পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] এখানকার ক্ষুত্র ইংরেজদিগের ঐ একটা ভারি মুস্কিল আছে । তাহারা যখন ক্ষাপা হইয়া উঠিয়া আমাদের হাড় গুড়া করিয়া দিতে চায় তখন স্বদেশীয়ের সঙ্গেই তাহদের ঠেলাঠেলি পড়ে। তাহারা বিলক্ষণ জানে আমাদের উপরে খুব কষিয়া হাতচালাইয়া লইতে কিছুমাত্র বীরত্বের দরকার করে না—কারণ অল্পে অল্পে আমাদেরি শিল এবং আমাদেরই নোড়া লইয়া আমাদেরই দাতের গোড়া একটি একটি করিয়া ভাঙিয়া দেওয়া হইয়াছে। অতএব তর্জন তাড়ন ব্যাপারে হাত পাকাইবার এমন সম্পূর্ণ নিরাপদক্ষেত্র আমাদের দেশের মত আর কোথাও নাই। কিন্তু সমুদ্রপারে যে ইংরেজ বাস করিতেছে তাহদের মধ্যে এখনো সেটিমেন্টের প্রভাব ঘোচে নাই, রাশিয়ান কায়দাকে লজ্জা করিবার সংস্কার এখনো তাহীদের আছে । এই জন্ত আমাদের মত অস্ত্রহীন সহায়হীনের যখন কোনো একটা মৰ্ম্মান্তিক আঘাত পাইয়া চাঞ্চল্য প্রকাশ করিতে থাকি, তখন ক্ষুদ্র ইংরেজের মধ্যে হাত-নিস্পিস্ ও দাত-কিড়মিড়ের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব হয়—তখন বৃহৎ ইংরেজের অবিচলিত সহিষ্ণুতা ও ঔদার্য্য তাহদের কাছে অত্যন্ত অসহ্য হইতে থাকে। তাহারা বলে, ওরিয়েণ্টালদের সঙ্গে এ রকম চাল ঠিক নয়—যেমন অস্ত্রশস্ত্র কাড়িয়া লইয়া ইহাদিগকে পৌরুষহীন করা হইয়াছে তেমনি টুটি চাপিয়া ধরিয়া ইহাদিগকে নিৰ্ব্বাক্ ও নিশ্চেষ্ট করিয়া রাখিলে তবে ইহারা নিজের ঠিক জায়গাটা বুঝিতে পরিবে। এই কারণে বৃহৎ ইংরেজকে ভুলাইবার জন্ত ক্ষুদ্র ইংরেজকে বিস্তর বাজেচাল চালিতে ও কাপুরুষতা অবলম্বন করিতে হয়। এই-সমস্ত আধমরা লোকদিগকেও মারিবার জঙ্ক মিথ্য আয়োজন না করিলে চলে না । বোয়ার যুদ্ধের পূৰ্ব্বে এবং সেই সময়ে যে ভূরি ভূরি মিথ্যা গড়িয়া তোলা হইতেছিল তাহাও ইংরেজের সম্মুদ্ধিকে পরাস্ত করিবার জন্ত । কিন্তু আমরা যে এমন নিরুপায়, আমাদের সম্বন্ধেও গায়ের জালা মিটাইতে এখানকার ক্ষুদ্র ইংরেজের দলকে বে এত ক্ষুদ্রতা প্রকাশ করিতে ও এত মিথ্যা খাড়া করিয়া इगिण्ड रन हेशण्ड हेrब्रव ईtब्रथारू श्ब्रड ड्रगाश्ड পারে কিন্তু এ দেশের জনসাধারণের কাছে তাহদের লজ্জা किडूयांब ‘झां* *८फ़ म । ऐशष्ठ छांशंtनग्न कांज ব্যাধি ও প্রতিকার। । ২৩৭ ........................................................... উদ্ধার হইতেও পারে কিন্তু চিরকালের মত সন্ত্রম নষ্ট इम्न ! যাহা হউক এ সমস্তই যুদ্ধের চাল। বঙ্গবিভাগের সময় আমরা যখন কাদিয়া কাটিয়া কৰ্ত্তাদের আসন তিলমাত্র নড়াইতে পারিলাম না তখন বয়কটের যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া দিলাম। এই স্পৰ্দ্ধায় স্থানীয় ইংরেজের রক্ত আমরা যথেষ্ট গরম করিয়া তুলিয়াছি। তখন কি আমরা ঠাহরাইয়াছিলাম যুদ্ধ কেবল একপক্ষ হইতেই চলিবে, অপরপক্ষ শরশষ্য আশ্রয় করিবার অভিপ্রায়ে বুক পাতিয়া দিয়া দাড়াইয়া থাকিবে ? অপরপক্ষে অস্ত্র ধরিবে না এ কথা মনে করিয়া যুদ্ধে নামা একটা কৌতুকের ব্যাপার, যদি না অশ্রুজলে তাহার পরিসমাপ্তি হয়। এখন দেখিতেছি আমরা সেই আশাই মনে রাখিয়াছিলাম। ইংরেজের ধৈর্যের উপরে, ইংরেজের আইনের উপরেই আমাদের সম্পূর্ণ ভরসা ছিল, নিজের শক্তির উপরে নহে। তাই যদি না হইবে, তবে আইনরক্ষকদের হাতে আইনের দণ্ড লেশমাত্র বিচলিত হইলেই, সামান্ত দুই একটা মাথা ফাটাফাটি ঘটিলেই আমরা এমন ভাব করি কেন যেন মহাপ্রলয় উপস্থিত হইল ? ভাবিয়া দেখদেখি ইংরেজের উপরে আমাদের কতখানি শ্রদ্ধা কতখানি ভরসা জমিয়া উঠিয়াছে যে আমরা ঠিক করিয়া বসিয়াছিলাম যে আমরা বন্দে মাতরম্ হুঁকিয় তাহদের দক্ষিণ হাতে আঘাত করিব তবু তাহদের সেই হাতের ন্যায়দও অন্যায়ের দিকে কিছুমাত্র টলিবে না। কিন্তু এই সত্যটা আমাদের জানা দরকার যে, হায়দওট মানুষের হাতেই আছে এবং ভয় বা রাগ উপস্থিত হইলেই সে হাত টলে। আজ নিম্ন আদালত হইতে মুরু করিয়া হাইকোট পৰ্য্যস্ত স্বদেশী মাম্লায় কায়ের কাটা যে নানা ডিঞ্জির কোণ লইয়া হেলিতেছে ইহাতে আমরা তই আশ্চর্য হইতেছি ততই দেখা যাইতেছে আমরা হিসাবে ভুল করিয়াश्लिणांभ । অবশু তর্কে জিতিলেই যদি জিত হইত তবে এ ৰখা বলা চলিত যে রাগ দ্বেষের দ্বারা আইনকে টলিতে দেওয়া ऐल्लिङ नtरु, ङांशंष्ठ अष* इब्र, श्रनिष्ठे झग्न हेछाॉनिএ সমস্তই সাযুক্তি তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ইহার উপর