পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] যথেষ্ট পরিমাণে টাকা দিয়াছেন। দরিদ্র লোকের সন্তানদের শিক্ষার জন্ত তিনি অনেক গুলি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যয় ভার নির্বাহ করেন, আরও তিনি এই প্রদেশের অনেক বিদ্যালয়ের গৃহ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছেন এবং অনেক গুলির আংশিক ব্যয়ভার বহন করেন । প্রিন্স অব ওয়েলসএর ভারতবর্ষে শুভাগমনের স্মরণার্থে তিনি ৮ টাকা করিয়া দুই বৎসরের দুইটী বৃত্তি নিৰ্দ্ধারিত করিয়াছেন। যে সব ছাত্র বালেশ্বর জেলা স্কুল হইতে প্রবেশিক পরীক্ষায় পাশ করিবে ও গবর্ণমেণ্টের বৃত্তি পাইবে না তাহারা এই বৃত্তি পাইবে । এই টাকা বর্তমানে ভদ্রক এন্টান্স স্কুলের জন্য ঐ ফণ্ডের সদস্তগণ কর্তৃক নিরূপিত হইয়াছে। ১৮৭৪ সালে তিনি বালেশ্বরে একটা দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়াছেন, এবং চিকিৎসালয়ের জন্য একটা উপযুক্ত বাট নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন, এবং বাৎসরিক ৫০০ টাকা আয়ের একটা ক্ষুদ্র জমিদারী উক্ত চিকিৎসালয়ের ব্যয় নিৰ্ব্বাহের জন্ত নিৰ্দ্ধারিত করিয়াছেন। তিনি কোনপ্রকার মূল্য না লইয়া এ প্রদেশ দিয়া যে সমুদ্র তীরবর্তী খাল. যাইতেছে তাহার জন্য অনেক জমী গভর্ণমেণ্টকে দিয়াছেন। তিনি এই জেলায় বিভিন্ন কমিটীর মেম্বর স্বরূপ থাকিয়া গভর্ণমেণ্টের কার্য্য করিয়াছেন। তিনি যথাবিহিতরূপে মহারাণী ভারতেশ্বরীর জুবিলী মহোৎসব সুসম্পন্ন করেন। আরও এই নগর দিয়া যে সমস্ত তীর্থযাত্রী ও নিঃস্ব লোক যায় তাহাদিগকে দৈনিক অনেক পরিমাণে অর্থ বিতরণ করেন। এরূপ রাজভক্তিরও এই সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী দান ও কাৰ্য্যের জন্য ১৮৭৫ সালে তিনি রায় বাহাদুর উপাধি ও ১৮৭৭ সালের জানুয়ারী মাসে রাজ উপাধি ১৮৮৭ সালে মহোরাণীর জুবিলী উপলক্ষে রাজা বাহাদুর উপাধি প্রাপ্ত হন, কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে এই সন্মানজনক উপাধি অধিক দিন ভোগ করিতে হইল না। ১৮৮৮ সালের অক্টোবর মাসে ৭১ বৎসর বয়সে স্ত্রী, দুই পুত্র ও চারি কস্তা রাখিয়া ভৰলীলা শেষ করিলেন। শোকবিহাল রাণী পুণ্যশীল স্বামী বিচ্ছেদে দিনে দিনে দগ্ধহৃদয়া হইয় ১৮৯৯ সালের আগষ্ট মাসে মৰ্ত্তভূমি ত্যাগ করিয়া পরলোকে স্বামিলদিনী হইলেন্ন। কুমার বৈকুণ্ঠনাথ দে (বর্তমান प्रांब बांशश्न) वगैंौब ब्रांज बांशश्रब्रव्र cजाई शृङ । বিবিধ প্রসঙ্গ। ఫ్చిలి: موسیه» রাজা বৈকুণ্ঠনাথ দে বাহান্থর ১৮৫২ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। ইহঁার মত নিৰ্ম্মল চরিত্র ও অমায়িক লোক অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। ইনি দরিদ্র ব্যক্তিগণের শিক্ষার জন্য কয়েকটা বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছেন। মহারাণীর জুবিলী স্মরণার্থে একটা মধ্য ৰাঙ্গালী বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছেন। সংস্কৃত শিক্ষার উন্নতি কল্পে ৪০ ও ৫০ টাকার দুইটী বৃত্তি নিদ্ধারিত করিয়াছেন, এবং গত বিশ বৎসর হইতে সমস্ত কমিটীর মেম্বর ও অবৈতনিক বেঞ্চ ম্যাজিষ্ট্রেটের কাৰ্য্য করিতেছেন, মিউনিসিপালিটী ও ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হইয়াছেন, এবং বালেশ্বর জাতীয় সমাজের সভাপতি হইয়াছেন। ইনি কৃষ্ণদাস পাল হল, টাউনহল ও পুস্তকালয় প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোগী এবং চাদবালী হাসপাতাল এবং তীর্থযাত্ৰী ফণ্ডের সম্পাদক । গবমেন্ট ইহার সৎকার্য্যে উৎসাহ দেখিয়া ইহাকে একখানি সন্মান সূচক প্রশংসাপত্র দেন ও ব্যবস্থাপক সভায় উড়িষ্যার মেম্বর নিযুক্ত করেন ; ইনিই উড়িষ্যার প্রথম মেম্বর। ইহার একটী মুদ্রাযন্ত্র আছে। তাহাতে এই প্রদেশের শিক্ষার সুবিধার জন্য বিদ্যালয়ের ব্যবহারোপযোগী পুস্তক ও মানচিত্র ছাপা হইয়া থাকে। শ্রীরাখালদাস পালধি । বিবিধ প্রসঙ্গ । আমরা অনেকে চাহিয়াছিলাম যে যদি লাল লাজপৎ রায় দোষী হন, তাহা হইলে প্রকাশু আদালুতে তাহার বিচার হউক। এখন দেখিতেছি, তাহাঁর বিচার না হইয়া ভালই হইয়াছে। রাওয়ালপিণ্ডির নেতাদের যেরূপ বিচার হইতেছে, ভগবান নিকৃষ্টতম অপরাধীকেও ওরূপ বিচার হইতে রক্ষা করুন । তাহাদিগকে, অন্যায় করিয়া, জামীনে পালাস দেওয়া হয় নাই। জেলে র্তাহাদের যেরূপ স্বাস্থ্যের উন্নতি হইতেছে, তাহাতে বিচার শেষ হইবার পূৰ্ব্বে কাহারও কাহারও অস্তিমকাল উপস্থিত হওয়া আশ্চর্য্যের বিষয় হইবে না । পঞ্জাবে যে সকল ঘটনা সম্প্রতি ঘটয়াছে, তাহা হইতে সকলে, আমাদের আর একটা বিপদ বাড়িতেছে, বুঝিয়া লউন । ভারতে গরমেন্ট ভেদনীতি অবলম্বন করিয়া