পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦ * § পরাধীন অবস্থায়–অপেক্ষাকৃত নিকৃষ্ট অবস্থায় রাখিবার জন্ত যেরূপ চেষ্টা করে, তাহা যেমন কোন দেশের বিধিব্যবস্থায় আচার ব্যবহারে স্পষ্ট লক্ষিত হয় এমন আর কিছুতে নহে । প্রাচ্য দেশ মাত্রেই বিশেষত ভারতবর্ষে এটা সকলেরই খুব নজরে পড়ে। আরও অদ্ভুত ব্যাপার—এই উৎপীড়িত প্রবঞ্চিত রমণী নিজেই আপনার দাসত্বে দৃঢ়ৰূপে আসক্ত, নিজ দাসত্বকে আঁকৃড়াইয়া ধরিয়া থাকে, স্বাধীনতার অমুকুল নূতন কিছু প্রবর্তিত হইলে তাহতে বিশেষরূপে বাধা দেয় । স্ত্রীলোকের অবস্থা সম্বন্ধে মনুর বচনটি এই ঃ—“পতি ধৰ্ম্মহীন, ইঞ্জিয়াসক্ত, নিগুণ হইলেও পতিব্ৰতা নারী পতিকে দেবতারূপে সতত পূজা করিবেন।” এই পতি সেবার ফল তিনি শতগুণ প্রাপ্ত হইবেন পরলোকে । “পতির আজ্ঞানুবৰ্ত্তী হইয়া চলিলে, নারী স্বর্গে গমন করে” । অবশু এরূপ অঙ্গীকারে বেশী কিছু খরচ হয় না । বহুবিবাহপ্রথা ও অবরোধ প্রথা উচ্চশ্রেণীর মধ্যেই প্রচলিত। প্রথমটি খাস হিন্দুপ্রথা ; দ্বিতীয়টি—ম্পষ্টই বোধ হয়, মুসলমানদের নিকট হইতে গৃহীত । বহুবিবাহের একটা কৌতুহলজনক বিকাশ–কৌলীন্ত প্রথা। ব্রাহ্মণদের মধ্যে যাহারা বহু পুরাতন ও পরমপূজ্য—যাহারা কুলীন নামে অভিহিত, তাহারা অর্থোপার্জনের একটা বেশ পন্থা আবিষ্কার করিয়াছে। এই বিবাহব্যবসায়ী কুলীনের, অল্পবয়স্ক বালিকা হইতে শতবর্ষের বুদ্ধাকে পর্যন্ত নামত: , বিবাহ করিয়া থাকে । ইহাতে দুইটি সুবিধা আছে। এক-ত ইহাতে প্রচুর অর্থ লাভ হয় ; দ্বিতীয়ত—যে কুলে তাহার প্রবেশ করে সে কুলও উজ্জল হয়...ইহা স্বীকার করিতে হইবে, এবিষয়ে হিন্দুরা আমাদিগের অপেক্ষাও অগ্রসর । আমি বলিয়াছি, কুলীনের খুব অল্পবয়স্ক বালিকাকেও বিবাহ করে। অর্থলোভে কোন কুলীন—যুবা কিংবা বৃদ্ধ— মনে কর, একটি ছোট মেয়েকে বিবাহ করিল। সে মেয়েটির বয়স এত অল্প যে তার কথার জড়তাও হয়ত এখনও বায় নাই। সেই কুলীন তাঁহাকে বিবাহ করিয়া লইয়া গেল ; এবং দশ বৎসরে পদার্পণ করিবামাত্রই তাহার সহিত সহবাস করিতে আরম্ভ করিল। ১৮৯১-র আদমসুমারীর বিবরণে প্রকাশ-২৬• • • • • • বালিকা যাহাজের বয়স দশ বৎসরের কম-তন্মধ্যে ২•••••• বিবাহিত ۹۰۰۰ نه ه বিধবা । প্রবাসী। ৭ম ভাগ । দশ বৎসরের বিধবা ! এরূপ বিধৰা পতির সহিত যাহাদের কখনও পরিচয় হয় নাই ! অন্ত বিধবাদিগের মত এই বালবিধবাকেও চির ব্রহ্মচারিণী হইয়া থাকিতে হয় ; গৃহে থাকিয়া দাসীর কাজ করিতে হয় ; নাপিত আসিয়া তাহার মাথা মুড়াইয়া দেয় ; এক বৎসর কাল সে কোথাও বাহির হইতে পায় না ; তাহার মুখদর্শনে অমঙ্গল সুচিত হয় । যে সময়ে আমি চন্দননগরে ছিলাম, একজন খ্যাতনামা বাঙ্গালী গৃহস্থ—ফরাসী-কনসলের খাজাঞ্চি—তাহার বাড়ীতে আমাদের লইয়া যান : তাহার সাতটা পুত্র—মুখে বেশ উজ্জ্বল বুদ্ধির ভাব—তাহাদিগকে আমার সম্মুখে লইয়া আসিলেন। এবং আমাকে বলিলেন :-"আপনি ত দেখিণ্ডেই পাইতেছেন, আমি বেশ ভাল পদে প্রতিষ্ঠিত, আমি ধনবান,— ফরাসী সরকারের প্রসাদেই আমি ধনসঞ্চয় করিয়াছি । কিন্তু গৃহে আমার মুখ নাই। আমার একটি কন্যা, আট মাস হইল, বিধবা হইয়াছে। বৈধব্যের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ, সে হতভাগিনী সমস্ত দিন কৃষ্ণের পূজা অৰ্চনায় ব্রত উপবাসে নিযুক্ত থাকে। একবেল আহার করে। প্রতি মাসের চারিদিন, রজস্বল অবস্থায়, সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার সময় একবারমাত্র আহার করে । এই বিষম গ্রীষ্মের দিনে, সে পিপাসায় মৃতকল্প হইয়া পড়ে ; তাহার মার কাছে লুকাইয়া আমি তাকে জল আনিয়া দিই।” ইহাও তত কঠোর নহে! এখন বিধবার অবস্থা তবুত একটু প্রশমিত হইয়াছে বলিতে হইবে । কেননা, ১৮২৯ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত, সতীদাহ প্রথা প্রচলিত ছিল। হিন্দুর ধৰ্ম্মমতের সহিত পাছে কোন সংঘর্ষ উপস্থিত হয় এই ৷ ভয়ে ইংরাজ সরকার প্রথমে ইহা রহিত করিতে সাহস পান নাই। পরে অনেক কষ্টে ইহা রহিত হয় । সহস! মনে হইতে পারে, এই প্রথা রহিত করিয়া ইংরাজ সরকার । লোকের আশীৰ্ব্বাদভাজন হইবেন । কিন্তু তাই আদপেই नरश् । ८रुक्कै नि नाइ, ८य नक्ण गउँौशोएश्ङ्ग शौन श्हेब्र গিয়াছে তাহাতে এই কথার উল্টাটাই সপ্রমাণহয়। এবং আমি শুনিয়াছি, স্বাধীন রাজাদিগের রাজ্যে, এই প্রথাটি এখনও একেবারে তিরোহিত হয় নাই। কতকগুলি স্থার্থপর লোক, ইহ জীবনের পরেও সতীধর্মের উচ্চ-মহিমা স্থাপন করিবার बछ cम बिषय ८छट्टै कब्रिग्रहिण, ऐश३ ऊांशंद्र नॉकै।