পক্ষে অপকারী, তাই তাহারা পাতা গুটাইয়া দ্বিপ্রহরের তীব্র আলোকের অপকারের হাত হইতে নিষ্কৃতিলাভ করে। ডারইনের এই ব্যাখ্যান কতদূর বিশ্বাসযোগ্য তাহ পাঠক বিবেচন করুন, এবং ঐ উক্তিটি ব্যাখ্যান পদবাচ্য হইতে পারে কিনা তাহাও দেখুন। এখন আচার্য বম মহাশয় ডালপাতার উল্লিখিত নানা প্রকার বঁাকাচোরার কি কারণ নির্দেশ করেন দেখা যাউক । পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে, লাউ বা কুমড়া প্রভৃতি লতানে গাছের চারাকে সুৰ্য্যরশ্মির অন্তরালে রাখিলে, প্রথম দিন কতক সেটি সাধারণ গাছের স্তায় খাড়া হইয়া বাড়িতে থাকে । কিন্তু ইহার পর ভারাধিক্য প্রযুক্ত বা বায়ুর আঘাতে গাছটি একবার ধরাশায়ী হইলে, তখন লতারই মত তাহাকে শায়িত অবস্থায় বাড়িতে দেখা যায়। আচাৰ্য্য বস্ন মহাশয় বলেন, গাছ যখন শুইয়া পড়ে, তখন তাহার প্রত্যেক ডাটার উপরকার অংশটা স্বৰ্য্যালোকে উন্মুক্ত থাকায়, এই অংশের উত্তেজনশীলতা অনেক কমিয়া আসে। কাজেই উপরাদ্ধের তুলনায় নিম্নাৰ্দ্ধ সাধারণতঃ অধিক উত্তেজনশীল হইয় পড়ে। মনে করা যাউক, পূৰ্ব্বোক্ত প্রকার একটি ডাটার উপরান্ধে আলোক পাত করা গেল । এখানে উপরটা অল্প উত্তেজনশীল বলিয়া আলোকের উত্তেজনা তাহার বৃদ্ধির কোনও পরিবর্তন করিল না, এবং প্রকৃত উত্তেজনাটি আড়াআড়ি ভাবে অধিক উত্তেজনশীল নিয়াদ্ধে পৌঁছিয়া, সেখানকার বৃদ্ধি রোধ করিয়া দিল । কোন জিনিষের এক অংশ যদি অপর অংশের তুলনায় অধিক প্রসারণশীল হয়, তবে এই অসম প্রসারণের দ্বারা সেটিকে ধনুকাকারে বাকিয়া যাইতে দেখা थोप्न ! षष्ट्रब्रशज পৃষ্ঠ ( Concave) অন্নপ্রসারণশীল অংশের দিকে থাকে। এখানে ডাটাটির অবস্থা এই প্রকারই হওয়ার সম্ভাবনা । কারণ উছার উপরাদ্ধের বৃদ্ধি প্রায় অক্ষুণ্ণ রাখিয়া এখানে কেবল নিম্নাদ্ধেরই বৃদ্ধি কমিয়া আসিতেছে, কাজেই লতাটির-ধনুকাকারে বাকিয় যাওয়া ব্যতীত আর উপায় নাই। এখন মনে করা যাউক, লতার অধিক উত্তেজনশীল নিয়ার্ডের উপর বেন নীচে হইতে আলোৰ পাত করা গেল। উদ্ভিদ ও আলোক । - বলা বাহুল্য আলোকের উত্তেজনা, প্রাপ্তি মাত্র, ঐ অংশের २०¢ বৃদ্ধি রোধপ্রাপ্ত হইবে, এবং প্রকৃত উত্তেজনা নীচে হইতে উপরদিকেও আড়াআড়ি ভাবে চলিয়াও, অসাড় উপরাদ্ধকে উত্তেজিত করিতে পরিবে না। কাজেই এখানেও নিয়াদ্ধের বৃদ্ধি রোধ হওয়ায়, লতাটি ঠিক পূর্বের স্তয়েই ধনুকাকারে বাকিয়া যাইবে । কুমড়া ও লজ্জাবতী প্রভৃতি গাছের শায়িত শাখার উপরে ও নীচে সুকৌশলে আলোকপাত করিয়া, শাখার বক্রতার পূৰ্ব্বোক্ত ব্যাখ্যান যে অভ্রান্ত তাহ আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয় নানা পরীক্ষায় প্রত্যক্ষ দেখাইয়াছেন । তা ছাড়া ক্ষেত্ৰজ লতাগাছের ডাটা প্রভাতসূর্য্যের আলোক পাইয়া, পরে আলোকের প্রখরতা অনুসারে কি ভাবে বাকিয় আসে, তাহাও তিনি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখিয়াছেন ; এবং এই সকল পর্যবেক্ষণের ফল তাহার পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তেরই পোষণ করিয়াছে । উদ্ভিদের দিবানিদ্রার কারণ প্রসঙ্গে আচাৰ্য্য বসু মহাশয় কি বলেন, দেখা যাউক । এই ব্যাপারটি বুঝিবার পূৰ্ব্বে দুইটি বিষয় স্মরণ রাখা আবণ্ঠক। ১ম। যদি উদ্ভিদের কোন অঙ্গের এক অংশ অপর অংশ অপেক্ষু অধিক উত্তেজনশীল হয়, এবং উহাদের উত্তেজনা পরিবাহন শক্তি খুব প্রখর থাকে, তবে যে কোন অংশে আলোক পাত করা যাউক না কেন, সেটি ধনুকাকারে বাকিয়া যাইবে ও ধনুর স্ল্যঙ্গ পৃষ্ঠে অধিক উত্তেজনশীল ংশটা থাকিবে । ২য়। উদ্ভিদদেহের পরিবাহন শক্তি অল্প হইলে ষে অংশটিতে উত্তেজনা প্রয়োগ করা যায়, কেবল সেটিকেই ধমুর মুজি পৃষ্ঠে দেখা যাইবে। আচাৰ্য্য বসু মহাশয় পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন, যে সকল উদ্ভিদ দ্বিপ্রহরে পাতা গুটাইয় নিদ্রিত হয়, তাহার সকলেই পত্রমূলযুক্ত ( Pulvinated ) বৃক্ষ । ইহাদের প্রত্যেক পত্রমূলেরই নিম্নাৰ্দ্ধ উপরাদ্ধ অপেক্ষ অধিক উত্তেজনশীল । বসু মহাশয় প্রথমে পালিত মাদার ( Erythrina Indica) sitt gã csf csfd otsta নির্মীলন লইয়া পরীক্ষা আরম্ভ করিয়াছিলেন। পরীক্ষায় দেখা গিয়াছিল, ইহার পত্রমূলের উত্তেজনা পরিবাহন শক্তি