পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२४~ হইয়াছিল ; বাংলার অপরাপর অংশ হইতে কেবল মাত্র ৯টি আবেদন হইয়াছিল। বোম্বাই প্রদেশে ঠিক ইহার উণ্টা ; সহর বোম্বাই হইতে ১৩ ও বাহিরের ৩২। বাংলা ও বোম্বাই প্রদেশে দেশীয়ের আবেদন হইয়াছিল ১৯টি করিয়া ৩৮টি। বাংলায় বাকি ৫৭টি ও বোম্বাইয়ের বাকি ২৬টি অপর দেশীয়ের দ্বারা হইয়াছিল। মান্দ্রাজের মোট ২৬ ও পঞ্জাবের ১৬ আবেদনের মধ্যে দেশীয়ের ছিল ৬টি করিয়া ১২টি। যুক্ত প্রদেশে ১৩ টির মধ্যে ৫টি দেশী, পূৰ্ব্ব বঙ্গে ৭টির মধ্যে ৩টি, এবং ভারতের অপরাপর অংশ হইতে মোট ২৬টির মধ্যে ৭টি পেটেন্টের আবেদন দেশীয়ের দ্বারা হইয়াছিল। দেশীয় লোকের দ্বারা উদ্ভাবনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়িতেছে। পেটেণ্ট গ্রহণের জন্য আবেদনের তালিকা হইতে ইহা বুঝা যায়। নিম্নে তালিকা প্রদত্ত হইল :– বৎসর সংখ্যা বৎসর সংখ্যা বৎসর সংখ্যা ›byሕ)8 ৩২ У No е е 8 & ۵ را ه ه Ա (t 為br為Q 8& 〉a ・) 8も

  • 〉br為も 82 S» ०२ q \o

»ሆሕ ፃ 8° 为知●° 8 〉b"為b" 8 & )సి ఈ 8 ۹ را Vసిసి w8 >> e Q ፃ » উদ্ভাবন বিষয়ে উন্নতি যথেট সন্তোষজনক নহে। কিন্তু বিগত শিল্প-সমিতিতে মহারাজ গায়কবাড়ের কথা এই প্রসঙ্গে স্মরণীয়। তিনি বলিয়াছিলেন—“আমাদিগের যান্ত্রিক উন্নতি আধুনিক জাতিসমূহের যান্ত্রিক উদ্ভাবনের সহিত সমতা রাখতে সমর্থ নহে, ইহার কারণ আমাদের দেশের বুদ্ধিবিদ্যাসম্পন্ন জাতিগণ সহস্রাধিক বৎসর শিল্পচর্চা ত্যাগ করিয়াছেন এবং শিল্পের ভার অপেক্ষাকৃত চীনবিদ্য অল্পবুদ্ধি জাতির মধ্যে নিবন্ধ হইয়াছে। কারুশিল্পের প্রতিভা আমাদের দেশে যথেষ্ট আছে এবং কারুকর শ্রেণীর দক্ষতা ও স্বতন্ত্রতার মধ্যে তাহার আভাস দেখিতে পাওয়া যায় । যদি কারুশিল্প বিশেষ জাতির নিজস্ব সেই জাতিনিবদ্ধ ব্যবসাতে না থাকিয়া সমগ্র দেশের সকল জাতির মধ্যে পরিব্যাপ্ত হইয় পড়ে, ব্রাহ্মণ ও মৌলবীর শিশুসন্তানগণ বাল্যকাল হইতে যদি যন্ত্র ব্যবহারে শিক্ষিত দীক্ষিত হয়, যদি প্রত্যেক কৃতবিদ্য যুবক (গ্রাজুয়েট ) যাহাদিগের যন্ত্রবিদ্যা ও কারুশিল্পের প্রতি কোক ও অনুরাগ আছে তাছারা চুক্ত বেতনের কার্যের জন্ত লালতি হইয়া না ফিরিয়া সেই বাবলায়ে লিপ্ত হনু,

ുൺ

[१थ आन। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে জাতীয় প্রতিভা সাহিত্য ও চিন্তায় এবং শিল্প ও উদ্ভাবনে তুল্যরূপে বিকাশ প্রাপ্ত हठेtरु ।’ স্বদেশী প্রচেষ্টার ফলে পেটেণ্ট অফিসে শুধু তাতের শিল্পের কিছু উন্নতি পরিলক্ষিত হইয়াছে। কুম্ভকারী (pottery), কাচ, দিয়াশলাই, পেন্সিল, চামড়া এবং সাবান প্রভৃতি ব্যবসায় আরম্ভ হইয়াছে বটে, কিন্তু এই সব শিল্পে অল্পশিক্ষিত লোকের উপর কোন উদ্ভাবন আশা করা যায় না, অন্ত দেশের উদ্ভাবিত প্রণালীই এখন দেশে প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে। ভারতের খাটি দেশী লোকের মধ্যে বা স্থায়ী বাসিন্দার মধ্যে উদ্ভাবনের অভাবের কারণ এ দেশের মূলধন ও শিল্প প্রস্তুত প্ৰণালীর অবস্থা হইতে বুঝা যায়। এ দেশের যত বড় কারবারের মূলধন অধিকাংশ বিদেশী ; এবং ফলাও কারখানার কলবল বিদেশের আমদানী। এদেশে যদি কখন উন্নত প্রণালীর কল উদ্ভাবনের কল্পনা জাগ্রত হয়, তাহা সুবিধার অভাবে কার্য্যে পরিণত হষ্টতে পারে না। কারণ বিদেশের পুরাতন ধরনের কলেই যখন কাজ চলিয়া যায় তখন আর নূতন সংশোধনের আবশুক বোধ হয় না। আরো ভারতের প্রধান পণ্যদ্রব্য কাচা মাল বা প্রায় কাচ মাল। আমাদের দেশে পূৰ্ব্বাপর বয়নশিল্পেরই প্রচলন ও উন্নতি হইয়াছিল, এখনো সেইজন্য সকলের ঝোক সেই । দিকেই দেখা যায়। নবশিক্ষিত বা নব প্রচলিত ব্যবসায় সমুদয়ে সকল শক্তি কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহ করিতেই ব্যয়িত হইয় যায়, ব্যবসায় সুপ্রতিষ্ঠিত ও পুরাতন ন হইলে সেই ব্যব- । সায়ের কারুকরগণ নব নব উদ্ভাবনের প্রতি অবহিত বা চেষ্টিত হইতে পারে না । কিন্তু এ দেশে যন্ত্রবলের প্রচলন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মূলধন ও জনশক্তি ক্রমশ অল্প আবদ্ধ হইতেছে, এক্ষণে সেই অনাবদ্ধ মূলধন ও জনশক্তি নিত্য নব নব উদ্ভাবনে নিযুক্ত হইয়া দেশের কল্যাণ করিবে আশা করা যায়। * -