পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిలిe (Tagore Law Examination) os on few ৰি, এল, পরীক্ষা দেন নাই। ইংরাজী বলিবার ও লিখিবার শক্তি অসাধারণ ছিল বলিয়া লোকে তাহাকে আইন পরীক্ষা দিতে পরামর্শ দিত কিন্তু ওকালতী দ্বারা জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতে র্তাহার ইচ্ছা হয় নাই—কেবলমাত্র এই সম্বন্ধে জ্ঞানের জন্যই তিনি আইন পড়িয়াছিলেন। মানবের কষ্ট নিবারণের জন্য র্তাহার বরারই ডাক্তার হইবার বাসনা ছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহার এ ইচ্ছ ফলবতী হয় নাই। মেডিক্যাল কলেজে ভৰ্ত্তি হইবার বিলম্ব হইতেছে দেখিয়া তিনি ইদানীং নিজে নিজে হোমিওপ্যার্থী শিক্ষা করিয়া প্রতিবাসিগণের উপকার সাধন করিতেন। এই সময় বঙ্গ-ব্যবচ্ছেদ ও স্বদেশী আন্দোলন লইয়া সমগ্র বঙ্গদেশে তুমুল হৈ চৈ পড়িয়া যায় এবং বরেন বাবুও প্রাণপণে উহাতে যোগ দেন। তাহার অধিকাংশ কৰ্ম্মই নীরবে সম্পন্ন হইত, কিন্তু বারাসতের অনেক অধিবাসীর নিশ্চেষ্টতা ও স্বদেশিতার বিরুদ্ধাচরণ জন্য র্তাহাকে মৰ্ম্মাহত হইয় তাহাদিগকে উপযুক্ত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করিতে হয়। কিন্তু কথায় বলে “স্বভাব না যায় ম’লে ;” বারাসতের ঐ সকল অধিবাসী জাত্যভিমানে উচ্চ হইলেও প্রায়ই একরূপ নিরক্ষর। তাহারা স্বদেশিতার উচ্চ ভাব অনুভব করিতে না পারিয়া তাহার স্বদেশী সভা করিবার চেষ্টায় সাধ্যমত বিপক্ষতা করিতে লাগিল । অবশেষে প্রধানতঃ তাহারই চেষ্টায় বিখ্যাত স্বদেশসেবক সকল আসিয়া বারাসতের অসাড় প্রাণে জীবনীশক্তি প্রদান করিতে চেষ্টা করিলেন। ক্ষণেকের জন্ত বারাসতের হৃদয়তন্ত্রী বাজিয়া উঠিল, কিন্তু বলিতে গেলে দুঃখ হয়, বারাসত আবার নীরব ও নিশ্চেষ্ট হইয়া পড়িয়াছে। এখন বিদেশী দ্রব্যে বারাসত প্লাবিত হইয়া পড়িয়াছে। যাহা হউক রাখি বন্ধনের সময় তিনি কতিপয় স্বদেশভক্ত ছাত্রের সাহায্যে জাতি ও ধৰ্ম্ম নির্বিশেষে রাখিমন্ত্র পাঠ করিয়া স্বহস্তে সকলের মণিৰক্ষে রাখি বাধিয়া দেন। বারাসতের অনেক ভদ্র ব্যক্তি চাকরী যাইবার ভয়ে ইহাতে যোগ দেন নাই। বরেন বাৰু কথায় ও কাৰ্য্যে সম্পূর্ণ স্বদেশী ছিলেন ৰলিলেও অত্যুক্তি হয় না। তিনি “বয়কটের” পক্ষ প্রবাসী । ইংরাজী ১৯০৫ সালের শেষে নেপালের নির্বাসি [ ৭ম ভাগ। SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS রাজভ্রাতার পুত্রদের শিক্ষক হইয়া তিনি মধ্য প্রদেশের সাগর নামক স্থানে যান, কিন্তু কয়েক মাস পরেই সে কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। কিছুদিন পরে তিনি এলাহাবাদে চলিয়া যান ও সেখানে অবস্থিতি কালে ১৯০৭ সালের ৫ই এপ্রিল তারিখে প্লেগ রোগে আক্রাস্ত হইয় ৯ই তারিখে প্রায় ৩৫ বৎসর ১০ মাস বয়সে ইহলীলা সম্বরণ করেন। তাহার সততা, অমায়িকতা ও পরদুঃখকাতরতার জষ্ঠ তিনি সকলেরই প্রিয় ছিলেন। বিপদে পড়িলে লোকে সৰ্ব্বাগ্রে তাহারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিত। র্তাহার জ্ঞান উপাৰ্জ্জনের স্পৃহা অত্যন্ত বলবতী ছিল। এমন দিন প্রায় দেখিতে পাওয়া যাইত না যে দিন তিনি কিছু না কিছু নুতন বিষয় শিক্ষা না করিয়াছেন। མྱེ། প্রবাসী রাজপরিবার। রাজা শুামানন্দ দে বাহাদুর ১৮১৭ খৃষ্টাব্দের ১৬ই ফেব্রুয়ারী বালেশ্বরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি জাতিতে তাজুলি, এবং যে সব দে হুগলি জেলাস্থিত মায়াপুরের অধিবাসী ছিলেন রাজা শু্যামানন্দ তাহারই বংশধর। তিনি যৌবনে কুৎসিৎ প্রলোভনে মত্ত না হইয়া কায়মনোবাক্যে আপন কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মে মনোনিবেশ করেন। র্তাহার দক্ষতাপূর্ণ সুবন্দোবস্ত, সততা ও সদ্ব্যয় দ্বারা তিনি পৈতৃক সম্পত্তির আরও আয় বৃদ্ধি করেন। তাহার কার্যকলাপ, উদারতা, বদান্তত, অনাথ আতুর ও নিরাশ্রয়ের সেবা কাৰ্য্যে আত্মোৎসর্গ প্রভৃতি সদগুণ দ্বারা এই উড়িষ্য অঞ্চলে যশস্বী ও সৰ্ব্বজন সমাদৃত হন। তিনি ১৮৫৯ খৃষ্টাব্দে ৮০,০০০ টাকা ব্যয়ে পুরীস্থিত জগন্নাথের গুণ্ডিচা মন্দির সংস্কার করাইয়া দেন। ১৮৬৬ সালে উড়িষ্যা প্রদেশের দুর্ভিক্ষে তিনি শত সহস্ৰ তুর্ভিক্ষ প্রপীড়িত লোককে অকাতরে চাউল ও বস্ত্র প্রদান করেন। মুদ না লই। র্তাহার রাইয়ুতদের ধাপ্ত ও টাকা ঋণ দিয়া ও বিপদাপন্ন প্রজাদের অনেক রাজস্ব মাপ করিয়া প্রজাদের শাস্ত করেন। এই সমস্ত অর্থের সমষ্টি প্রায় লক্ষ টাকা হুইবে । তিনি উত্তর পশ্চিম ও মাঙ্গাজ প্রদেশের এবং আয়লণ্ডের দুর্ভিক্ষ ফণ্ডে