পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] ফ্রাঙ্কলিন যখন 'এই মাজেদ পরিদর্শন করেন, তখন ইহার ভগ্নদশা ; সকল স্থান লতাগুঝে সমাচ্ছন্ন। তথাপি তিনি লিখিয়া গিয়াছেন,—তিনি উত্তর ভারতবর্ষে ইহা অপেক্ষ উৎকৃষ্ট মন্দির দর্শন করেন নাই ? তাহার বর্ণনা পাঠ করিলে, দেখিবার জন্ত স্বভাবতই কৌতুহল প্রবল হইয়া থাকে। দেখিলে, সে কৌতুহল সম্পূর্ণরূপে পরিতৃপ্ত হয় না । যাহা অাছে তাহাতে, যাহা নাই তাহার জন্ত অব্যক্ত বেদনায় হৃদয় মন অবসর হইয়া পড়ে। কোতুয়ালী দ্বার। লোট্রন-মুস্জেদের একক্রোশ দক্ষিণে কোতুয়ালী-দ্বার,— নগরের দক্ষিণসীমার প্রহরিমন্দির । দ্বারের উভয় পাশ্বে প্রহরিসেনার বাসস্থান ছিল, তাহ! এখন ধ্বংসদশায় নিপতিত হইয়াছে। খিলানটি ৪০ ফুট উচ্চ, তাহার নীচে রাজপথ । কোতুয়ালী-দ্বার পর হইতে দেখিতে বৃহৎ এবং মুন্দর। তাহার ভগ্নাবস্থার সহিত বনজঙ্গলের সামঞ্জস্ত সংস্থাপিত হইয়াছে। এই খানে দক্ষিণসীমার মৃৎপ্রাচীর । বাহিরে নগরোপকণ্ঠ,—ভিতরে অনতিদূরে উত্তরপূৰ্ব্ব কোণে “ছোট সাগরদীঘি”—৩০০০ ফুট দীর্ঘ, ফুট প্রস্থ। ইহার তীরে “মাদ্রাসার” ধ্বংসাবশেষ পড়িয়া রহিয়াছে,-তাহা হোসেন শাহার কীৰ্ত্তি বলিয়া সুপরিচিত। মালদহের ভূতপূৰ্ব্ব কালেক্‌টার মিঃ কিং সাহেব এই নগরতোরণের অনতিদূরে এক প্রস্তরফলক প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । তদনুসারে তিনি ৮৬০ হিজরী শকে কোতুয়ালী.ার মাহমুদ শাহ বাদশাহ কর্তৃক নির্মিত বলিয়া ব্যক্ত कब्रिग्न शिंग्रां८छ्न । У те о о শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় । Rosso শিম্পসমিতির প্রবন্ধাবলী। উবায়ু-গন্ধ-তৈল। चांगांप्प्रब्र छांब्रठ यूनभन्नैौ अंकब्राभौ ; पानद्र फू१, ७ण, ठाउ ; फूल, रुका, বীজ , এমন কি কাঠ ও জন্তুতে পৰ্য্যস্ত র্তাহার সৌগন্ধসভার সঞ্চিত ब्रशिॉरह। जांभांएमब्र" tशाल भू{ि जष्ठद्र क्रमान, पूर्ण, पून, ४१७ण, শিল্পসমিতির প্রবন্ধাবলী ।

  • I have not myself met with anything superior to it for elegance of style, lightness of construction, or tasteful decoration in any part of upper Hindoostan -Franklin's Report. ५

.R>お মৃগনাভি, চুয়া প্রভৃতি স্বভাবজ মুগন্ধি সামগ্ৰী ব্যবহৃত হইত। প্রতি পুষ্পের স্বগন্ধকণা চুনিয়া চুনিয়া পুঞ্জীভূত করিয়া গ্রহণ করিবার উপায় বোধ হয় মোগল সম্রাটদিগের বিলাস বিভবের একটি শুভময় ফল। এক্ষণে আমরা বৈলাতিক মোহে হিতবোধশুস্ত হইয়৷ ছুটয়াছি ; গাজিপুরের গোলাপজল, আতর তেল আমাদের আর রুচিরোচন নহে ; আতরের মধ্যে আমরা মুসলমানী উগ্রগন্ধ অমুভব করিয়া নাসিক কুঞ্চিত করি : বেল, চামেলি, হেন সুরভিত গন্ধ তৈলে আমরা পাড়াগেয়ে জংলী জমিদারের গন্ধ পাই ; গোলাপঞ্জলে আমরা মস্তিষ্ক বিকৃতির ব্যবস্থ৷ দেখি, যদিও ইহা জামাদেরই প্রতি প্রযুজ্য ব্যবস্থা। আমরা থৈলাভিক মোহের আকর্ষণে গোলাপজল ফেলিয়া হোয়াইট রোজ, চেরি ভয়েলেট ধরিয়াছিলাম ; বেল, চামেলি, হেন ছাড়িয় ল্যাভেণ্ডার রোজ মেরির উগ্রগন্ধে প্রাণ ঢালিয়াছিলাম। এখনো এই স্বদেশীপ্রচেষ্টার দিনেই কি আমাদের মতি ফিরিয়াছে—বিলাতী এসেন্স বিলাতী শিশিতে দেশী বলিয়৷ ব্যবসাদার চালাইয় দিতেছে, আমরা দিনে ডাকাতি বুধিয়াও ঘরের পানে ফিরিতে ত চাহিতেছি না : বৈলাতিক সুগন্ধে সুরভিত কেশতৈলে মস্তিষ্ক প্রতিদিন সিক্ত করিতেছি, মস্তিষ্ক বিকার ত কই ঘুচিতেছে না। এইবার ঘরে পরে সতর্ক করিতে আরম্ভ করিয়াছি, যদি এখনো আমাদের क्वेङमा झुम्न । ভারতীয় পুরাশালার শিল্পবিভাগের ঐযুক্ত ডেভিড হপার আমাদের দেশের গন্ধ ভাণ্ডারের যে সন্ধান জানাইয়াছেন, তাহাই এক্ষণে সংক্ষেপে প্রবাসীর পাঠকদিগের গোচর করিবার চেষ্টা করিতেছি । উবায়ু-গন্ধ-তৈল (Essential Oils) ভারতের একটি মহা লাভজনক পণ্য হইতে পারে। উবায়ু-গন্ধ-তৈল উগ্র বিচিত্র গন্ধ বিশিষ্ট এবং সম্পূর্ণরূপে উবায়ু। অনেক উবাবু গন্ধতৈল (যেমন তাপিণ ) শুধু অঙ্গার ও উদ্‌যানের মিশ্রণ , কোন কোন তৈলে অম্লজানও থাকে। অনেক তৈলে তরল উদঙ্গার (Hydrocarbon) সহ কঠিন অল্পঞ্জনিক পদার্থ মিশ্রিত থাকে ; এরূপ তেলের তলায় দানা বাধে। উবায়ু-গন্ধতৈল প্রায়ই উদ্ভিজ্জ এবং পুপ (যেমন গোলাপ ) পত্র (তুলসী ) ত্বক (কমলার খোল) এবং ফলে (মৌরী ও যোয়ান প্রভৃতি ) উদ্ভিদের সকল অবস্থায় পাওয়া যায় । প্রস্তুত প্রণালী নিম্নলিখিত প্রকার ও রকম ; কিন্তু ভারতে প্রথম প্রথাই অনুস্থত হয়। (১) উদ্ভিজ্জ পদার্থ চেলাই করা অর্থাৎ গরম জলে ফুটাইয়া ঘাম্প ঘনীভূত করিয়া লও। উবায়ু-গন্ধ তৈল জল অপেক্ষ অধিক তাপে স্ফটিত হইলেও জলবাম্পের সহিত তৈলবাষ্প, নিঃস্বতন্থয়, এবং ঘনীভূত হইয়া জল হইতে পৃথক হইয় পড়ে। চেলাইকার্য্য আগুণের তাপে করিলে কঠিন পদার্থ সকল পুড়িয়া কয়লা হইয়। জমাট বাধিয়া যায় ; এই অসুবিধা বাষ্পতাপ প্রয়োগে নিরাকৃত হইতে পারে। (২) যে সকল ফলে তৈলকোষ বেশ বড় বড় তাহ চোলাই ন৷ করিয়া স্পঞ্জ ও দন্তগর্ভ বাটির সাহায্যে তৈল সংগৃহীত হইতে পারে। (७) कमल श| यश्च झाउँौग्न (शबूद्र ¢शानग्नि यtशहे ४ङण शांएक : লেবু চাপ দিয়া পিষিয়া তৈল বাহির করা যায়। (৪) স্নেহ প্রসেক অর্থাৎ পূৰ্ব্বাহে তগুঞ্জলে তরলীকৃত উদ্ভিজ্জ স্নেহে পুষ্প মজ্জিত করিয়া রাখিলে সেই স্নেহ পদার্থ পুষ্পবাসিত হইয় উঠে : সেই পুষ্পবাসিত স্নেহ মুরাসার মিশ্ৰিত করিয়া নাড়িয়া লইলে পুষ্পসার পৃথক হইয় পড়ে। (৫) সুগন্ধ-শোষণ স্নেহপ্রসেকেরই মত অন্ত উপায় । কাচের পাত্রে একস্তর বসা পুষ্পাচ্ছাদিত করির দিতে হয়, এবং প্রত্যহ পুরাতন পুপ বদলাইয়া নুতন পুষ্প স্থাপন করিতে হয়, এইরূপে সেই পুষ্পাচ্ছাদিত হীন